পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ সভার ভিতরে ও বাহিরে কংগ্রেসের দলে পুরু ও শক্তিশালী হওয়া আবশুক । শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী মহাশয় উদারনৈতিকদের কংগ্রেসে যোগ দিবার ও সম্মিলিত ভাবে কাজ করিবার কথাও তুলিয়াছেন। র্তাহার মতে উদারনৈতিকদের কংগ্রেসে প্রবেশ করিবার বাধা আছে । কংগ্রেসের নিরুপদ্রব বা অহিংস আইনলঙ্ঘন নীতি একটি বাধ—উদারনৈতিকগণ এই নীতি অনুসরণ করেন না । কিন্তু এখন কংগ্রেস অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই নীতির অনুসরণ স্থগিত রাখিয়াছেন । সুতরাং ভবিষ্যতে কংগ্রেস এই নীতি আবার অবলম্বন করিতেও পারেন, এই অনুমান কাহারও কংগ্রেসের সহিত এখন একযোগে কাজ করিবার বাধা বলিয়া মনে করা যায় না—অবশু যদি তাহার কংগ্রেসের মূল উদ্দেশ্বের সহিত ঐকমত্য থাকে। শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী মহাশয় আর কয়েকটি বাধার কথাও বলিয়াছেন। পরিধানে সৰ্ব্বদা খন্দর ব্যবহার করা এবং নির্দিষ্ট কাল দৈহিক শ্রমসাধ্য কোন কৰ্ম্ম করা কংগ্রেসের সভ্য হইবার ছুটি সর্ত ও যোগ্যতা । কিন্তু কংগ্রেসের বর্তমান সভ্যদের মধ্যেও অনেকে এই সৰ্ব দুটির বিরোধী, এবং হয়ত তাহাদের চেষ্টায় এ-দুটি উঠিয়াও যাইতে পারে। এরূপ মনে করিবার কারণ আছে, যে, অনেক কংগ্রেস-সভ্য খুব দৃঢ়তার সহিত এই ছুটি সৰ্ব পালন করেন না । তা ছাড়া, এ-দুটি সর্ত পালন করা অসাধ্য, দুঃসাধ্য, ধর্থনীতিবিরুদ্ধ বা আইনবিরুদ্ধ নহে। স্বতরাং কংগ্রেসের মহৎ উদ্দেশু স্মরণ করিয়া এই দুইটি সৰ্ব পালন করিলে ভালই হয়। একটি গোড়াকার কথা অবশ্য ভাবিয়া দেখিতে হইবে। শাস্ত্রী মহাশয় তাহাও উদারনৈতিকদের কংগ্রেসে যোগদানে একটি বাধা বলিয়াছেন। কংগ্রেসের মূল উদ্বেগু বৈধ উপায়ে “পূর্ণ স্বরাজ” লাভ। অর্থাৎ কংগ্রেস চান যাহাকে বলে পূর্ণ স্বাধীনতা, যাহ ইউরোপের ও আমেরিকার স্বাধীন দেশগুলির এবং এশিয়ার স্বাপান, পারস্ত ও আফগানিস্থানের আছে । উদারনৈতিকেরা সন ডোমীনিয়নত্ব। কিন্তু ওয়েষ্টমিন্‌ষ্টার আইন (Westininster Statute ) orth & six of: go co-costa ডোমীনিয়ন ব্রিটিশসাম্রাজ্যনিরপেক্ষ ভাবেও কাজ করিতে পারেন। স্বতরাং এখন শতকরা ৯৯টি রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে পূর্ণ বিৰিখ প্রসঙ্গ—ৰাংলা-গম্বন্মেন্টের জৱাহরলালের নিন্দশ প্রত্যাহার Œግግ স্বরাজ ও ডোমীনিয়নত্বে কোন বাস্তবিক প্রভেদ নাই। তম্ভিন্ন ইহাও মনে রাখিতে হইবে, যে, কংগ্রেসের প্রধান নেতা মহাত্মা গান্ধী বলিয়াছিলেন, যে, তিনি স্বাধীনতার সার অংশ (“substance of independence”) wièo do “R পাইলে সন্তুষ্ট হইবেন । কংগ্রেস র্তাহার এই মতের কোন প্রতিবাদ করেন নাই। ডোমীনিয়নত্ব পাইলে স্বাধীনতার সার অংশ পাওয়া হয় । সুতরাং কংগ্রেসের ও উদারনৈতিক সংঘের মূল উদ্দেশ্বে কোন বস্তুগত পার্থক্য নাই। কংগ্রেস, উদারনৈতিক সংঘ এবং অন্য সকল স্বাজাতিক দল একযোগে কাজ করিলে বড় ভাল হয় । কংগ্রেস সকলের চেয়ে বড়, শক্তিশালী এবং কশ্মিষ্ঠ দল। কংগ্রেস অন্ত সকল দলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করিতে আহবান করুন। কিন্তু যদি দুর্ভাগ্যক্রমে সম্মিলিতভাবে কাজ করা ঘটিয়া না উঠে, তাহা হইলেও পরস্পরের প্রতি দোষারোপ হইতে নিবৃত্ত থাকিয়া প্রত্যেক দলই যদি স্বরাজলাভচেষ্টায় একাগ্রভাবে নিযুক্ত হন, তাহাতেও প্রভূত মঙ্গল হইবে। বাংলা-গবন্মেন্টের পণ্ডিত জৱাহরলালের নিন্দ প্রত্যাহার ১৯৩৩-৩৪ সালের সরকারী বঙ্গীয় শাসনবিবরণে এই মৰ্ম্মের কথা ছিল, যে, পণ্ডিত জৱাহরলাল নেহরু কলিকাতায় আসিয়া, হরিজনদের হিতসাধনের নিমিত্ত সংগৃহীত অর্থের দ্বার, অস্পৃশ্বতাবিরোধী কাৰ্য্যের ছদ্ম আবরণে, চরম সমাজতান্ত্রিক গবয়েণ্ট-বিপৰ্যাসমূলক কাজ চালাইবার পরিকল্পনা করিয়াছিলেন। তিনি জামেনী হইতে ইহার প্রতিবাদ করেন। প্রকাশু এক উদ্দেশ্যে সংগৃহীত অর্থের দ্বারা গোপনীয় অন্ত উদ্দেশু সিদ্ধির জন্য কাজ তিনি করিতে পারেন, তাহার এরূপ নিন্দা ইতিপূৰ্ব্বে কেহ করে নাই। বস্তুতঃ তিনি এরূপ নিন্দার পাত্র নহেন । তাহার প্রতিবাদে বাংলা-গবন্মেণ্ট বোধ হয় কর্ণপাত করিতেন না। কিন্তু বিলাতী ম্যাঞ্চেষ্টার গার্ডিয়ান ও অন্ত দু-একটি কাগজে তাহার কথা প্রকাশিত হয় এবং সম্পাদকেরা এই দাবি করেন, যে, হয় গবন্মেণ্ট এই নিন্দ সমূলক বলিয়া প্রমাণ করুন, নতুবা প্রত্যাহার করুন। বিলাতী পালেমেণ্টেও এই বিষয়ে প্রশ্ন হয় ও তাহার উত্তরে