পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कोछुन्। গ্রামসেবার পথে \beS প্রয়োজন নাই—যদি বস্তুত: সৰ্ব্বত্র এই প্রকার দেবকাপাস হইতে ফল পাওয়া যায়। কোন জেলায় দেবকাপাস কি প্রকার ফল দেয়, সে-সম্বন্ধে নিশ্চয় কিছু এতাবৎ জানা যায় নাই। দুই তিন টাকায় এইরূপ গরু বিক্রয় হয় । বাজারে সঙ্গে সঙ্গে এক বা দেড় টাকায় মুচির জীবন্ত গরুর চামড়ার মুল্য দিয়া দেয়, পরে চামড়া লয় যাহারা বস্বে স্বাবলম্বী হইয়াছে তাহদের হিসাব হইতে দেখা যায় যে বালক ও বয়স্ক নিৰ্ব্বিশেষে গড়ে ১২ গজ কাপড় লাগিতেছে। ১২ গজ কাপড়ে ১ সের তুলা লাগে। বঁাশবেড়িয়ার ৩৫৯ জন লোকের জন্য উহার দেড় অর্থাৎ ৫৩৮ সের তুলা লাগে এবং তুলার অৰ্দ্ধেক অর্থাৎ ২৭০টা তুলাগাছ লাগে। ঐ গ্রামে ১১২টা তুলাগাছ আছে, আর ১৬০টা তুলাগাছ হইলেই এই গ্রাম তুলা সম্বন্ধে স্বাবলম্বী হইতে পারিবে। এক-এক বাড়িতে পাচ-ছয় জন লোক থাকিলে আট-নয় সের তুলা লাগিবে, সেজন্য চার-পাচটা গাছই যথেষ্ট। কিন্তু শীঘ্র অধিক তুলা ফলানর জন্য সাত-আটটাগাছ প্রতি-পরিবারে জন্মান দরকার। এক কাঠা জমিতে সাতটা পূৰ্ণবয়স্ক গাছ থাকিতে পারে। তাহা হইলে দাড়াইতেছে ৰ তুলার জন্ত বাড়ির সংলগ্ন জমিতে মাথাপিছু একটি করিয়া গাছ বা সাত-আট জনের পরিবারে এক কাঠা জমিতে সাত-আটটি গাছ জন্মাইলেই যথেষ্ট হইবে। বঁাশবেড়িয়ার মত এত কাপাস গাছ অন্য গ্রামগুলিতে নাই। অন্য গ্রামগুলিতে বীজ বুনাইয়া দেওয়ার ব্যবস্থা :ইতেছে । ধানভানার আয় ;-বাঁশবেড়িয়ার ৭০টি পরিবারের ভিতর ৬৭টি পরিবারে টেকি আছে। যে যাহার নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী ধান ভানিয়া লয়। কেহ কেহ ধান ভানিয়া উপার্জন করে। কিন্তু যাহারা ধান ভানিয়া কিছু পাইতে চায় তাহাদের সকল সময় কাজ জোটে না। স্থানীয় হাটে চাউলের চাহিদা কম, তাহা ছাড়া বাহিরে যাহা প্রয়োজন সেজন্য ধানই রপ্তানী হয়-চাউল রপ্তানী হয় না। এমন অত্রাই অঞ্চলে লোকে তালের রস লইতে জনে ন—গাছগুলি হইতে কোন অীয় নাই অনেক সময় উপস্থিত হয় যে ধান ভানিয়া বাজারে লইয়া গিয়া দেখিতে পায় যে চাউলের দাম এত কম যে ভানার মজুরী কিছুই থাকে নী—কথনও বা ধানের পড়তা অপেক্ষাও অল্প দরে বিক্রয় করিয়া আসিতে হয়। ইহার কারণ এই যে ধান ও চাউলের দাম বাহিরের বাজারের উপর নির্ভর করে। রেঙ্গুন হইতে সস্ত চাউল যদি বেশী পরিমাণ আসে তবে চাউলের দাম পড়িয়া যায়। -> বৰ্ত্তমানে খাদিপ্রতিষ্ঠানের গ্রামসেবা-কাৰ্য্যের ভিতর এই সকল গ্রাম হইতে ধান ভানাইয় টেকিছাট চাউল শহরে পাঠাইবার একটা আয়োজন চলিতেছে যাহাতে দুঃস্থ লোকেরা স্থতাকাটা ছাড়া আরও একটা উপজীবিকা পায়। জনসাধারণ টেকিছাট চাউল কলের চাউল অপেক্ষা অধিক মূল্যে লইতে প্রস্তুত হইলেই এই ভাবে গ্রামবাসীকে সাহায্য করা সম্ভব হইবে । এক মণ চাউল টেকিতে