পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'\ట్రoR ভানাইয়া প্রস্তুত করিতে আট আন মজুরী পড়ে, কলে উহা চার আনায় হয়। কাজেই কলের সহিত প্রতিযোগিতায় টেকিছাট চাউল চলিতে পারিবে না। তবে টেকিছাট চাউল উপকারী বলিয়া এবং কুটারজাত বলিয়া উহার জন্য লোকের আগ্রহ উপস্থিত হইয়াছে। ইহাতে আশা হয় যে গ্রামবাসীরা তাহাদের অতিশয় ক্ষীণ আয় ধান ভানিয়া কিছু বাড়াইয়াও লষ্টতে পারে। ফসল ;–বাশবেড়িয়া ও পার্শ্ববর্তী সকল গ্রামেই একটি মাত্র ফসল হয়। হয় ধান নয় পাট । রবিশস্ত ইহার উৎপন্ন করে না। জানে মা এমন নয়। রবিশস্ত হইলে হইতে পারে ইহা জানিয়াও ইহারা ঐ ফসল জন্মায় না। তাহার কারণ ধান উঠিয়া গেলেই উহারা সকলে মাঠে গরু ছাড়িয়া দেয়। তখন মাঠে কোন এক জনের ফসল রাপা অসম্ভব হয় । সমবেত চেষ্টা করিয়া প্রত্যেকে নিজ নিজ গরু বাধিলে দ্বিতীয় ফসল হইতে পারে, কিন্তু সেই সমবেত শক্তিরই অভাব। ধান অপেক্ষ রবিশস্তের আয় অধিক । কাজেই রবিশস্ত উৎপাদন করিলে চামের আয় দ্বিগুণ হয়, গবাদিও গম, কলাই ইত্যাদি হইতে দুন খড় পাইতে পারে । সমবেত চেষ্টায় গ্রামবাসীদিগকে প্ররোচিত করার জন্য এবার চারখানা গ্রামে চাষার নিকট হইতে কতক কতক জমি চাহিয়া লইয়া উহাতে গ্রামসেবকের সাহায্যে রবিশস্ত দেওয়ার ব্যবস্থা হইয়াছে। সমস্ত ব্যয় করিয়া ফসল উৎপন্ন করিবার পর উহা বেচিয় যে আয় হইবে তাহ হইতে ব্যয় বাদে লাভ গৃহস্থকে দেওয়া হইবে । অপরের দ্বার চাষ করাইলে ব্যয় অনেক পড়ে । চাষ নিজের জমি নিজে চাষ করিলে চাষ করাইবার মজুর। যদি তাঁহার ফসল হইতে উঠে তাহাই তাহার লাভ। ধনের বেলায় তাহই তাহার। কোনও প্রকারে পায়, কিন্তু আশা আছে রবিশস্তে তাহার। অধিক পাইবে । - রবিশস্তের জন্য কতক কতক জমি চাষ করা আরম্ভ করাতেই একটা সাড়া পড়িয়া গিয়াছে। গ্রামবাসীরা উৎসুক হইয়াছে। যখন তাহাদিগকে গরু বাধিতে ও চাষ করিতে উপদেশ দেওয়া হইয়াছিল, তখন তাহারা ইহাই বুঝাইতে চাহিত যে ফসল করা যাইবে না–করা যায় নাই, কেহ গরু বাঁধে না,—ফসল প্রবাসী ১Ne৪ই নষ্ট করিয়া ফেলে। কিন্তু এক্ষণে বাহিরের চেষ্টায় তাহাদের জমিতে চাষ আরম্ভ করায় এবং খরচা করিয়া লোক রাখিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা পাহারা দেওয়া হইবে এই ব্যবস্থায় দৃষ্টান্তমূলক #f4f ( demonstration ) erfas Faig তাহাদের মন জাগ্রত হইয়াছে। যদি এই একটা গ্ৰামমণ্ডলের মাঠ হইতে দ্বিতীয় ফসল তোলা যায় তবে এই চাষাদের বাৰ্ষিক আয় এক লক্ষ টাকা বাড়িয়া যাইবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। অর্থাৎ উহাদের আয় দ্বিগুণ হইবে । যাহাঁদের মাথাপ্রতি বার্ষিক আয় ২৫ টাকা তাহদের আয় আরও ২৫২ টাকা বাড়ান যে কত বড় কথা তাহ সহজেই অনুমেয়। এক পাল গর, অধিকাংশই অতিশয় রুয় গোধন :- বঁাশবেড়িয়ায় ২৫১টি গোধন আছে, উহার মধ্যে ৮০টি গাভী। কতক চামা গাভী দ্বারাও হাল দেওয়ায়। সেজন্য সবগুলি দুধ দেওয়ার বা সস্তান বহন করার যোগ্য নয়। অল্প কয়টিমাত্র গাভী দুধ দেয়। এই গ্রামের দুগ্ধবতী গাভী ও প্রাপ্ত দুধের বিবরণ এখনও হস্তগত হয় নাই। পাশ্ববর্তী গ্রামের বিবরণ হইতে অবস্থা বুঝা যাইবে । ইহার নিকটেই তিলাবদুর গ্রাম। গ্রামখানি বড় । ৯৫৫ জন হিন্দু ও মুসলমানের বাস। গ্রামে ১৭ বৎসরের কমবয়স্ক বালক বালিকার সংখ্যা ২৫৩ । গ্রামে ১৭০টি গাভী আছে । ইহারও কতক চাষে লাগান হয়। কিন্তু হিন্দুর চাষ করায় না। বর্তমানে এই অগ্রহায়ণ মাসে ১৭০টির মধ্যে মাত্র ১৫টি দুধ দিতেছে । দুধের পরিমাণ সব কয়টিতে মিলিয়া পাকী পাচ সের। যদি ঐ গ্রামের ২৫৩ জন বালক-বালিকাকেই কিছু দুধ দিতে চাই তাহা হইলে দেখা যাইবে যে কিছুই দেওয়া যায় না। ৫ সেরে ৮১ ছটাক দুধ ২৫৩ জন বালক-বালিকার মধ্যে কেমন করিয়া বঁটা যায় ?