পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

स्वकोछुन्। গ্রামসেবার পথে శ్రీON9 এই অঞ্চল ‘ভড়’ অথবা নিম্ন অঞ্চল। নিকটেই “বারিন্দ” অথবা পুরাতন পলিমাটির উচ্চভূমি বা বরেন্দ্ৰ-ভূমি রহিয়াছে। এই ভড় অঞ্চলে মাঠের জমিতে ডোবা কাটিয়া মাটি তুলিয়া বাস্তুজমি তৈয়ার করা হয়। কাজেই বাস্তুজমি খুবই সঙ্কীর্ণ। যেটুকু জমি আছে উহাতে ভিটা বাদে বাকীটা প্রয়োজনীয় গাছে, কতক বা আগাছায় ও বঁাশঝাড়ে পূর্ণ। গোচারণের জমি আদেী নাই। এমন কি তরকারী উৎপন্ন করার জমি নাই বলিলেই চলে। গরুগুলি কাচা ঘাস কি তাহা জানে না। ছয় মাস জমি জলের নীচে থাকে, তখন আঙ্গিনায় গরুগুলির নড়াচড়ার জায়গাও থাকে না। বৈশাখে ধান অত্রাই-কেন্দ্রে আচাৰ্য্য রায়। জীবনের বাকী দিনগুলি প্রধানতঃ ইনি এই স্থানেই কটাইতে ইচ্ছা করেন বুনিলে তখনও মাঠে চরা বন্ধ হয়। কেবল পৌষ মাঘ ফাঙ্কন চৈত্র এই চারি মাস গরু মাঠে চরিতে পারে। কিন্তু এই সময় মাঠে ঘাস থাকে না। এই কালে যখন কিছু কিছু বৃষ্টি হয় তখন মাঠে একটু ঘাস উঠিতে থাকে। কিন্তু উহার খাদক এত বেশী যে ঘাস আর দেখা যায় না। ঘাস ভালরূপে ন-গজাইতেই খাইয়া ফেলে, জমি প্রায় সাদাই থাকিয়া যায়, সবুজ হওয়ার অবকাশ বড় পায় না। বৃষ্টির জল পড়িলে জমি খুবই নরম হয়। একটা মাত্র ধানের বা পাটের চাষ ত দরকার। নরম মাটিতে দুৰ্ব্বল গরু দিয়া ইহার কাজ চালাইয়া লয়। গরুর প্রতি এত অষত্ব কোথাও দেখি নাই। প্রতিদিন যে বিচালী দেওয়া হয়—যাহা ইহাদের একমাত্র খাদ্য, তাহাও কদাচিৎ ফুচাইয়া দেওয়া হয়। আস্ত বিচালী তাল পাকাইয়া জাবের গামলায় জলের নীচে কতক ডুবাইয়া দেয়। কতক বা গরু খায়, কতক বা টানিতে গিয়া মাটিতে ফেলিয়া দেয়, গোবর ও মাটি লাগিয়া নষ্ট হইয়া যায়। ফলে গরু অতিশয় কুশ ও দুৰ্ব্বল থাকে। এখানকার পূৰ্ণবয়স্ক গরুর কঙ্কাল ওজন করিয়া দেখিয়াছি, মাত্র ছয়-সাত সের হয়, অথচ বাংলার গরুর কঙ্কালের সাধারণ ওজন তেরচৌদ্দ সের। ঐ প্রকার ওজনের কঙ্কাল হইতে পারে এমন গরু এখানেও আছে—যেখানে যত্ন হয় সে বাড়ির গল্পগুলি ঐ রূপ, মাছ মারার যন্ত্রাদি প্রত্যেক বাড়িতেই পাকে ও বিনামূল্যে মাছ সংগ্রহ করা হয় । কিন্তু প্রায় কোন বাড়িতেই যত্ব হয় না। কলুর বাড়িতে যত্ন হয়। কলুর আয়ু গরুর গায়ের জোরের উপর নির্ভর করে, সে জন্ত তাহার গরুর যত্ন আছে, উহারা পুষ্ট ও সবল। চাষার গরুর জোর না থাকিলেও চাষ চলিয়া যায়, এজন্ত চাষার গরু মৃতপ্রায় । কলুর বাড়ির বলদ দেখিলেই চেনা যায়। এত অযত্বে অনাহারে গরুর কিছুই থাকে নী—কেবল কঙ্কালসার । চামড়া ওজন করিয়া দেখিয়াছি । যে-চামড়া লম্বায়ু কাধ হইতে মেরুদণ্ডের শেষ পৰ্য্যস্ত ৩ হাত, তাহার ওজন মাত্র তিন সের, অথচ হওয়া উচিত ছয় সের। গরুগুলি এতই অবহেলার বস্তু যে যখন কৰ্ম্মীরা যাহাঁদের ঘরে ঐ প্রকার মৃতপ্রায় গরু রহিয়াছে, তাহাদের বাড়ি বাড়ি গিয়া গবাদির সংখ্যা লইতেছিল তখন অনেক চাষাই তাচ্ছিল্যের সহিত প্রশ্ন করে যে উহাদের সংখ্যা গুণিয়া কি