পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরসেক থাকি প্রভু ততপর হেতাঅ। বিষ্ট গুর ছাড়ি তবে জান ছত্রিনাক্স । না আসেন ফিরি আর মন্ত্রপুরে কভু । করিলেন দেহরক্ষা গিঞ তথা প্ৰভু । তষ্কপ ভাসাজ এবে করি অনুবাদ । রচিল বিবিধ ছলে শ্ৰীকৃষ্ণপ্রসাদ ॥২৬ তারা ভোরবেলায় যুবরাজপুরে এসে পুরঞ্জনকে ডেকে তুললেন। চণ্ডীদাসের মাথায় জটা। চণ্ডীদাস ॥ বৎস, তোমার জননী কোথায় ? পুরঞ্জন ৷ ( সজল নয়নে ) তিনি চিতারোহণে বহুকাল গত । চণ্ডী ॥ ( মমাহত ) কতদিন তোমার পিতা পরলোক গত ? পুর । তিনি খুল্লতাত-সহ চল্লিশ বৎসর দেহ রেখেছেন । পূজ্যপাদ পিতার কি মাতার চরণ দেখেছি বলে স্মরণ হয় না । চণ্ডী ॥ তা হ'লে শৈশবের কালে কে তোমাকে স্নেহ দিয়ে পেলেছেন ? পুর । ( কৃতাঞ্জলি পুটে ) কি কারণ ওসব কথা জিজ্ঞাসা ক’রছেন ? আপনি কে হন, আগে বলুন । চণ্ডী ॥ আমার নাম চণ্ডীদাস । এই ছত্রিনায় আমার নিবাস ছিল । জরাজীর্ণ দেহে যতদিন প্রাণ রইবে, তোমার গৃহে থাকব বলে এসেছি। পুরঞ্জনের স্ত্রী করুণা ফণিনীর মত গর্জে’ মর মর ভণ্ড দুড়। একি বলে গো ম৷ ৷ সঙ্গে আছে রাড়ী এক লজ্জ নাহি করে । তারে লইঞ থাকিতে এ গৃহস্তের ঘরে । সে রেগে ঠাকুরাণীকে ডাকতে গেল । চণ্ডী ॥ পুরঞ্জন, তবে কি আমি অন্যত্র গমন করব ? ২৬) হিমাংশু= ১, নেত্র=৩, পক্ষ =২, শ্রুতি= ৪, ১৩২৪ শকে চণ্ডীদাসের অস্তধর্ণন । কবিকল্পনায় ইন্দু= ১, সর= 5, অন্ধি= ৭, বাণ=e,- ১৫৭৫ শকে পুনশ্চ অস্তধর্ণন । ‘সর-তুলি' শরের কলম সরে, চলে। চণ্ডীদাস ৪৪ বর্ষ প্রবাসী ছিলেন। ৪২ বর্ষ গতে বনবিষ্ণুপুরে ফিরে আসেন। মল্পরাজপেতার এইরূপ লেখা ছিল । মল্পরাজপেত আছে কিন, সন্দেহ । চৈতঙ্ক-সিংহ ও দামোদর-সিংহের বিরোধের সময়ে বে ধ। পেয়েছে সরিয়েছে। হয়ত অগ্নিমুখে ও সারকুড়ে পড়েছে। উদয়-সেন বাজীপৃষ্ঠে ঘুরেছিলেন । ৬-৭ বৎসর পূর্বে অনেকের ঘোড়া থাকত। যুক্ত মহেশ্র-সেন বলেন, তার পিতারও ঘোড় ছিল। والاحساسعbrb “চণ্ডীদাস-চরিত" USNరి পুর । কিন্তু এই গ্রামে বহুজন আছেন। কি কারণে আমার ঘরে এসেছেন ? চণ্ডী ॥ তোর বংশে চওঁীদাস ছিলেন, কখনও সে কথা শোননি কি ? পুর । সেই নামে আমার খুল্লতাত ছিলেন। তিনি বহুকাল পরলোকগত । তাকে রাজদ্রোহী সন্দেহ করে’ বাঙ্গলার বাদসাহ চোরাঘাতে হত্যা করেছেন। চণ্ডী ॥ ( হাসিয়া )আমি সেই চণ্ডীদাস। রাসমনি ॥ আমি সেই রামী। পুর । আমি সে কথা সত্য মানতে পারি না। সিকন্দর চণ্ডীর প্রাণহানি করে’ রামীনীকে অক্ষলক্ষ্মী করেছেন। তোমাদের মুখে আজ এই কথা শুনে আমার ভক্তির হানি হচ্ছে । চণ্ডী ॥ যদি আমি ভণ্ড চণ্ডীদাস, তবে আমাকে তোমার ঘরে রেখে কেন পূঞ্জবে ? পুর ॥ পক্ষীরাজ চেনা বড় দায়। কিন্তু তার সেবাগুণে রাজা হওয়া যায়। সেই ভেবে যত পার্থী আছে আমি সকলেরই সেবা করব। আমি জানি, পক্ষীরাজ নিশ্চয়ই একদিন আসবে। চণ্ডীদাসের চক্ষে পুলকাশ্ৰ বইল। তিনি পুরঞ্জনকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন, সকলে তোর তুল্য হলে সন্ন্যাসে কি কাজ ? আমি বিশ্ব ঘুরে যার আভাস পাই না, তুই ঘরে বসে সে কথা জানলি ! রামী ॥ আমি রজকের মেয়ে ; আমাকে কেমনে তুমি তোমার ঘরে রাখবে ? পুর। যথা প্রভূতথা জগন্নাথ । সেথা জাতির বিচার নাই । ইতিমধ্যে করুণা রোহিণীকে ডেকে এনেছে। রোহিণী চিনতে পারলে । আচম্বিতে উচ্চ রোল উঠল, চণ্ডীদাস ছত্রিনায় ফিরে এসেছেন। যুবকেরা বলে, চণ্ডীদাস কে ? বয়োবৃদ্ধের উপহাস করে । প্রৌঢ়েরা বলে, দেখি নাই তবে নাম গুনেছি। রাধাকৃষ্ণের লীলা-গীত তারই রচনা। পরে দলে দলে এসে চণ্ডীদাসের চরণে প্রণাম করতে লাগল। হাজার হাজার লোক নিত্য আসে যায়। হামীর-উত্তর-রায় প্রভুর কাছে এসে অহনিশি তত্ত্বকথা শোনেন । একদিন রাসমনি হেসে ব’ললে "পরশু অমৃতযোগ, শুভ