পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাঙন কামিনীকুমার চন্দ গত ১লা ফেব্রুয়ারী শিলচরে নিজগৃহে বিখ্যাত উকীল ও জননায়ক ঐযুক্ত কামিনীকুমার চনের মৃত্যু হইয়াছে। মৃত্যুকালে তাঁহার বয়স ৭৫ হইয়াছিল। আমি যখন কলিকাতায় কলেজে পড়িতে আসি, তখন ষ্টুডেন্টস এসোসিয়েশুন নামক একটি সভা ছিল। স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাহার সভ্যদের নেতা ছিলেন। এই সভার অধিবেশন হিন্দু স্কুলের একটি কক্ষে হইতে দেখিয়াছি। ঐ কক্ষে গ্যালারী ছিল। এখন আছে কি না জানি না। সেই সময় কলেজের উচ্চশ্রেণীর ছাত্রদের নেতৃস্থানীয় ও উৎসাহী যে-সব যুবক স্বরেন্দ্রনাথের পরিচালনায় দেশসেবায় অনুপ্রাণিত হইয়াছিলেন, কামিনীকুমার চন্দ তাঁহাদের অন্যতম । কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে একটি সাহিত্যিক সভার অধিবেশন উপলক্ষ্যে যখন শিলচর গিয়াছিলাম, তখন চন্দ-মহাশয়ের বাড়িতে অতিথি ছিলাম। তখন তাহার সহিত সেকালের অনেক কথা হইত। আতিথ্য করিবার ভার তিনি ভৃত্যদের উপর দিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতেন না, স্বয়ং সৰ্ব্বদা অতিথির স্ববিধার দিকে দৃষ্টি রাখিতেন। তিনি বিখ্যাত আইনজীবী ছিলেন। দেশের সর্বপ্রকার জনহিতকর কাৰ্য্যে যোগ দিতেন এবং অনেক কাজে তিনিই অগ্রণী ছিলেন । বঙ্গভঙ্গ-আন্দোলনে যোগ দিয়া তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন। অন্য রাজনৈতিক আন্দোলনের সহিতও তিনি যুক্ত ছিলেন। তিনি ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্ত ছিলেন, পূৰ্ব্বে ইম্পরিয়্যাল কৌন্সিলের ও প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভারও সদস্য ছিলেন। গবয়েণ্ট একবার র্তাহাকে উপাধি দিতে চাহিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি তাহা গ্রহণ করিতে স্বীকৃত হন নাই। নিৰ্ম্মলচন্দ্র সেন ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেন মহোদয়ের অন্ততম পুত্র.ঐধুক্ত নিৰ্ম্মলচন্দ্র সেনের হঠাৎ মৃত্যু হইয়াছে। তিনি শিক্ষা সমাপনাভে । কিছু কাল বিহার প্রদেশে সরকারী চাকরী করেন; পরে কৰিছার রাজ্যে রাজকর্মচারী ছিকুন। শেষে তিনি ইংলণ্ডে । ভারতীয় ছাত্রদের পরামর্শদাতা ও তত্ত্বাবধায়ক রূপে কাজ : বিবিধ প্রসঙ্গ—অধ্যাপক ৰিপিনবিহারী গুপ্ত ግ\©Œ ' করিয়া” রাজদত্ত সম্মানসূচক উপাধি লাভ করেন। কয়েক বৎসর হইল তিনি পেন্সান লইয়া স্বদেশেই বাস করিতেছিলেন। ১৯২৬ সালে যখন আমি কয়েক দিনের জন্ত লণ্ডনে ছিলাম, তখন শ্ৰীযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ মল্লিক 'মহাশয়ের বাড়িতে র্তাহার সহিত প্রখম পরিচিত হই। তখন র্তাহার সৌজন্ত ও মিষ্ট আলাপে গ্রীত হইয়াছিলাম। শাপুরজি সারাথওয়ালা শাপুরজি সাক্লাথওয়ালার বিখ্যাত পারসী বণিক ও দাতা জমশেদজি টাটার সহিত নিকট সম্পর্ক ছিল । তিনি কৰ্ম্মজীবনের প্রারম্ভে টাটা কোম্পানীর এক জন কৰ্ম্মচারী ছিলেন, মোটা বেতন পাইতেন। পরে যখন র্তাহার রাষ্ট্রনৈতিক ও অর্থনৈতিক মত পরিবর্তিত হইল, তিনি কমূমিষ্ট বা সাম্য: বাদী হইয়া পড়িলেন, তখন র্তাহাকে স্থির করিতে হইল, তিনি নিজের মতের মধ্যাদা রাখিয় তাহাতেই দৃঢ় থাকিবেন; না মতটাকে বেমালুম হজম করিয়া চাকরীটাই রাখিবেন। এই মানসিক স্বন্দ্বে র্তাহার মহন্তত্বেরই জয় হইল—তিনি চাকরী ছাড়িলেন । তিনি জীবনের শেষ কয় বৎসর ইংলণ্ডেই ছিলেন--ভারতবর্ষে বেড়াইতে আসিয়াছিলেন। তিনি বুদ্ধিমান রাষ্ট্রনীতিবিৎ ও স্ববক্তা ছিলেন। নিজের বুদ্ধিমত্ত, রাষ্ট্রনীতিজ্ঞান ও বাগিতার বলে বিলাতী শ্রমিক দলের অন্ততম সভ্য রূপে পালেমেন্টের সদস্ত নিৰ্ব্বাচিত । হইতে পারিয়াছিলেন । তিনি ভারতবর্ষের সম্মান রক্ষার জন্ত সতত চেষ্টা করিতেন এবং ভারত যাহাতে স্বাধীন হয় তজন্তও চেষ্টা করিতেন । অধ্যাপক বিপিনবিহারী গুপ্ত বিপিনবিহারী গুপ্ত নামের দুই জন অধ্যাপক বাংলা দেশে । ছিলেন। এক জন বিখ্যাত গণিতাধ্যাপক বিপিনবিহারী গুপ্ত— র্যাহার ছাত্র বঙ্গের অনেক বৃদ্ধ গণিতজ্ঞ ব্যক্তি (আমিও তাহার ছাত্র ছিলাম কিন্তু গণিতজ্ঞ মহি )। বহু বৎসর পূৰ্ব্বে তাহার । মৃত্যু হইয়াছে। অার এক জন রিপন কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক বিপিনবিহারী গুপ্ত। গত ২রা ফেক্ষারী ৬১ -