ՊգՆ প্রবাসী ડિષ્ટgર রোমে একটি বাঙালী ছেলের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছিল । ছেলেটির নাম শ্ৰীযুক্ত ধীরেন্দ্রনাথ দাস । তিনি বহুমান পোপ রোমে এয়ারোপ্লেনের পাইলটের কাজ শিক্ষা করছিলেন। লগুন থেকে আমরা আরও একটি বাঙালী ছেলেকে রোমে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে লিখেছিলুম । ভেনিস থেকে আমাদের রোমে পৌছবার তারিখ ও ট্রেনের সংবাদও তাকে দিয়েছিলুম। কোন কারণে তিনি নিজে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে ন পারায় শ্ৰীযুক্ত ধীরেন্দ্রনাথ দাসকে পাঠিয়েছিলেন। ইনি ষ্টেশনে এসে আমাদের তার বোর্ডিং-হাউসে নিয়ে যেতে চাইলেন। লতিফেরা ও আমরা অন্য জায়গায় রোমে থাকবার ব্যবস্থা করার দরুন তার আডডায় তখন আর যেতে পারি নি। দু-দিন বাদে ধীরেন বাবু আমাদের বাসা জাৰ্ম্মান-হোমে এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করেন । সঙ্গে আমরা দ্বিতীয় বার ভ্যাটিকান দেখতে যাই । সেদিন র্তার - নিমন্ত্রণ করেন। ধীরেন বাবুর ল্যাগুলেডী বা বাড়িওয়ালী আমাকে দেখে অনেক ক্ষণ ধ’রে ফ্যালফেলিয়ে তাকিয়ে রইলেন। তার এই এত চেয়ে দেখার কারণ তখন আমি বুঝতে পারি নি। পরে কথায় কথায় বললেন, তার ধারণা ছিল, ভারতের লোকেরা আমাদের অপেক্ষা আরও বেশী কালো হয়। তখন বুঝলুম অত ফ্যালফেলানি তাকানি কেন । ল্যাণ্ডলেডী আমাদের চা ও বিস্কুট থেতে দিলেন। ধীরেন বাৰু তাকে 'বৌদি' বলে ডাকেন ; শুনলুম—স্তার স্বামীকে ‘দাদা’ বলেন । ইটালীয়ান বৌদিদি বললেন, ‘আমার ঠাকুরপী ভাল লোক। আমি ধীরেন বাবুকে বললুম–‘দেখুন যতই শেখান না কেন, ঠাকুরপো ঠিক বলতে পারে ন}, ঠাকুরপী বলে।’ ধীরেন বাবু জবাবে বললেন—“ঠাকুরপোর বহুবচন ঠাকুরপী করেছে—ইটালীয়ান ভাষায় বহুবচন ঐ রকম ভাবে বলা হয় কি না । আমরা এখানে যে পাঁচ-ছয় //ኃኃ. ডাক্তার ক্রম্স্ভিকের কস্ত ম্যাটিন্ড জন ঠাকুরপো আছি ? ল্যাগুলেডী অারও বাংলা কা বিকেলবেল তিনি আমাদের তার বোর্ডিং-হাউসে চ খেতে বলতে লাগলেন—বললেন, “আমার স্বামীকে ‘ওগে" : ,
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।