চৈত্র কড়ি—কড়ার গওয় ক'লে ধরে দেব। এবার আর মুখখুর হাতে হিসেব পড়ে নি।” সটকার নলটা তুলে নিয়ে শশী টানের দ্বিতীয়াঙ্ক স্বরু করলে –“বাঃ বেটার হাত কি মিষ্টি,—বায়াতবলা শেখে না কেন । অনায়াসে জাত হুসেন হতে পারত। যাক, নিশ্চিন্ত হয়ে শোয়াই ভাল।” কাগজখানায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে—“অ্যাঃ—সব মাটি করেছে। মেয়েমামুষের কাজ কিনা, আসল কথাটাই ষে নেই,—মাস কোথায় ?—৩• কি ৩১ কি ২৮শে মাস, জানা চাইত। তা থাকলে ত হয়েই গিয়েছিল। থাকৃ, সকালেই হবে—দু-মিনিটের মামলা ৷” 事 舉 舉 রোগমুক্তির পর বল বাড়ায় ক্ষর্তিও বাড়ে। শশী চেষ্টারফিল্ড চড়িয়ে মৰ্ণিংওয়াকে বেরোয়, আধ মাইলের আদেশটাকে তিন মাইলে প্রোমোশন দিয়েছে। ভাইপে নরেশও আজ ছু-দিন তার সঙ্গ নিয়েছে ।
- এসেই চা খেতে খেতে পাপ মিটিয়ে দেওয়া যাবে— মাসটা জানা চাই ত।” উভয়ে বেরিয়ে পড়ল। কথা কইতে কইতে তাজমহলে হাজির ।
নরেশ জিজ্ঞাসা করলে, “এটা কাদের বাড়ি কাক ?” “আ মুখ ধু, বাড়ি কি রে ? বাড়ির কি চূড়ো থাকে ? —মন্দির রে, মন্দির দেখিস নি ? এই দিকেই ত ছিদ্ধর ষত দেবতার স্থান। বোধ হয় শাক্যসিংহের বাড়ি । এই খান থেকেই নমস্কার কর।” নিজেও করলে। ফিরে এসে দেখে—ভাণ্টা হাজির। বিরক্ত হয়ে বললে, “তোমারা কি রাত পোয়াতে তর সয় নেহি ? একটু বইসে । চা খাকে দিচ্ছি। ই-কি মাস মনমে হায়—বলতে পারতা ? তা হ'লে দড়কে দাড়কে সেরে দেতা। “ফেরবুখারী হুজুর।" শুনে শশী আপন আপনি উচ্চারণ করলে— “February has 28 days.” নরেশ নিজের বই গুছিয়ে নিয়ে অল্প ঘরে ঘাচ্ছিল । গুনতে পেয়ে বালক বললে, “না কাকা—twenty nine-এ REGGI Leap year co " “s: Leap yeart-i-no fear—” नामांद्ध छद्धडिमडिक ^ S ছক্কন চা এনে দিলে। তাকে তামাক দিতে বলা হ’ল--- “তেইয়া দেকে কাল কো মতন সাজনা।” চায়ে চুমুক দিয়ে—“ই, ফিগারগুলো মাথায় গুছিয়ে নি” ব'লে কাগজখানা বার করে— ( ১ ) উনত্রিশ দিনে মাস (২) উনিশ দিনের (পুরো নয় ) সন্ধা পৌনে ছয়টা পৰ্য্যম্ভ (৩) তিন বেলা কামাই—(শৰ্ম্ম সেটা কাটবেনই)। ( 8 ) একদিন সওয়া দশটার পর আসে —( বেটার খুশী নাকি ? )—কখন সকাল হয়েছিল সেটা ত জানা চাই। পাজি দেখলেই বেরিয়ে আসবে। (৫) মাস-মাইনে স-পাচ, আর সাত আনা জলপানি ; একুনে ৫le/ আনা । “বস্—এই ত মামলা । এই ত মুটোর মধ্যে এনে ফেললুম। বাকি রইল–গুড়ক টানতে টানতে টপাটপ বসিয়ে দেওয়া।" গুড়ুকে টান দিয়ে—“ছ-একটা ফিগার টােকা দরকার হবে দেখছি। খোঁচখাচগুলো সাক্ষ করা চাই। না হলে খোট্টাকে বোঝানো যাবে না,—মুখখুর সঙ্গে কারবার। কিন্তু পাজিখান চাই ত, স্বৰ্যোটা দেখতে হবে। হতভাগা, সন্ধ্যা পউনে-ছ’টায় কাজ ছেড়ে মরেছে যে ! বেষ্পতিবার ভর-সন্ধ্যে বেলায় এমন কাজও করে –এদেরই বা আক্কেল কি ? হিসেব জানলে আর..." ভান্টার প্রতি—“দেখ ভান্ট, আমি খারা মনুষ্য হায়, আমার কাছমে গোজাক মিল পাবে না। তোমারা একটি কানাক কড়ি তঞ্চক হতে দেঙ্গা নেই। কিন্তু একটু বিলম্ব হোঙ্গা। পঞ্জিকাটা দেখতে হোগা কিনা। আমি পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করকে রাখেন,—তুমি বৈকালমে আও।” ভাণ্ট বাঙালীদের সংসারে কাজ ক'রে বাংলা বলাটা বেশ সড়গড় ক’রে ফেলেছিল। বললে “আপনি ভাবতা কেনো বাৰু, হামি খোকাবাবুকে দেখতে জালে,—ঘড়ি ঘড়ি ইচ্ছা হোয় কিনা। আপনি বা হিসাব দিবে, হামি তাই নিবে।” இ “এই ত ভাল মাস্থ্যক বাত । আচ্ছা—এখন বাড়িক মধ্যসে পঞ্জিকা আনকে দিয়ে যাও।”
