পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مسوا حسوه প্রবাসী SN98R ট্যার চোখ কেন হয় ১। আমাদের দু-চোখে যে-কোন একটা জিনিষের ছায়া আলাদা আলাদা পড়ে। জিনিষটার কতকটা অংশ ডান চোখে বঁ-চোখে এক সঙ্গেই দেখা যায় আর কতকটা অংশ ." ডান চোখে দেখি ব-চোখে দেখতে পাই না। অন্ত কতকটা অংশ গুধু বা চোখে দেখি ডান চোখে দেখি না। স্বস্থ সবল চোখ দুটি ছ-জোড়া পেশীর সাহায্যে এমন ভাবে ধোরে যাতে ছুটি চোখের ছায়া এক হয়ে মস্তিষ্কের অংশ-বিশেষে একটি নূতন ছবির জ্ঞান জন্মায়। অন্যান্য ইঞ্জিয়েরই মত এই জ্ঞানের স্ফুরণ সকলের সমান ভাবে হয় না। কোন কোন লোকের এ জ্ঞান একেবারেই থাকে না, আবার কারুর এর চরম বিকাশ হয়। চোখের দুটো ছবিকে এক ক’রে দেখবার শক্তি যাদের কম থাকে, কি যাদের একেবারেই থাকে না, তাদের চোথের কয়েকটা ব্যারাম, অত্যধিক মানসিক বা স্বায়বিক উত্তেজনা, ভয় বা কোন দৌৰ্ব্বল্যকারক ব্যারাম হ’লে তারা সহজেই ট্যারা হয়ে যায়। এই সকল লোকের একটা চোখ যদি কোন কারণে কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে রাখা হয় তা হলেও চোখ ট্যারা হয়ে যেতে পারে। এই হ’ল ক্লড, ওয়ার্থের মত।

  • woo (myopia wishort sight) * so oft (hyperopia x long sight) toote aste §rial হয়ে যেতে পারে । ( ডনডাসের মত ) ৷

৩ । যে ছ-জোড়া পেশীর সাহায্যে চোখ ঘোরে ফেরে তাদের কোন-একটা যদি স্বাভাবিক মাপের চেয়ে ছোট বা বড় হয় তাহলে সেই চোখটি ট্যারা হতে পারে। ( ফন গ্ৰায়াফের মত ) ৷ ৪ । যে-সকল পেশীর সাহায্যে চোখ ঘোরে সেই সকল পেশীকে যে স্বায়ু চালিত করে সেই স্বায়ু অবশ হ’লে চোখ ট্যারা হয়। ৫ । চোখের কোটরে যদি অাব হয় তাহলে চোখটি স্থানভ্রষ্ট হয়ে ট্যারা হতে পারে। এটি কিন্তু আমাদের আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্গত নয়। ৬। বাপ-মা’র চোখ ট্যারা থাকূলে সন্তানের চোখ ট্যারা হতে পারে। - - ৭ । ছোট ছেলেদের তড়ক হ'লে ট্যারা হতে পারে। ট্যারা চোখের শ্রেণী-বিভাগ ট্যারা চোখ দুই শ্রেণীর হয়। ‘ব্যক্ত ট্যারা আর sa bifal ( manifest and latent) , abia citir রয়েছে দেখেই আমরা বলতে পারি এ লোকটির চোখ ট্যারা— এ হ’ল ব্যক্ত ট্যারা । গুপ্ত ট্যারার চোখ যে বাকা তা সাধারণতঃ বোঝা যায় না। খুব আধুনিক কতকগুলি যন্ত্রের সাহায্যে ধরা যায়। এদের প্রত্যেকটিকে আরও দুই ভাগে ভাগ করা যায়—“স্থায়ী ট্যারা' ! fixed ) ও ‘অস্থায়ী ট্যারা’ (alternating ) | স্থায়ী ট্যারার একটি চোখ সব সময়েই একই দিকে বেঁকে থাকে। অস্থায়ী ট্যারার চোখ একবার বেঁকে যায় আর একবার সোজা হয় । যখন ডান চোথ বেঁকে থাকে তখন বঁ|চোথ সোজা হয়—যেন সহজ চোখ । অল্প পরেই সোজা চোখটা বেঁকে যায় তখন যে চোখটা বাকা ছিল সেটা সহজ চোখের মত সোজা হয় । স্থায়ী ট্যারাকে আরও পাচটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। ১। অস্তবৃত্তি * ২। বহিবৃত্তি, ৩ । উদ্ধরভি, ৪ অধোবৃত্তি ও ৫ । বৃত্তবৃত্তি । অন্তবৃত্তি ট্যারা চোখ নাকের দিকে বেঁকে থাকে, বহিবৃত্তি রগের দিকে । উৰ্দ্ধবৃত্তি ট্যারার একটা চোখ উপর দিকে উঠে যায় আর অধোবৃত্তির একটি চোখ নীচের দিকে বেঁকে থাকে, অন্য চোখটি সহজ অবস্থায় থাকে। বৃত্তবৃত্তি ট্যার চোখের উপরের দিক নাকের দিকে বা রগের দিকে বৃত্তাকারে বেঁকে যায় । ব্যক্ত ট্যারা মুখশ্ৰী নষ্ট করে আর সময়ে সময়ে কষ্টদায়কও হয়, কিন্তু গুপ্ত ট্যারা থাকলে অসুবিধা আর যন্ত্রণাই বেশী হয়। কত বয়স থেকে ট্যারা চোখের প্রতীকার করা উচিত খুব অল্প বয়সেই—এমন কি দেড় বছর দু-বছর বয়সেই ট্যারা চোখের প্রতীকার করা আবশুক। অনেকে মনে করেন যে ছোট বয়সের ট্যারা বড় হ'লেই সেরে যাবে—এটি খুবই ভুল ধারণা। যত দেরি হয়, সারান অসম্ভব না হ'লেও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে, আর ট্যারা চোখের দৃষ্টি কমে যেতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মত ছিল যে, শিশুর বয়স ছ-বছরের উপর হলে আর ট্যার-চোখ সারান যায় না। সম্প্রতি জানা গেছে • वृ-िपडाब