পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* æeäğ سميت باس অবধি ওর বাপের অত্যাচার থেকে বাচাতে পারব কি না জানি না। কিন্তু ভয় দেখিয়ে ওকে কোন লাভ নেই, ভয়ে ও দমে না ।" অমর বলিল, “না-হয় অন্ত রকমে আমাদের সাহায্য করুন তিনি। খোলাখুলি বাপের বিরুদ্ধাচরণ নাই করলেন ?” ঘামিনী বলিলেন, “বাবা, তোমাকে তা হ'লে সব কথা স্পষ্ট করে বলতে হয়। ওঁর কেন জানি না ধারণা হয়েছে তোমরা এখানে এসে প্রজাদের তার বিরুদ্ধে উত্তেজিত করছ, খাজনা দিতে বারণ করছ, এই জন্যে র্তার ভয়ানক রাগ তোমাদের উপর। যে-কোন উপায়ে তোমাদের এখান থেকে তাড়াতে তিনি একেবারে উঠে-পড়ে লেগেছেন। এখন যে-ভাবেই মমতা তোমাদের সাহায্য করতে যাবে, তাতেই ওঁর বিষদৃষ্টিতে পড়বে। আমি যে কি করব, তা ভেবেও পাচ্ছি না।" অমর একটু ইতস্ততঃ করিয়া বলিল, “আমি কি কিছু করতে পারি ?” যামিনী বলিলেন, “তোমাকে হয়ত অনেক কিছুই করতে হবে। সে আমার সময় মত বলব। আজ মমতাকে একটু ব’লৈ যাও, সে যেন এ নিয়ে জেদ ক’রে বাড়াবাড়ি না করে। উনি অতি রাগী মানুষ, রাগলে তার জ্ঞান থাকে না।” চাকর চায়ের সরঞ্জাম লইয়া দরজার কাছে আসিয়া দাড়াইল। জিজ্ঞাসা করিল, “চা কি এই ঘরে দেব মা ?” যামিনী বলিলেন, “না, চা খাবার-ঘরেই দাও, আর দিদিমণিকে খবর দাও।” মমতা মায়ের ডাকে উঠিয়া মুখ ধুইয়া, খাইবার ঘরে প্রবেশ করিল। ভিতরে ঢুকিয়াই সে দাড়াইয়া গেল, প৷ যেন তাহার আর চলিতে চায় না। অমর বিকালে আসিবে বলিয়াছিল, কিন্তু সত্যই যে সে আসিবে, তাহা মমতা আশা করে নাই । যামিনী বলিলেন, “আয় চা খেয়ে নে। সারাটা দিন ত তোর উপোল করেই কাটল ।” মমতা জান্তে আস্তে আসিয়া চেয়ারে বসিল । অমর একবার তাহার দিকে তাকাইয়া চোখ ফিরাইয়া নিল। ७कü नबकाब्र ৰৱিল বটে, কিন্তু তাহাও যেন অন্ত দিকে জন্মস্বত্ব e62\ سty চাহিয়া। এই মেয়েটি কেন এমন করিয়া তাহাদের জন্ত বিপদ বরণ করিতেছে ? শুধু প্রজাদের দুঃখে ব্যথিত হইয়াই কি ? যামিনী প্লেটে করিয়া খাবার সাজাইয় অমরের দিকে ঠেলিয়া দিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমায় চা দি ? চা খাও ত - অমর বলিল, "চা থাই বটে, তবে এখানে আসার পর বিশেষ আর জোটে না। এত খাবার আমায় কেন দিচ্ছেন ? আজ দুপুরে একটু অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে গেছে, এখনই আর খেতে পারব না ।” যামিনী মমতাকে খাবার দিতে দিতে বলিলেন, “কি আর বেশী, সামান্তই ত দিয়েছি।” অমর প্লেটটা টানিয়া নিজের সামনে রাখিল বটে, কিন্তু তখনই থাইতে আরম্ভ করিল না। মমতার দিকে চাহিয়া বলিল, “দেখুন, আমাদের কষ্ট করা অভ্যাস আছে, খাওয়াদাওয়ার অস্থবিধা আমরা স্বচ্ছন্দে সয়ে যেতে পারব। কিন্তু এ নিয়ে যদি আপনাকে কোন রকম শক্ত কথা শুনতে হয়, তা হ’লে সেটা সহ করা ঢের বেশী শক্ত হবে। আমার অনুরোধ আপনি আমাদের জন্তে বিন্দুমাত্রও ভাববেন না।” যামিনী দেখিলেন র্তাহার মেয়ের চোখে প্রায় জল আসিয়া পড়িবার যোগাড় হইয়াছে । কিন্তু যেমন করিয়া হউক মমতার কথা এখন মমতাকেই বলিতে হুইবে । যামিনী ত তাহার হইয়া সকল যায়গাই কথা বলিতে পারেন না ? অন্ত দিকে মুখ ফিরাইয়। মমতা বলিল, “আমি যা উচিত মনে করি, তা একটু শক্ত কথার ভয়ে করব না কেন ? আমি কি এতই অপদাৰ্থ ?” অমর ব্যস্ত হইয়া বলিল, “আমি একেবারেই তা মনে ক'রে কথাটা বলি নি । কিন্তু আপনাকে কোন ভাবে আমাদের জন্যে দুঃখ পেতে হচ্ছে, এটা সহ করা আমার পক্ষে শক্ত। তাই বলছি।" | যামিনী একটা ছুতা করিয়া পাশের ঘরে চলিয়া গেলেন। ইহাদের যাহা-কিছু বলিবার আছে, বলিতে দেওয়া ভাল। তিনি থাকিলে মিখ্যা সঙ্কোচে হয়ত তাহারা বাধা পাইবে। মমত হয়ত মায়ের চলিয়া বাওয়ার অর্থ বুৰিতে পারিল।