পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-8之 আবার আড়াই হাজার বৎসরের পর ধ্বনিত হইতেছে ; ঠিক সেই ভাবে নহে, কেবল একটু পরিবর্তিত ভাবে, অর্থাৎ যে ভাবে আমরা বুঝিতে পারি অথবা বাংলার আবালবৃদ্ধবনিতা বিন কষ্টে বিন ক্লেশে বুঝিতে পারে । “আমি বাংলাকে ভালবাসি, আমি বাংলার সেব করব, আমি বাংলার ব্রতচারী হব।" এই ত্রিশরণে বাংলা—বুদ্ধ, সেবা--ধৰ্ম্ম এবং ব্রতচারীসঙ্ঘ । বাঙালী শ্যুত গুরুসদয় দত্তের নেতৃত্বে আজ এই নূতন ত্রিশরণে দীক্ষিত হইতেছে, ইহা অপেক্ষ আনন্দের কথা কি হইতে পারে ? শিবাজীর মৃষ্টির পধিমূলে রায়বেশে নুত্য পৰ্বণন ব:ঙলীদের সুদশার চিত্র অনেকেই দিয়াছেন, কিন্তু বৰ্ত্তমান শিক্ষিত বাঙালীর মনোভাব কোন দিকে অগ্রসর হইতেছে তাহা শ্রদ্ধেয় শ্রপশু পরশুরাম যেরূপ “কচি-সংসদে’ দেখাইয়াছেন তাহ অতুলনীয়। লেখাপড়-শেখা বাঙালী পাতল হবে, রক্তহীন হবে, মেয়েমানুষের মত নাম রাগবে, কাপড় পরবে, পথ চলবে, চোথে চশমা পরবে, অল্পে ক্লান্ত হবে, খুব ঘুমূবে আর একেবারেই পরিশ্রম করবে না, এই দাড়াইয়াছিল বাঙ্গালীর আদর্শ। এইরূপ অদ্ভুত আদর্শ লইয়। বাঙালী ধ্বংসপথে অগ্রসর হইতেছিল। সেই ধ্বংসোন্মুখ বাঙালীকে রক্ষা করিবার জন্ত ব্রতচারী প্রবাসী SN28。 পরিচেষ্টা আগুয়ান হইয়াছে, এবং ব্রতচারী সম্প্রদায়ের প্ৰবৰ্ত্তক মিঃ গুরুসদয় দত্ত সেই পরিচেষ্টাকে প্রেরণা দিতেছেন । বাঙালীর মনে কি করিয়া আশা, ভরসা, উদ্যম ও আনন্দ আনিতে পারে, কি করিয়া বাঙালী জাতির প্রাণে নবচেতন৷ আনিয়া দিতে পারে, তাহাই শ্ৰীযুক্ত গুরুসদয় দত্তের একমাত্র চিস্তার বিষয়, একমাত্র সাধনা, একমাত্র ধ্যান হইয়াছে । আজ বাঙালী অন্নহীন, বক্সহীন, বুদ্ধিহীন, বিদ্যাহীন, নিরাশার মহাসাগরে ভাসিতেছে। আজ তাহদের নূতন বাণী শুনাইবার জন্য বাংলার শিক্ষকবীপে গুরুসদয় আসিয়াছেন, বাঙালীর মনে আশা দিতে, বাঙালীর প্রাণে নবচেতনা দিতে, বাঙালীকে কাজ শিখাইতে, বাঙালীকে হাস্ত ৪ আনন্দরসে পরিপ্লুত করিতে, বাঙালীর শরীরে অটুট স্বাস্থ্য ও অমিত তেজ দিতে। বাঙালী-চরিত্রে বাঙালী সমাজের গলদ কোথায়, নিপুণ বৈদ্যরাজের ন্যায় তিমি তাহা ধরিয়াছেন তাহার প্রতীকায় তিনি করিয়াছেন । থাটি বাংলা দেশের সংকুষ্টির ভিতর দিয়! বাঙালীকে তিনি নূতন জাতি করিয়ু তুলিবার চেষ্টা করিয়াছেন। মিঃ দত্ত আসিয়াছেন কাজ করিতে, ভগবান র্তাহার সহায়। র্তাহার বাণী লোককে শুনিতে হইবে, এই শুনাইবার অধিকার লইয়। তিনি জন্মগ্রহণ করিয়াছেন । পরম করুণাময় তাহাকে দীর্ঘজীবী করুন এবং দলে দলে বাঙালী ব্রতচারী হইয় নিজের জীবন পরিপূর্ণ করুক, সফল করুক,এবং দত্ত-সাহেবের আঞ্জীবনের সাধনার সিদ্ধি বিধান করুক, ইহাই প্রার্থন । পরিশেষে ইহাও বলিয়া রাখা দরকার, যে, আমি ব্রতচার: হি, ব্রতচারী কখনও হইব কিনা তাহা ভবিষ্কৃতের যোগ:যোগের উপর নির্ভর করে। ব্রতচারী পরিচেষ্টা আমাদের মত বহুদূরপ্রবাসী বাঙালীর মনে যে কি ভাব আনয়ন করে, তাহারই একটা ধারণ এখানে দিবার চেষ্টা করিয়াছি ; কোনরূপ দলপুষ্টির জন্য অতিরঞ্জিত কথা ইহাতে বলি নাই। এবং