পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 سty মূলক বহু প্রতিষ্ঠানের সহিত র্তাহার যোগ আছে, এবং এইরূপ বহু প্রতিষ্ঠান তাহার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বাৰ্ত্ত তিনি হিন্দুস্থানী মহিলাগণের মধ্যে বহুল প্রচার করিয়াছেন এবং করিতেছেন। র্তাহার উৎসাহে ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সনে রবীন্দ্রনাথের “নটার পূজা” হিন্দীতে অনুদিত হয় এবং মীরাট দুর্গাবাড়ী বালিক-বিদ্যালয়ের ভূতপূৰ্ব্ব প্রধান শিক্ষয়িত্রী Σ δΨ8 প্রবাসী SN?8。 প্রযুক্ত স্নেহস্থা গুপ্তের সহায়তায় তিনি উহা হিন্দুস্থানী বালিকাদিগের দ্বারা স্থানীয় জেলা প্রদর্শনীতে অভিনয় করান। তাহার মধুর ব্যবহারে স্থানীয় মহিলাগণের মধ্যে তিনি অতিশয় ভালবাসা ও শ্রদ্ধার পাত্রী। শেরকেটের রাণী ফুলকুমারী সাহেব বিজনেীর ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ডের সভানেত্রীর পদে সর্বসম্মতিক্রমে নিৰ্ব্বাচিত হষ্টয়াছেন। ভারতীয় মহিলার এইরূপ সম্মান এই সৰ্ব্বপ্রথম। গ্রামের সমস্যা ঃ স্ত্রীশিক্ষা শ্রীঅবলা বসু বাংলার এই শিক্ষা ও আন্তজাতিক মহিলা সম্মেলনের সপ্তাহে অন্ততঃ শহরের সকলেই শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে একমত। গীপুরুষনির্বিশেষে সকলেরই উচ্চশিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষার ব্যবস্থা থাকা দরকার। শিক্ষার মাপকাঠির হারেই আজকাল জাতীয় জীবনের উন্নতি অবনতির পরিচয় পাওয়া যায়। বর্তমান জগতের উন্নত জাতিগুলির তুলনায় পরাধীন ভারতের শিক্ষার হার যে অতি নগণ্য তাহা সকলেই জানেন । যেখানে উন্নত জাতির শতকরা প্রায় ৯০, ৯৫ জন লিখনপঠনক্ষম, সেখানে ভারতের প্রায় শতকর ততজনষ্ট ব। আরও অধিক লিখনপঠনে অক্ষম । ভারতের শিক্ষণসমস্ত স্ত্রীপুরুষ সকলের পক্ষেই সমান । পুরুষের কৰ্ম্মক্ষেত্র বাহিরে থাকায় ও সংসারের আর্থিক ব্যবস্থা সাধারণতঃ পুরুষকে করিতে হয় বলিয়৷ আমাদের দৃষ্টি পুরুষদের শিক্ষার দিকেষ্ট বিশেষভাবে পড়ে। মেয়েদের কৰ্ম্মক্ষেত্র সাধারণতঃ অস্তঃপুরে সীমাবদ্ধ বলিয়া এবং তাহাদিগকে সংলারের আর্থিক সমস্ত পুরণ করিতে হয় না বলিয় মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তী সম্বন্ধে আমাদের মন সজাগ নয়। এই জন্যই আমাদের শিক্ষণও তাহার যথার্থ মর্যাদা লাভ করিতে পারে নাই। শিক্ষা যে কেবলমাত্র চাকরি বা ধনাগমের কার্য্যে যোগ্যতা লাভ করা নয়—শিক্ষা যে মানবজাতির ব্যক্তিগত, পরিবারগত, সমাজগত ও রাষ্ট্রগত সমস্ত প্রয়োজন ও কল্যাণ সাধনের পথকে উন্মুক্ত করিয়া দেয়—ইহাও আমরা ভুলিতে বসিয়াছি । তাই স্ত্রীশিক্ষার কথায় এখনও অনেকেই ক্র কুঞ্চিত করিয়া থাকে, অথচ সৰ্ব্বত্রই ভাবী সমাজের, ভাবী জগতের আগন্তুকের অস্তঃপুরে মেয়েদের প্রভাবের মধ্যেই মাতুষ হইয়া থাকে। কিন্তু মাতুষকে ‘মানুষ’ করিয়া তুলিতে হইলে যে গভীর ব্যক্তিগত, পরিবারগত, সমাজগত, রাষ্ট্রগত, জ্ঞানের প্রয়োজন তাহা ত ইহারা লাভ করিবার স্বযোগ পায় না— দেশের উন্নতি হইবে কি করিয়া ? আমাদের দেশে বর্তমানে মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে যে একটু সজাগ ভাব আসিয়াছে, তাহার মূলেও কিন্তু এই শিক্ষার মর্য্যাদা তেমন ভাবে স্থান লাভ করে নাঙ্গ ধেমন আর্থিক সমস্ত স্থান লাভ করিয়াছে। সেই জন্তই দেখিতে পাই বৰ্ত্তমান শিক্ষাপ্রাপ্ত মেয়ের চাকরির উমেদারীতে যেমন ধাস্ত, শিক্ষার মধ্যাদাস্বার। পরিবার ও সমাজকে বলশালী করিয়া তুলিতে তেমন সজাগ নন । এই জন্মই ২ tঞ্জও আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত নরনারীর মধ্যে দেশের সমস্ত, গ্রামের সমস্ত, জাতীয় জীবনের সর্বদিকের সমস্ত। সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া তাহ সমাধানের জন্য তেমন আগ্রহ দেখিতে পাই ন । দেশের বর্তমান উচ্চশিক্ষ, দেশের ছেলেমেয়েদের চরিত্রে ও চিস্তায় বল আনিতে পারিতেছে না। এই জন্য সকলেই