চৈত্র পিছনে বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নারীশিক্ষা সমিতি, জাতীয় মহাসমিতি ও সরকার বাহাদুর যদি সচেষ্ট হন, তবেই তাহ অনায়াসসাধ্য হইতে পারে। এই সব অনুষ্ঠানপ্রতিষ্ঠান যদি এই দিকে উৎসাহী হইয়া, আর্থিক চিন্তা হইতে মণিপুর-প্রবাসে جیسون মুক্ত করিয়া উচ্চশিক্ষিত আদর্শ পরিবার ও যুবক-যুবতীকে এই ভাবের কেন্দ্র গড়িয়া তুলিবার কাজে নিয়োগ করিতে পারে, তবেই মেয়েদের শিক্ষাবিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত গ্রামের জীবনে আবার প্রাণ ও আনন্দের সঞ্চার হইতে পারে। মণিপুর-প্রবাসে শ্ৰীনলিনীকুমার ভদ্র গত বৎসরের ভাদ্র সংখ্যা প্রবাসী'তে মণিপুরী নৃত্যউৎসব সম্বন্ধীয় আমার প্রবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই মণিপুরের 'যাকাইরোল’ বা জাগরণ নামক মাসিকপত্রের সম্পাদক ডাক্তার লৈরেন সিংহ নিংথৌজম আমায় দুর্গাপূজার ছুটিতে ইম্ফলে গিয়ে কুয়াক-তলব উৎসব দেখবার জন্যে নাগ নৃত্যু নিৰ্ব্বন্ধ অমুরোধ জানিয়ে একখানা পত্র লেখেন। গেল বছর নানা কারণে র্তার অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভবপর হয় নি। এবার কিন্তু পূজাবকাশে ইম্ফলে গিয়ে মণিপুরীদের অন্যতম প্রধান জাতীয় উৎসব কুয়াক-ভলবা দেখবার মতলব বহু দিন আগে থেকে স্থির করে রেখেছিলুম। তাই আমাদের রেডক্রস সোসাইটির আপিস যেদিন বন্ধ হ’ল সেই দিনই (২রা সেপ্টেম্বর) রাত্রের ট্রেনে মণিপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়া গেল। পরদিন রাত আন্দাজ নয়টার মণিপুর রোড ষ্টেশনে নেমে পড়লাম । রাত্রিটা ষ্টেশনেই কাটিয়ে ৪ঠা তারিখ সকাল বেল ইম্ফলগামী মোটরে উঠলাম। এ জায়গা থেকে ইম্ফলের দূরত্বএক-শ চৌত্রিশ মাইল,—মোটর-ভাড়া কুল্যে এক টাকা । প্রাচীন কংলা বা দরবার-গৃহ নীচুকর্ডের গেট ছাড়িয়ে আমাদের মোটরখানা বনানীমণ্ডিত নাগাপাহাড়ে প্রবেশ ক’রে হিলিমিলি রাস্তা বেয়ে চলতে লাগল। ছপারে দূরপ্রসূরী মহাবন, স্থানে স্থানে বনস্পতিসমূহের শীর্ষদেশ থেকে পুপথচিত লতাগুচ্ছ ঝল্ঝলে ঝালয়ের মত দোলায়মান। খামল বনভূমি অতিক্রম করে মোটরখানা দুর্গম বন্ধুর গিরিপথ বেয়ে ক্রমশ উৰ্দ্ধে আরোহণ করতে লাগল। রাস্তার ব্যদিকে স্বগভীর খদের ওপারে সুবিন্যস্ত অনন্ত পৰ্ব্বতমালার বর্ণবৈচিত্র্য অপূৰ্ব্ব। নিকটের পাহাড়শ্রেণী ঘনসবুজ, তার পরের সারি পাশুটে রঙের, আর
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।