পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Նա6:3 প্রবাসী ১৬৪২ দাওয়ার পর মণিপুরী অভিনয় দেখবার উদেখে যাত্রার আসরে যাওয়া গেল । অভিনয় বহুক্ষণ স্বরু হয়েছে। এখন রাজকুমারী খইবি’র জ্যেষ্ঠতাত মহারাজ চিংথু তেল হেইবা আসরের মাঝখানে দাড়িয়ে গল! একেবারে সপ্তমে চড়িয়ে ঢোলের বাজনার তালে তালে গর্জাতে গর্জাতে সবাইকার কানে তালা ধরিয়ে দিচ্ছেন। দেশে যাত্রার আসরে বহুবার ভীমসেনদের ইাকডাক শুনে আঁৎকে উঠেছি। কিন্তু এই বীরবরের ঢোলের আওয়াজ ছাপানে ভীম-নাদের কাছে সে-সমস্ত কোথায় লাগে ; আমাদের যাত্রীদলের ভীম-মশাইরা এখানে এসে দিনকতক এই প্রচণ্ড অভিনেতাটির শাগরেদি করলে আসর আরও সরগরম করে তুলতে পারতেন। যাকৃ, যতক্ষণ বাক্যযুদ্ধ চলছিল ততক্ষণ অবশু আশঙ্কার কোন হেতু ছিল না। কিন্তু শেষে যখন মহারাজ অসিযুদ্ধ অর্থাৎ লম্ববন্ধ করে বেমালুম তলোয়ার ঘুরিয়ে ধুন্ধুমার বাধিয়ে তুললেন, তখন অচিরেই সামিয়ানায় টাঙানো পেট্রোমান্ধটা চুরমার হয়ে একটা মারাত্মক ব্যাপার ঘটবে ভেবে আমি উৎকণ্ঠিত হয়ে উঠলাম। কিন্তু আশ্চৰ্য্য এই বিপৰ্য্যয় কাও সত্বেও কোন দুর্ঘটনা ঘটল না। “পথের পাচালী’র বিচিত্র কেতুর মত ইনিও দেখছি সব বাচিয়ে চলে কেরামতি দেখাতে জানেন, বহক্ষণ লাফানো-বfাপানোর পর মহারাজ ক্লাস্ত হয়ে চেয়ারে বসে ইাপাতে লাগলেন। একটু বাদে মাথায় পাগড়ী, গায়ে সাটিনের কোর্তা একটি যুবক আর কুমারী-বেশে সজ্জিত একটি স্বত্র বালক রঙ্গস্থলে এসে নাচ স্বরু করলে। বালকটি সেজেছে রাজকুমারী 'খইবি’ আর যুবকটি নিয়েছে রাজকুমারীর প্রেমাম্পদ ‘খাম্বা'র ভূমিকা। এদের নৃত্য শেষ হ’লে এক ব্যক্তি বঁাশ ও কাপড় দিয়ে তৈরি একটা ষাড়কে রজস্থলে নিয়ে এল। তখন ‘খাম্বা’র ভূমিকার অভিনেতা যুবকটি কিছু সময় বীরত্বব্যঞ্জক অঙ্গভঙ্গী সহকারে লাফালাফি ক'রে অবশেষে নিশ্চলভাবে খাড়া হয়ে এই নকল ঘাড়টার কানের কাছে মুখ নিয়ে কান-ফাটা আৰ্ত্তনাদ জুড়ে দিলে। এর তাৎপৰ্য্য বুঝতে না পেরে আমার পাশেই উপৰিষ্ট মণিপুরপ্রবাসী জনৈক বাঙালী ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করে মবগত झ्णांध ८९, ‘षांश' चांब्र ‘षऐबि'ब्र भून फेनाशाप्न जाप्छ्, ‘षांश' नात्रैौब्रिक नखि थरशारण अर्को चषिङदगनाजौ দুরন্ত পাগল ঘাড়কে বাগ মানাতে অসমর্থ হয়ে অবশেষে সঙ্গীতের মোহিনীশক্তি প্রভাবে উক্ত চতুষ্পদটির মন গলিয়ে তাকে বন্দী করে । আপাততঃ সেই ব্যাপারটারই নাকি অভিনয় চলছে। ও: ! তাহলে আমি ষে জিনিষটাকে আৰ্ত্তনাদ মনে করেছিলাম তার নাম সঙ্গীত । কিন্তু এই প্রাণান্তকর সঙ্গীতের চোটে আমার যে মাথায় খুন চড়বার যোগাড় । এর চাইতে বরং একটি জীবস্ত ঘাড় আসরে এসে যদি সঙ্গীত জুড়ে দিয়ে আমাদের মন গলাবার প্রয়াস স্বয় ক’রে দিত, তাহলেও বোধ করি এতদূর অসহ হয়ে উঠত না । বাস্তবিক এই মণিপুরী সঙ্গীত যে কিরূপ কৰ্ণপীড়াদায়ক তা স্বকৰ্ণে না শুনলে আপনার ধারণাও করতে পারবেন না। যাই হোক, তবু রক্ষা এই যে, আল্লক্ষণ মধ্যেই মহাসঙ্গীত এবং পালা সায় হ’ল । ৬ই সেপ্টেম্বর । আজ বেড়াতে বেড়াতে ইম্ফলের ‘সেনা কাইথেল’ মামক নারীদের প্রকাও বাজারে এসে উপস্থিত হলাম। এ বাজারে বেচা-কেনায় বড় অগুণতি মেয়েদের ভিড় দেখে মনে হচ্ছে যেন এখানে নওরোজ উৎসবের ধুম লেগে গেছে। সার-বাধা চালাঘরগুলোর ভেতরে এবং বাইরে কাতারে কাতারে বিবাহিতা মণিপুরী স্ত্রীলোকেরা নিজ নিজ পসরা নামিয়ে বসে গেছে। কোন কোন পসারিণী ডাবাহকোয় ধূমপানে রত। সওদা করতে ইচ্ছুক নারীদল খুরোওয়ালা বেতের চুবড়ি মাথায় নিয়ে ব্যস্ত-সমস্তভাবে ইতস্ততঃ ঘোরাঘুরি করছে । হাটে পণ্য বিক্রয় করা মণিপুরের অভিজাত নার্থীরাও অপমানকর বলে মনে করেন না। মিসেস্ গ্রিমউড, র্তার ‘মাই খি, ইয়াস ইন্‌ মণিপুর’ নামক পুস্তকে লিখেছেন যে, রাজপরিবারের মেয়েরা পৰ্য্যন্ত এই সেনা কাইথেল’ বাজারে সওদা আর বেসাতি করতেন। এই বাজারে সমাগত মণিপুরের উপত্যকার চতুষ্পাশ্বস্ব পাহাড়গুলোর অধিবাসী বিভিন্ন শ্রেণীর নাগাদের সংখ্যা বড় কম নয়। তন্মধ্যে কাধ থেকে পায়ের পাতা পৰ্য্যন্ত লাল-শাদা বা লাল-নীল রঙের দীর্ঘ বস্ত্রে আবৃত-দেহ টাংখুলর সবচেয়ে দলে পুরু। এদের পাখীর পালক, পশুলোম, সরু ৰাশের টুকরো, চাচা-ছোলা অৰ্দ্ধবৃত্তাকার মোষের শিং ইত্যাদি দ্বারা শোভিত শিরস্ত্রাণগুলো দেখতে ভারি इमब्र । ‘कांबूहेप्नब्र गब्बांनब्रटयब्र राणाहे रूष। शूक्यारब्र