سواهموا প্রবাসী ১৩৪২ পালের অনুমতি নিয়ে ছুপ্রিবেশু জঙ্গলের ভিতর দিয়ে খাড়াই পথ বেয়ে পাহাড়ের মাথায় উঠলাম। গেই অত্যুচ্চ স্থান থেকে বহু নিম্নস্থ পাহাড় এবং দ্বীপমালায় খচিত লেীগতাক হ্রদটি পটে আঁকা ছবিটির মত দৃশুমান হ'ল। ফলের বাগান দেখে নেমে এসে আবার হ্রদের জলে নৌকা ভাসিয়ে দেওয়া গেল। মইরাঙে ফিরে যখন নৌকা থেকে অবতরণ করলাম তখন শুক্ল একাদশীর খণ্ড চাদ থেকে করে-পড়া কুন্দগুভ্রজ্যোৎস্নাধারা অদূরস্থিত পাহাড়টিকে অপরূপ মায়াময় ক'রে তুলেছে। রাত্রিকার ভোজনপর্ব চুকূলে খোলা বারান্দায় আমার শয়নের স্বান নির্দেশ করা হ’ল। দেখে আমার ত চক্ষুস্থির । বাড়িতে ঘর মোটে একখানা। আমরা ঘরে ঢুকলে আবার এদের জাত যায় ; তাই এ ব্যবস্থা । মাঙ্গি যথেষ্ট অভয় দিলেও ভরসা পেলাম না । এখানকার ঝোপে-জঙ্গলে হিংস্রপশুদের বিদ্যমানতা খুবই সম্ভব এবং নিশ্চয়ই তারা এ জায়গার অধিবাসীদেৰ মত বৈষ্ণবভাবাপন্ন হয়ে ওঠে নি। রাত্রে লদি তাদের মধ্যে কেউ দয়া ক’রে শুভাগমন করেন, তা হ’লে খাইপ্রাকৃপাকে ষে কাল প্রভাতে অতিথি-সংকারের পরিবর্তে মৃত-সৎকারের আয়োজন করতে হবে, সে বিষয়ে বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই। ভয়ে আর উদ্বেগে সারা রাত দু-চোখের পাতা এক করতে পারলাম না । ৯ই সেপ্টেম্বর । আজ সকাল-বেলা মইরাঙের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা থাং জিংএর মন্দির দেখতে আসা গেল। মন্দিরসংলগ্ন প্রশস্ত আঙিনায় নৃত্যের স্থান । মইরাঙের মণিপুরী মেয়েদের নাচ অনুপম । নৃত্যশিল্পী মণি বৰ্দ্ধন শুনলাম নৃত্যশিক্ষা ব্যপদেশে মণিপুরে অবস্থানকালে নাচ দেখ তে একবার এখানে এসেছিলেন। - বেলা দুটোর সময় ইম্ফলধাত্রী মোটরে এসে বসলাম । মোটর ছাড়বার কিছুক্ষণ আগে মাঙ্গি বেজায় বেঁটে শিম্পাজীর মত আকৃতিবিশিষ্ট এক ছোকৃরা সহ হাজির ৷ ছোকরাটি এসেই একেবারে যাত্রার দলের দূতের ভঙ্গীতে, বঙ্গভাষার সপিওঁীকরণপূর্বক বললে, “আমি আপনাকে একটা কঠা নিবেন্ডন করিটে এসেসে " বললাম, “ভাল, অসস্কোচে কর ‘নিবেন্ডন’।” শ্ৰীমানের নিবেদন শুনলে কিন্তু শিক্ষিতা বাঙালী কুমারীরা লজ্জায় অধোবদন হবেন। তার একান্ত ইচ্ছা সে একটি লেখাপড়া-জানা বাঙালী মেয়ের পাণিগ্রহণ করে আর আমাকে ঘটকালিতে নিযুক্ত করতে চায়। বামনাবতারটির এই উৎকট ইচ্ছার মূলে কি, তা নিজৰ্ণনবিং ডা: গিরীন্দ্রশেখর বস্ব মহাশয়ই বলতে পারেন । আমি তাকে তার উদ্দেশুসিদ্ধির অসম্ভাব্যতা সম্বন্ধে দু-একটা কথা বলতেই সে আবেগপূর্ণ কণ্ঠে বলে উঠল, “কিমূটু যদি প্রেম হই, টবে ?" বাস্ রে, এ যে বিকৃত বঙ্গভাষায় সেই দুরূহতম চিরন্তন প্রশ্ন। প্রেমিক-প্রবরের এই জটিল প্রশ্নের কি জবাব দেব ভাবছি, এমন সময় এই নাটকীয় মুহূৰ্ত্তে, ড্রাইভারের কি অন্যায়, মোটরে ষ্টাট দিলে। মোটরে বসে বসে ভাবতে. লাগলাম, বামন-মশায় চাদ ধরবার আশায় যে-রকম মরিয়া হয়ে উঠেছেন, তাতে শেষটায় তার অদৃষ্টে না কোন দুৰ্গতি, ঘটে । ولسنوي : エリ :E:J& E:::
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।