কীৰ্ত্তিক মতিলাল ግê মদন বলে—ছাই। বস্ত গায়ে দিয়ে–ভালুকের রোয় माझे--यांः । পাৰ্ব্বতী বলে—ভূত সাজতে পার ? হাসিতে হাসিতে মতিলাল বলে—হু ! না খেলে আমি ভূত সেজে ধরব ! —কই সাজ দেখি ভূত ! —সেই ধরমপুজোর সময়। আর দেরি নাই। —বাঘ সাজতে পার ? تقس —সব সাজতে পার তুমি ? –झैँ ! ভীত অথচ মুগ্ধ-বিস্ময়ে ছেলে দুইটি মতিলালের দিকে চাহিয়া থাকে। মতিলাল ডাকে—শোন –শোন --একটা কথা বলি। সঙ্গে সঙ্গে সে নিজেই আগাইয়া আসে । ছেলে দুইটি সভয়ে ছুটিয়া পলাইয়া যায়। ভূবন বলে—তোর যেমন আদিখ্যেতা ! স্বভাব ! মতিলাল হি হি করিয়া হাসিয়া বলে—ওরা ভয় করে— আমার ভারী ভাল লাগে ভোবন ! আমি আবার বলি কি জানিস—-দুধ খাও ত—না-খেলে আমি ধরব ! এক দিন পেত্নী সাজব দাড়া! ভুবন বলিল—ভূত ত সেজেই আছিস—আর পেত্নী সাজতে হবে না বাপু~থাম! মতিলালের হাসি আর থামিতে চায় না ! 豪 寮 磷 রাঢ় দেশ। বৈশাখ মাসে বুদ্ধ-পূর্ণিমায় ধৰ্ম্মরাজের পূজা, নিম্নজাতির এক বিরাট উৎসব । মতিলালের গ্রামে—- মহুগ্রামে ধৰ্ম্মরাজের পূজার উৎসবে প্রচুর ধুমধাম হয়। মই গ্রামের ধৰ্ম্মদেবতা নাকি ভারী জাগ্রত। চার-পাচগান গ্রামের নিম্নজাতির সকলেই এই ধৰ্ম্মরাজের পূজা-অৰ্চনা করে। এবার উৎসবের আড়ম্বর খুব বেশী। পাশের বঞ্চি গ্রামে স্বর্ণকাররা পাল্লা দিয়া না কি উৎসব করিবে। এবার ঢাক আসিল ত্রিশ খান। মহগ্রামে বরাষ্ট হইয়াছে পয়ত্রিশ খানা। সংবাদটা কিন্তু গোপন রাখা দুধ খাও ত— উ কি তোর হইয়াছে। ও গ্রামের ভক্তের সংখ্যা পয়তাল্লিশ–পঞ্চাশ পূর্ণ করিবার জন্য খুব চেষ্ট হইতেছে। মহুগ্রামের ভক্তের সংখ্যা ষাট ছাড়াইয়া গেছে । চুলওয়ালা দত্তগুড়োর সঙ্গে মতিলাল মহা উৎসাহে তদ্বিরতদারক করিতেছিল। দত্তগুড়ে বলিল-তুইও এক জন ভক্ত হলি না কেন মতিলাল ? মতিলাল হি হি করিয়া হাসিয়া বলিল—উপোস করতে লারব খুড়োমশায় । উ—হবে না। দত্তগুড়ে হাসিয়া বলিলেন-পেটটি না ভরলে মতিলালের আমার চলবে না –না কি বল মতিলাল ? মতিলাল হাসিয়া বলিল –ভোবন কি বলে জান— বলে-প্যাটে ছুরি মার তু! দত্ত বলিল-—তা বেশ । তোকে কিন্তু ইদিকের কাজ ডাক ইকি সব করতে হবে ৷ ‘বোলানে'র দল সব আনতে হবে । আর-–সং এবার কিন্তু খুব.আচ্ছা বঢ়িয়া রকমের হওয়া চাই । মতিলাল একমুখ হাসিয়া বলিল–পাচ জুতো খাব উ গাঁকে হারাতে না পারি ত । সাদ্ধ দুই সহস্ৰ বৎসরেরও পূৰ্ব্বে যে-তিথিতে অৰ্দ্ধ জগতের ধর্মগুরু মহামানব বুদ্ধ স্বজাতার পায়সার গ্রহণ করিয়া স্বানাস্তে মরণ-পণে তপস্তায় বসিয়াছিলেন সেই পূর্ণিমার ঠিক প্রথম লগ্নে উৎসবের প্রারম্ভ—সেই দিন হয় ‘মুক্তিস্নান । দলে দলে ভক্তরা “মুক্তচান’ করিয়া উত্তর পরিতেছিল। ঢাকের বাজনায় সচকিত পার্থীর দল কলরব করিয়া আকাশে উড়িয়া বেড়াইতেছিল –কোন স্থানে বসিতে তাহদের সাহসষ্ট ছিল না। হনুমানের দলও দ্রুতবেগে বিপুল শব্দ করিয়া গ্রাম ছাড়িয়া পলাইতেছিল ; মতিলাল আপনার সঙের পোষাকের থলি বাহির করিয়া বসিয়াছিল, দুই টুক্রা শোলাকে সে ধারাল ছুরি দিয়া চাচিতেছিল । ভূবন বলিল—আ মরণ তোর, দেশের লোক গেল ‘মুক্তচান’ দেখতে—আর পেটুক রাক্কসের কাজ দেখ ! সাদা শোলা দুই টুকরা দুই গালে দুইদিকে পুরিয়া মতিলাল হাত বাড়াইয়া ছটিয়া আসিল—ধরব—খাব তোকে! ভূবনও দুই পা সরিয়া গিয়া বলিল—এই দেখ–ভাল হবে না বলছি ।
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।