বৈশাখ একান্ন বৎসর বয়সে সম্প্রতি পরলোকগমন করিয়াছেন । তিনি একজন যন্ত্রশিল্পী ছিলেন । বাংলা হরফের টাইপয়াইটার ঘন্থ তিনি তৈয়ার করিয়াছিলেন। তাহার প্রতিলিপি বহু বৎসর পূর্বে এই “প্রবাসী’’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । অর্থাভাব জন্ত তিনি বিদেশে গিয়া এবিষরে অধিকতর জ্ঞান লাভ করিতে পারেন নাই, উপযুক্ত অর্থ সংগৃহীত না হওয়ায় ইহা সাধারণে প্রচারিতও হয় নাই । তিনি সাধারণ গৃহস্থের উপযোগী এক উন্নত ধরণের ধূমবিহীন কেরোসিন কুপী নিৰ্ম্মাণের চেষ্টা করিয়া কতকটা কৃতকাৰ্য্য হন । দুর্ভাগ্যবশতঃ ইহ প্রকাশ করিবার পূর্বেই তিনি ইহধাম ত্যাগ করিয়াছেন। বিদেশে বাঙালীর সম্মান— গ্রন্থাগার-আন্দোলনে কুমার মুনীশ্রদেব রায় মহাশয়ের প্রচেষ্টার কথ! প্রবাসীয় পাঠক-পাঠিক অবগত আছেন। রাষ্ট্রসংঘের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক গ্রন্থাগার সমিতি আছে। এই সমিতির অস্ট্রিকূল্যে আগামী মে মাসে স্পেনের মাড়িড় শহরে আন্তর্জাতিক গ্রন্থাগারিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন হইবে । কুমার মুনীতাদেব ভারতবর্ষের পক্ষ ইষ্টতে এই অধিবেশনে ধোগদান করিবার জন্ত রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক •নিমস্থিত হইয়াছেন । পদব্রঙ্গে ভূপরিক্রমণ— শালুত ক্ষিতীশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১৯৩৩ সনের ১৭ই ডিসেম্বর আসাম চিনাকিয়া হইছে একাকী পদব্রজে সমগ্ৰ পৃখিবা ভ্রমণ করিতে প্রীক্ষিতীশচন্দ্র বন্ধ্যোপাধ্যায় বৃত্ত্বিৰ্গত হন। তিনি গৌহাটী, কলিকাতা, পাটনা, কাশী, কানপুর, ক্টাসি, গোয়ালিয়র, ধোলপুর, দিল্লী, আম্বালা, পাতিয়াল, সিমলা, ون দেশ-বিদেশের কথা—বাংলণ ১২১ লাহোর, কাশ্মীর হইয় গত নবেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পেশাওয়ার পৌছেন। সম্প্রতি তিনি রেঙ্গুন হইয়া চীনেয় দিকে অগ্রসর হইতে ইচ্ছা করিয়াছেন ; উহার বয়স বৰ্ত্তমানে তেইশ বৎসর। শিবচন্দ্র স্মৃতি-উৎসব ও পাঠচক্র বার্ষিকী— গত ৬ই জানুয়ারী কোন্নগর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মহাত্ম শিবচন্তা দেবের স্মৃতি উৎসব ও কোন্নগর পাঠচক্রের ষষ্ঠ বাৎসরিক উৎসব একত্রে অনুষ্ঠিত হইয়া গিয়াছে। অধ্যাপক স্ত্রীযুক্ত জয়গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়, এম, এ মহাশয় সভাপতি হইয়াছিলেন। শিবচন্দ্র দেবের জন্মভূমি কোন্নগরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উiহার চিত্রপটে শ্রদ্ধাঞ্চলীসহ মাল্যদান করা হয় এবং পাঠচক্রের কয়েক জন সভ্য তাহার জীবনী ও এই উৎসবের জন্য রচিত উছার স্মৃতির উদ্দেষ্ঠে ভক্তি উপহার প্রভূতি পাঠ করেন । পাঠচক্রের সম্পাদকের বাৎসরিক বিবরণী পাঠের পর সভাপতি মহাশয় “প্রকৃত জীবন" সম্বন্ধে ইংরেজীতে একটি সারগভ বক্তৃতা প্রদান করেন । ডাঃ স্বধীলচন্দ্র মিত্র, এম-এ, ডি-লিট, “রবীন্দ্র সহিত্যের ভিত্তিভূমি’ শীৰ্ষক একটি সুচিস্তিত প্রবন্ধ পাঠ করেন । সভাশেবে নিমস্থিত নর-নারীগণ সঙ্গীতে এবং হীরেন্দ্রনাথ বস্থায় “নটরাজ” প্রভূতি প্রাচ্য নৃত্যে পরম পরিতোষ লাভ করেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা-উৎসব— কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব্বপ্রথম অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা-দিবস উৎসবের পরিচলক-সমিতি, ১৯৩০। ভাইস-চ্যান্সেলার শ্ৰীযুক্ত স্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও অস্তান্ত সভাগণ । পরলোকে ফণীন্দ্রনাথ গুপ্ত— রার বাহাদুর ফণীন্দ্রনাথ গুপ্ত ১৮৭৮ সনে কলিকাতার প্রাতঃস্মরণীয় vদ্বারকানাথ গুপ্তের (ডিঃ গুপ্ত কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা ) পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । স্কুল-কলেজের পাঠ সমাপন করিয়া তিনি স্বদেশী যুগে নিজ বাটতে পেন্ হোল্ডার, পেন্সিল ও নিবের একটি কারখানা স্থাপন করেন । ইহাই পরে, এফ. এন গুপ্ত কোম্পানী নামে পরিচিত হয় । ১৯৭৮ সাল হইতে ভারত-গভর্ণমেণ্ট এই কারখানা হইতে মালপত্রাদি গ্রহণ করিতে থাকেন। কার থানার কার্য্যপ্রসায়ের সঙ্গে সঙ্গে ১৯১৯ সালে তিনি এই
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।