পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

öspsfer বিবিধ প্রসঙ্গ—ভবিষ্যৎভারতশাসন আইন S8> প্রদেশের জার্মানদের সঙ্গে এক হইবার জন্ত সফল চেষ্টা করিয়াছে এবং ফরাসীরা যে সে-চেষ্টার বিরোধিতা করিয়াছে, তাহার মুলে আছে উপরে বর্ণিত কারণসমূহ। ডানজিগ লইয়া যে জার্মেনী ও পোল্যাণ্ডে মতভেদ হইয়াছে তাহারও মুলে উহ আছে। জার্মানভাষাভাষী অনেক লোক আছে, যাহারা জার্মানভাষী অষ্ট্রিয়ার সহিত জার্মেনীর একরাষ্ট্রীভবন চায়। ফ্রান্স তাহার বিরোধী, এবং সম্ভবতঃ ইউরোপের আরও কোন কোন জাতি তাহার বিরোধী । এসব সমস্ত ও প্রশ্নের সহিত আমাদের সাক্ষাৎ সম্বন্ধ নাই, আমরাও মানুষ বলিয়া কেবল গৌণ দূর সম্পর্ক মাত্র অাছে। তবে যে এগুলির উল্লেখ করিলাম, তাহা আমাদের বক্তব্য বুঝাইবার নিমিত্ত। কারণ, যদিও ভারতবর্ষ স্বাধীন রাষ্ট্র নহে, বাংলা দেশও স্বাধীন উপরাষ্ট্র নহে, তথাপি ভবিষ্যতে অল্প বা অধিক যতটুকু ক্ষমতা ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের ( “ফেডারেটেঙ ইণ্ডিয়া”র ) হাতে আসিবে, তাহাতে অন্তান্ত উপরাষ্ট্রের মত ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় বঙ্গের প্রতিনিধিদের সংখ্যা ও যোগ্যতার উপর বঙ্গের উন্নতি অবনতি কতকটা নির্ভর করিবে । উপরাষ্ট্র বঙ্গ মত বড় হইবে ও তাহার প্রেতিনিধির সংখ্যা যত অধিক হইবে, বাঙালীদের শক্তি ও প্রভাব তত বেশী হইবার সম্ভাবনা । অতএব, ব্রিটিশ-শাসিত বাংলাকে বড় করার দিকে আমাদের দৃষ্টি থাকা অসঙ্গত ও অন্তায় নয়। এ বিষয়ে গত চৈত্রের প্রবাসীতে ৮৮৬-৮৮৭ পৃষ্ঠায় “বাঙালীর প্রভাব হ্রাস” প্রসঙ্গে যাহা বলিয়াছি, তাহ দ্রষ্টব্য। “বিহারে বাঙ্গালী” প্রসঙ্গে আরও কিছু বলিব । ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় বঙ্গের প্রতিনিধির সংখ্যা উপরে যাহা লিখিয়াছি, তাহ হইতে ইহা সহজে অনুমেয়, যে, ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভায় বঙ্গের স্তায্যসংখ্যক প্রতিনিধি থাকা উচিত। যে গবষ্মেণ্ট অব ইণ্ডিয়া অইিন অনুসারে বর্তমান সমগ্রভারতীয় ও প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাগুলি গঠিত, তাহাতে বাংলা দেশের প্রতি অবিচার করা হইয়াছে। লোকসংখ্যা অনুসারে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় বঙ্গের যত প্রতিনিধি পাওয়া উচিত, বাংলাকে তত দেওয়া হয় নাই । সাহিত্যে, শিল্পে, বিজ্ঞানে, শিক্ষায়, এবং বাণিজ্যের পরিমাণেও বাংলা অন্ত কোন প্রদেশের নীচে নয়। ইহারও প্রাচীন ইতিহাস, সাহিত্য ও শিল্পও আছে । অনুন আট বৎসর পূৰ্ব্বেও কয়েক বার ইংরেজী ও বাংলায় আমরা বঙ্গের প্রতি এই অবিচার স্পষ্টীকৃত করিয়াছিলাম। কিন্তু বাঙালী সংবাদপত্রসম্পাদকদিগের ও জনসাধারণের এই বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সমর্থ হই নাই । বাঙালীর কয়েক বৎসর ধরিয়া এই অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করিলে কোন ফল হইত কিনা বলিতে পারি না । কিন্তু আন্দোলন করা উচিত ছিল, ইহা বলিতে পারি। - এখন পালেমেণ্টে যে ভারতশাসন আইনের খসড়ার আলোচনা হইতেছে ও যাহার অধিকাংশ ধারা সম্বন্ধে বিতর্ক হইয়া গিয়াছে, সেই বিলের তপশীল অনুসারে ভারতের ভাবী ব্যবস্থাপক সভার দুটি কক্ষে বাংলা দেশের জন্ত যে কয়টি আসন নির্দিষ্ট হইয়াছে, তাহাতে বঙ্গের প্রতি অবিচার করা হইয়াছে । আমরা আমাদের ইংরেজী ও বাংলা মাসিক পত্রে তাহ আগেই দেখাইয়াছি । কিন্তু এবীরেও বঙ্গীয় সাংবাদিকদিগের এবং জনসাধারণের এদিকে দৃষ্টি এখনও পড়ে নাই। তথাপি, জনসাধারণকে এবং প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের দিনাজপুর অধিবেশনে প্রতিনিধি ও অন্ত যাহারা সমবেত হইবেন, তাহাদিগকে জানাইতেছি, ভবিষ্যৎ ফেডারাল র্যাসেমৃত্নীতে বঙ্গের ৪৮ -( আটচল্লিশ)টি আসন পাওনা হয়, তাহীকে দেওয়া হইয়াছে ৩৭ ( সাঁইত্রিশ )ট, এবং কৌন্সিল অব ষ্টেটে পাওনা হয় ত্রিশটি আসন, কিন্তু তাহাকে দেওয়া হইয়াছে কুড়িটি । ভবিষ্যৎ ভারতশাসন আইন পালেমেণ্টে যে ভবিষ্যৎ ভারতশাসন আইনের খসড়া বিবেচিত ও বিধিবদ্ধ হইতেছে, তাহার প্রবল প্রতিবাদ হওয়া আবশ্যক—তাহাতে আগু কোন ফল হইবে না জানা থাকিলেও প্রতিবাদ হওয়া আবশুক। এই আইনটার সব দোষ উদঘাটন করিতে হইলে একখানা বড় বহি লিখিতে হয় । পালেমেন্টে ভারতসচিব স্তর সামুয়েল হোর