জ্যৈষ্ঠ _ vজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের নিকট পুস্তক ভিক্ষা করিতে গিয়াছিলাম। তিনি তথন বালীগঞ্জে তাহার মেজদাদা সত্যেন্ত্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের বাটীতে থাকিতেন। আমি সেইখানে গিয়া তাহার সঙ্গে দেখা করি । আমার নাম শুনিয়াই তিনি বলিলেন, “ আপনিই তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’ ও ‘ভারতী” প্রভৃতি মাসিক কাগজে প্রবন্ধ গল্প লেখেন কি ?” আমি ঐ প্রশ্নের উত্তর দিলে তিনি বলিলেন, “আপনি বেশ লেখেন। আপনার কথা আমি সরলার মুখে শুনিয়াছি।” আমি তাঁহাকে আমার আগমনের উদ্দেশু বলিলে তিনি বলিলেন, “কোন পুস্তক ছাপাইতে আমার যে ব্যয় হয়, সেই পুস্তক বিক্রয় করিয়া যত দিন সে টাকাটা আদায় না-হুম, তত দিন আমি সেই পুস্তক বিনামূল্যে দিই না । সুতরাং আপনাকে আমার সমস্ত পুস্তক দিব না । কয়েক খানা পাইবেন ।” এই বলিয়া তিনি আমাকে তিন-চার খান। পুস্তক আনিয়া দিলেন এবং তাহার পর বোধ হয় এক বৎসর বা দুই বৎসর পরে দুই-এক খনি পুস্তক ডাকযোগেও পাঠাইয়া দিয়াছিলেন । সেদিন তাহার সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তীর সময় দেখিলাম বে তিনি অত্যন্ত মুক্তস্বরে কথা কহেন। দুই-একটি কথার পর তিনি নিজেই আমাকে বলিলেন যে, তাহার হাপানি হইয়াছিল বলিয়। চিকিৎসকগণ র্তাহাকে উচ্চৈঃস্বরে অথবা একাদিক্ৰমে অনেক ক্ষণ ধরিয়া কথা কহিতে নিষেধ করিয়াছেন । আমি সেদিন তাহার কাছে বোধ হয় পনর মিনিটের অধিক কাল ছিলাম না । আমার কোন বন্ধুর পুত্র শ্ৰীমান হৃদয়রঞ্জনের শ্বশুর বাল্যকালে আণমার দেখা লোক Sఆసి জ্যোতি বাবুর হালক-পুত্রের সহিত এক ক্লাসে পড়িতেন, উভয়ের মধ্যে বিশেষ ঘনিষ্ঠত ছিল । এই স্বত্রে আমার বন্ধুর বৈবাহিকের সহিত ঠাকুর-পরিবারের একটু ঘনিষ্ঠত হইয়াছিল। তিনি সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পত্নীকে পিসিমা বলিয়া সম্বোধন করিতেন । আমার বন্ধুপুত্রের সহিত র্তাহার কস্তার বিবাহ হইবার পর আমার বন্ধুপুত্র, সত্যেন্দ্র বাবুর বটীর প্রত্যেক কার্ধ্যে এমন কি মধ্যে মধ্যে বিনা কার্য্যেও নিমন্ত্রিত হইতেন । সত্যেন্ত্র বাবু বা জ্যোতি বাবু যখন । রাচিতে থাকিতেন, তখনও রাচি হইতে আমার বন্ধুপুত্রকে जीक भिक्षुण कब्रिम्न ब्रेटिङ व्णदेब्र ब्रिा भश्व-श्रृन्द्र नि রাখিয়া দিতেন। জ্যোতি বাবুর সহিত আমার সাক্ষাতের প্রায় কুড়ি বৎসর পরে আমার বন্ধুর পুত্রের বিবাহ হইয়াছিল । কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় এই যে, কুড়ি-পঁচিশ বৎসর পরেও যখন তিনি বালীগঞ্জে বা রাচিতে যাইতেন, তখন জ্যোতি বাবু তাহার নিকট আমার সংবাদ লইতেন । হৃদয়রঞ্জনের বিবাহের পর জ্যোতি বাৰু যখন শুনিলেন যে হৃদয়রঞ্জনের বট চন্দননগরে তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “চন্দননগরের যোগেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়কে তুমি জান ?” আমি হৃদয়রঞ্জনের পিতার বাল্য বন্ধু ও প্রতিবেশী এই কথা জ্যোতি বাৰু শুনিবার পর হইতে তিনি হৃদয়রঞ্জনের নিকট সৰ্ব্বদাই আমার সংবাদ জিজ্ঞাসা করিতেন । ডাকযোগে আমার নিকট স্বরচিত পুস্তক প্রেরণ, এবং দীর্ঘকাল পরেও আমার ংবাদ জিজ্ঞাসা—অথচ আমার সঙ্গে তাহার একদিন মাত্র দশ মিনিটের জন্ত আলাপ—ইহা হইতেই পাঠকগণ বুঝিতে পারিuবন যে জ্যোতি বাবু কিরূপ প্রকৃতির লোক ছিলেন । २२-७
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।