ੱਕਹਲੋ ইউরোপে ভারতীয় কুৎসা প্রচার >br@ স্বাধীন দেশ সম্বন্ধে এরূপ প্রচারকার্য্য সম্ভবপর নহে । স্বাধীন দেশের গবর্ণমেন্ট এই প্রকার ফটো বা ফিলমূ কুলিতে অনুমতি দিবেন না, অধিকন্তু এইরূপ প্রচেষ্টাকারীকে সে দেশ পরিত্যাগ করিতেও হইতে পারে । এই সুসভ্য ইউরোপে মজুর ও বেকারদের বাসস্থান ও আচার-ব্যবহার সম্বন্ধে ঘদি ফটো বা ফিলমূ তুলিতে পারা যাইত, তবে এই প্রকার কুৎসা আমরাও প্রচার করিতে পারিতাম । এ-সব দেশের বেকারগণ সরকার হইতে সাহায্য পায়, তথাপি ইহাদের কদৰ্য্যতার সীমা নাই । আর আমাদের দেশে বেকারগণ সরকারের নিকট হইতে কোন সাহায্যই পায় না, ইহাতে যে তাহীদের দীনাবস্থা ঘটবে তাহর আয় আশ্চর্য কি ! এ-সব দেশের লোক আমাদের দেশে গিয়া রাজার হালে থাকে, তাহার পর ফিরিয়া আসিয়া সেই দেশেরই কুৎসা প্রচার করে, বেশ বাহব নেয় এবং পয়সা রোজগার করে । এরূপ কাৰ্য্য করিতে এদেরই প্রবৃত্তি হয় । আমাদের রাজা-মহারাজারাও যে কেন এই শ্রেণীর লোকদিগকে র্তাহাদের প্রাসাদে স্থান দেন তাহাও বুঝা যায় না। তাহারা কি কোনদিনই নিজেদের দেশ সম্বন্ধে একটু চিন্তা করবেন না ? এ-সব লোক সাহায্য পাইয়া থাকে ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট ও রাজা-মহারাজাদিগের নিকট হইতে । ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট সাহায্য করেন নিজেদের স্বার্থের জন্ত, আর রাজা-মহারাজগণ ইংরেজের ক্রীড়ার পুতুল । জাতীয় ভাব ইহাদের মধ্যে কোন দিন আসিবে বলিয়া মনে হয় না, কারণ ইহারা নিজেদের স্বার্থটাই সৰ্ব্বাগ্রে দেখেন । ইহা ছাড়া আবার আর এক দল আছে যাহার অন্ত ভাবে ভারতবর্ষ সম্বন্ধে প্রচার করে । ইহাদের আলোচ্য বিষয় সতীদাহ ও নরবলি। সদাশয় ইংরেজ গবর্ণমেণ্টের জন্তই নাকি সতীদাহ-প্রথা ভারত হইতে লোপ পাইয়াছে, নতুবা এখনও আমরা সেরূপ বর্বরভাবে সতীদাহ করিতাম । অথচ রাজা রামমোহন রায়ের নাম কোথাও উল্লেখ করা হয় না । যাহারা চক্ষু থাকিতেও কাণ তাহীদের আর কি বলা যায় । এমনি ভাবেই এর সত্য কথার গোপন করে । এই জাতীয় প্রচারকার্য্যের উদ্দেশু দুই প্রকার বলিয়া মনে হয়। প্রথম, বেশ পয়সা রোজগার করা ; দ্বিতীয়, শ্বেত জাতির প্রাধান্ত প্রমাণিত করা। এখানে জগতের রাজনীতি সম্বন্ধে দু-একটা কথা বোধ হয় বলা চলে। জাপান চার এশিয়া শুধু এশিয়াবাসীদের জন্ত এবং সেখানে শ্বেতপ্রাধান্তের পরিবর্তে কেবল জাপান-প্রাধান্তই প্রতিষ্ঠিত হয় । এই উদশ্য সাধনের জন্ত জাপান চীনকে ধীরে ধীরে গ্রস করিতেছে এবং তাহার বহির্বাণিজ্যের ক্রত বিস্তৃতি কfরতেছে । ইহাতে ইউরোপবাসী-দর ভিতর আজকাল একটা ভীতিপূর্ণচাঞ্চল্যের উদ্রেক হইয়াছে এবং ইউরোপের বড় বড় রাজনৈতিকদের ইচ্ছা যে সমস্ত ইউরোপীয় শক্তিসমুহ একত্র হইয়া এসিয়া ও আফ্রিকাতে শ্বেত-প্রাধান্ত বজায় রাখিবার প্রচেষ্টা করেন। সেদিন দক্ষিণ-আফ্রিকার প্রধান মন্ত্রী জেনারেল স্নাটস তাহার একটি বক্তৃতায় এই বিষয় স্পষ্টভাবেই ইঙ্গিত করিয়াছেন । এই শ্বেত-প্রাধান্ত বজায় রাখিবার জন্ত জগতের সম্মুখে পরাধীন জাতিসমূহের কুৎসা প্রচার করিয়া জানাইতে চায় ঘে এই সব অধীন দেশবাণীরা স্বয়ং নিজেদের দেশ শাসন করিতে অক্ষম এবং ইহাদের মঙ্গলের জন্তই শ্বেভ-জাতিরা তাহীদের শাসন করিতে বাধ্য হইতেছে । ইহাই শ্বেতজাতির ভণ্ডামির চরম লক্ষণ । সম্প্রতি, গত ১লা মার্চ হইতে ৭ই মার্চ, এই ড্রেসডেন »Igrą Bengt Berg attx gq gĒrgRgtừ STTutto “Tiger und Mensch" ( Ist Héo Exe, Tiger and Mankind ; qfswil Est, Ufg s RNsg ) অtখ্যা দিয়া বায়স্কোপ দেখাইয়াছেন এবং দর্শকদিগকে বিষয়গুলি স্বয়ং বুঝাইয়া দিয়াছেন । এই ফিল্মটি ড্রেসডেন শহরের সর্বাপেক্ষ ভাল সিনেমা হাউস Universum- a cq«fR gầntzę i zrffs sfrsfn হিমালয় পৰ্ব্বতের ও বাংলা দেশের বনজঙ্গলের, এবং অধিকাংশই তাহার শীকার সম্বন্ধীয়। র্তাহার বক্তৃতার সারমর্ম এইরূপ — ইতিহাসে “যে ভারতবর্ষকে কল্পনার রাজ্য বলা হয় তাহা অক্ষরে অক্ষরে সত্য । ভারতবর্ষে গমন করিলে ইহার সত্যত উপলব্ধি হয় । গান্ধীর নাম ইউরোপবাসী আমরা সকলেই শুনিয়াছি, কিন্তু ভারভবর্ষের অনেক স্থানের
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।