পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*リエ湾 فسوا পর্য্যন্ত রামানন্দ রায় তাহার অনুগমন করেন এবং তাহার পর ওড্রদেশের সীম:স্ত-অধিকারীর সহিত র্তাহার মিলন হয় । এই সীমাস্তের পরই গৌড়ের অধিকার । সেখানকার পাঠান-অধিকারীর দুৰ্ব্বাস্ত শাসন ছিল । পিছল দ। পৰ্য্যস্ত সৰ তার অধিকার । তার ভয়ে নদী কেহ হৈতে নায়ে পার a স্বতরাং এই সময়ে স্বপূর গঙ্গা পৰ্য্যস্ত বিস্তৃত উড়িষ্যা রাজ্য আর নাই । গৌড়ের পাঠান-রাজ্য তখন বালেশ্বর জেলার কিয়দংশ পৰ্য্যন্ত বিস্তুত হইয়াছে। বর্তমান যুগে ঐতিহাসিক আলোকপাতে—শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্তের নীলাচলে গমন, র্তাহীর দক্ষিণ-ভ্রমণ, প্রতাপরুদ্রের সহিত তার মিলন ও নীলাচলে তঁহার অবস্থিতি এবং ধৰ্ম্মপ্রচার প্রভূতির সময় ও যথাযথ ইতিহাস নির্ণয় করিতে হইবে । তাহার বিস্তারিত আলোচনা এস্থলে অসম্ভব । উড়িষ্যার ধৰ্ম্মসংস্কৃতির আন্দোলন —বহুদিন হইতেই উড়িষ্যা ধৰ্ম্মসংস্কৃতির কেন্দ্র, বিশেষ নীলাচলধাম । প্রাচী, চিত্রোৎপলা বৈতরণীর কুলে কুলে ; উদয়গিরি, খণ্ডগিরি এবং ললিঙগিরির গাত্রে হিন্দু বৌদ্ধ জৈন ধৰ্ম্মপ্লীবনের দাগ এখনও নিশ্চিহ্ন হইয়া বায় নাই। অতীত ইতিহাস বক্ষে ধারণ করিয়া এখনও তাহারা দাড়াইয়া আছে—গোরক্ষনাথ, মল্লিকানাথ, লোহিদাস, বীরসিংহ, বলিঙ্গাদাস প্রমুখ যোগী-সম্প্রদায়ের যোগধৰ্ম্মের ধারা— নাগাৰ্জ্জুনের মাধ্যমিক দর্শনের ভিতর দিয়া বৌদ্ধ আসঙ্গের যোগাচারের সঙ্গে মিশিয়াছিল—জৈনমত ও জৈনদর্শনও সে ধারায় লুপ্ত হয় নাই—গুপ্ত হইয়া রহিয়াছে । নীলাচল চারি ধামের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ ধাম । শ্ৰীশঙ্করাচার্য্য স্থাপিত গোবৰ্দ্ধন মঠের একাদশ মঠাধিপতি শ্রীধরস্বামী সকল ধারাকে ভক্তিপথে প্রবাহিত করিয়া ভাগবতধৰ্ম্মে অচিস্ত ভেদাভেদবদে এক সমন্বয় স্রোতের উৎস খুলিয়া দেন— সে উৎস ক্রমবদ্ধমান ভাবে চলিতেছিল । শ্রীচৈতন্ত সেই উৎসকে ঘুকুলপ্লবী প্রবল প্রেমবন্তায় নীলসিন্ধুতটে এক মহামিলনক্ষেত্রে পরিণত করেন। ঐরামামুজ, তুলসীদাস, কবীর, নানক প্রমুখ ভারতবর্ষের প্রত্যেক ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যই এই স্থানে বাণী ও কৰ্ম্মধার রাখিয়া গিয়াছেন । এই সকল ধরা হইতে উৎকলে এক অপূৰ্ব্ব অদ্ভুত S్సs9R বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম উখিত হইয়াছিল । শ্রীচৈতন্তের সময়ে সেই বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের পাঁচ জন আচাৰ্য্য ছিলেন । ইহাদের সকলকেই শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত একত্র করিয়া ধৰ্ম্মপ্রচারে নিয়োজিত করেন। বাংলার কোন বৈষ্ণবগ্রন্থে তাহদের উল্লেখ বা লীলা-প্রসঙ্গ নাই । কিন্তু উৎকলীয় বৈষ্ণবগ্রন্থে এই সকল মহাপুরুষ স্বয়ং এবং কোথাও তাহীদের শিষ্যপ্রশিষ্যগণ শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্তকে র্তাহীদের গুরু এবং অবতার বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন। উৎকল-বৈষ্ণবসমাজে এই পাঁচ জন আচাৰ্য্য পঞ্চশীধা বা পঞ্চসথা নাম পরিচিত । পঞ্চশাখ বৈষ্ণব —এই পঞ্চশাখার মুলতরু শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত । এই পঞ্চসখীর নাম শ্ৰীজগন্নাথদাস, শ্ৰীবলরাম, ঐযশোবস্তু দাস, শিশু অনন্ত ও শ্ৰীমচু্যতীনন্দ দাস । অচ্যুতাননা লিথিয়াছেন— বৈষ্ণব মণ্ডল খোল করতাল বজাই বোলন্ত হলি । চৈতন্ত ঠাকুর মধ্যে স্বত্যকার দণ্ডকমণ্ডলু ধারী ॥ জনস্ত আচুত ৰেলি যশোৰস্ত বলরাম জগন্নাথ । এপঞ্চ সথাহি স্বত্য করি গলে গৌরাঙ্গচত্র সঙ্গত । শ্রীচৈতন্ত স্বয়ং তাহদের কাহাকে কাহাকেও নিজে গান গাহিয়া মুরলয়তনি দেখাইয়া কীৰ্ত্তন শিখাইয়াছেন এবং কীৰ্ত্তন প্রচার করিতে মাদশ করিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন— তুস্ত পঞ্চ সথাস্তু কে মে জন্ম জন্ম আশ । তুস্ত পাই—অবতাই লীলা অভিলাষ । বাও অচু্যত অনন্ত যশোবন্ত দাস । বলরাম জগন্নাথ কল্প স্ব। প্রকাশ ॥ ইহারা সকলেই উৎকলে ধৰ্ম্মরাজ্যের রাজা । সহস্ৰ সহস্ৰ নর-নারী তাহীদের আশ্রয় করিয়া আজ পর্য্যস্ত ধৰ্ম্মজীবন যাপন করিতেছেন। সমগ্র হিন্দুস্থানে ধেমন তুলসীদাসের রামায়ণ, বাংলায় যেমন কাশীরামদালের মহাভারত ও কৃত্তিবাসের রামায়ণ, উৎকলে তেমনই বলরামদাসের রামায়ণ ও জগন্নাথদাসের ভাগবত । প্রত্যেক পল্লীতে প্রত্যেক গ্রামে প্রত্যেক কুটীরে ইহ পঠিত হয়। উড়িষ্যার প্রতি গ্রামে ভাগবতঘর ও ভাগবতগদি আছে । সে ভাগবত ংস্কৃত ভাগবৎ নয়, উড়িয়া ভাষায় উড়িয়া সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ মুকুটমণি, জগন্নাথদাসের ভাগবত । এই পাঁচ আচাৰ্য্য শুধু ধৰ্ম্মপ্রচার করেন নাই, উৎকল ধৰ্ম্ম ও