পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ পুলিন প্রতিবাদ করিল—বাঃ রে—ঠকানো কিসের? এতখানি পথ হাটলাম, ওই ত বললে— রবীন বলিল-পথ যতখানিই হ'tট—পায়ের ব্যথাটা তোমার ত সত্যি । গাড়ি নইলে আসতেই পারতে না । যেটা সত্যিকারের দরকার—তার ওপর ফলী ফিকির মিছে। ও যাই বলুক, তুমি কেন খাটাে হ’তে গেলে । পুলিন দুই আনাই দিল । দিয়া গজ-গজ করিতে করিতে চলিল। পথে আরও কয়েক জন জুটিয়াছিল। পুলিনের উপর সমবেদনা প্রকাশ করিয়া উহারই মধ্যে কে এক জন বলিল—ভারি অামার সাধু রে! বাপ করলে দোকান লুট, ছেলে বেড়ায় সাধুত্বের বক্তৃতা দিয়ে । বলিহারি সাধু রে । কথাটা শুধুই রবীনের কানে গেল না, মৰ্ম্মস্থলে প্রবেশ করিল। মুখখানি তাহার আরক্ত হইয়া উঠিল। ভাগ্যে সন্ধ্যার অন্ধকারে চারি দিক ঢাকিয়া গিয়াছিল নহিলে রবীন এ-লজ্জা লুকাইত কোথায় ? 骨 彎 জনশ্রুতিতে যদি বিশ্বাস করা যায় তবে পুলিনের সমব্যর্থীর মন্তব্য বহুলাংশে সত্য বলিয়া মানিয়া লইতে হয় । রবীনের পিতা কোন আত্মীয়ের দোকানে কৰ্ম্মকর্তা ছিলেন । প্রকাণ্ড দোকান ; মালিক কালেভদ্রে দোকানে পদাপর্ণ করিলেও হিসাব-নিকাশের ধার দিয়াও ধাইতেন না । তিনি দেখিতেন স্বধৃত শো-কেসে’ সুন্দর সুন্দর শাড়ী ব্লাউজের পারিপাট্য, শুনিতেন কোথাকার রাজা বা জমিদার র্তাহার দোকানের খাতায় নাম লিখাইয়া তাহাকে ধন্ত করিয়া গিয়াছেন তাঁহারই কাহিনী, আর কৰ্ম্মচারীদের পানে চাহিয়া সগৰ্ব্বে ভাবিতেন এতগুলি প্রাণী আমারই কৃপাশ্রিত । বেশ প্রসন্ন মনেই তিনি দোকান পরিদর্শন করিয়া সকলকে আপ্যায়িত করিতেন । একদিন রবীনের পিতার বিরুদ্ধে কে এক জন তাহাকে কি কথা বলিল । তিনি হাসিয়া উড়াইয়া দিলেন । অকপটে যে বিশ্বাস এক জনের উপর গুস্ত করা যায়—সে লোক কখনও তাঁহার অপচয় করিতে পারে না । এক দিন দুই দিন করিয়া অনেকবার অনেক লোকই আশৰক্ত, >> তাহার কান-ভারি করিতে লাগিল। অবশেষে বিরক্ত হইয়া ভাবিলেন, দেখাই যাক এক দিন এই ঈর্ষালুদ্ধ মানুষগুলির অভিযোগ কতটা সত্য । সহসা এক দিন দোকানে আসিয়া তিনি খাতাপত্ৰ তলৰ করিলেন। ফলে যাহা বুঝিলেন তাহাতে সন্দেহের বীজকণা পল্লবিত হইয়া উঠিল । তার পর কি হইয়াছিল কেহ জানে না । মাস-কয়েক পরে শহর ছাড়িয়া রবীনের পিতা গ্রামে আসিয়া বসিলেন । যে-কেহ কৰ্ম্ম সম্বন্ধে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে কালমাহাত্ম্য ও আত্মীয়ের অসদ্ব্যবহার সম্বন্ধে শতমুখ হইতেন । বয়স হইয়াছিল, কাজকৰ্ম্ম তিনি বিশেষ কিছুই আর করিয়া উঠিতে পারিলেন না, অথচ সংসার দিব্য নিরূদ্বিপ্নে চলিয়া যাইতে লাগিল । কেবলমাত্র সংসারের অসচ্ছলতার দোহাই দিয়া পুত্রের পড়া ছাড়াইরা দিলেন। আর একটি বৎসর হইলেই সে হোমিওপ্যাথিক কলেজ হইতে পাস করিয়া বাহির হইতে পারিত ! বাড়ি আসিয়া রবীন হাত মুখ ধুইয়া নিজের ঘরে গিয়া বসিল — মা তাড়াতাড়ি আসিয়া বলিলেন—আবার বসলি যে ? विांश्च cंश्च निवि । মুখ ভাঁর করিয়া রবীন বলিল—পরে খাব ৷ शूद्ब्रह्मव्र भूथ छांब्र cनथिप्र भी उंविभ्रं रुहेरणन-६i cब्र, অমন মুখ ভার কেন ? কি হ’ল ? রবীন মুখ তুলিয়া মায়ের পানে চাহিতে পারিল না । মা কাছে আসিয়া তাহার মাথায় একখানি হাত রাখিয়া বলিলেন—কি হয়েছে রে ? বন্ধুর কথার খোচায় যে-টুকু উত্তাপ জমিয়াছিল স্নেহময়ীর ম্পর্শে সেই ব্যথার বাধ চোখের জলে গলিয়া পড়িল । রবীন মায়ের কাছে সব খুলিয়া বলিল । ম। খানিক ক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয় বলিলেন-লোকে

  • অনেক কথা বলে, সব কি বিশ্বাস করতে আছে, বাবা ।

—কেন লোকে বলে ও কথা । মা হাসিলেন—তাহ’লে লোকের সঙ্গে ঝগড়া ক’রে বেড়াতে হয় |