পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टंऊार्छ আনিলেন বটে কিন্তু শাসনব্যাপারে ও আর্থিক প্রসঙ্গ নানা অবনতি পরিলক্ষিত হইল। কিন্তু সিঙfকয়াং-এর দক্ষিণদিকে চীনের অধিকার সম্পূর্ণ ক্ষুণ্ণ হইল। খাসগড় । অঞ্চলে বিভিন্ন মুসলমান দল পরস্পর পরস্পরের সহিত সংঘর্ষে ব্যপৃত হইল। ১৯৩৪ সালের প্রথম ভাগে থোটানের আমীর এখানে এক স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করিয়া খাসগড় তঁ;হার রাজধানী বলিয়া ঘোষণা করিলেন । সোভিয়েট-সম্প্রদায় এক অভিযোগ করিয়াছেন ধে ইংরেজগণ এই “স্বাধীন” রাষ্ট্র-স্থাপন নীতির সহিত নাকি সহানুভূতি পদর্শন করিতেছেন । এতদিন ধরিয়া ইংরেজগণ সিঙকিয়াংএ চীনের প্রতিপত্তি স্বীকার করিয়া আসিয়াছেন ; কিন্তু সহসা এই ভূখণ্ডে সোভিয়েট ক্লশিয়ার প্রভাব ও অন্তদি:ক চীনের দুর্বলতা দেখিয়া বোধ হয় তাহার এ-নীতির পরিবর্তন করিয়াছেন । যাহা হউক, কাশ্মীর কিংবা তিব্বতের মধ্য পিপ্পা খাসগড়ের সহিত কোনও যোগস্থত্র ব্লtখা সম্ভবপর s অনায়াসসাধ্য নহে । থোটানের আমীরের পরিকল্পিত ‘স্বাধীন রাষ্ট্রস্থাপনের উদেপ্তকে বলবতী করিবার যে প্ৰয়াস, সহানুভূতি ও সাহায্য, ইংরেজগণ পোষণ করিতে পারেন তাহ! সাক্ষাৎভাবে করিতে পারিতেছেন না ও তাহণ ভৗগোলিক কারণে ব্যাহত হইতেছে । ঙিকিয়াংকে স্বাধিকারে রাখিবর জন্ত স্তান্‌কিং সরকার চেষ্টা করিতেছেন। র্তাহারা মধ্য-এশিয়ার সুপ্রসিদ্ধ আবিষ্কারক ডক্টর স্বেন হেডিনকে এই ফুই রাজ্যের মধ্যে মটর ধান গমনাগমনের নিমিত্ত উপযুক্ত রাস্ত নিৰ্ম্মাণের পন্থা অধিকারের জন্ত নিয়োজিত করিয়াছেন । ফরাসী য়ুনন ইন্দো-চীনে দণটি ফেলিয়া ফরাসীগণ দক্ষিণ-চীনের উপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করিতেছেন। ‘হেইফঙ-য়ুননফু রেলওয়ে প্রতিষ্ঠিত করিয়া ফরাসীগণ এই রাজ্যের সহিত যোগস্থত্র রাখিয়াছে । এই রেলের সাহায্যে য়ুননে ধে मद जवा चांबवानि इद्र छाशप्तब्र उभद्र कब्रांनी बड़े এরূপ অধিক শুল্ক বসাইয়াছেন যে অ-ফরাসী কোনও দ্রব্য প্রতিযোগিতায় একেবারেই সমকক্ষত করিতে পারে না। এতদ্ব্যতীত অন্ত দেশ হইতে আগত পণ্য য়ুননে পৌছিতে ছয় মাস লাগে ; এই দীর্ঘ সময়ে সাধারণতঃ নানা দ্রব্য চীন সাম্রাজ্যের অঙ্গচ্ছেদ ২৭৫ অব্যবহার্য্য হইয় পড়ে ; কিন্তু ফরাসী দ্রব্য এক সপ্ত"হের মধ্যে এখানে আনীত হয় । সুতরাং দেখা যাই:তছে ফরাসীগণ এই অঞ্চল অতি সুচারুরূপে ব্যবসা বিস্তার করিয়াছেন । য়ুননের রাষ্ট্রীয় অবস্থাও অনুরূপ । ফরাসীগণই এই রেলের সাহায্যে এখানে অনায়াসে র্তাহীদের যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করিতেছেন, স্থানীয় শাসনকর্তাও ইন্দো-চীন কর্তৃপক্ষের সহিত সমভাবে সখ্য বজায় রাখিয়া চলিতেছেন । মধ্যবিত্ত গৃহস্থগণ ফরাসী বৃষ্টির অনুসরণ করিতেছেন । প্রবাসী চৈনিক ছাত্রগণের অধিকাংশই ফ্রাঙ্গে শিক্ষালাভ করিয়া, ফরাসী রীতি-নীতিতে অভিজ্ঞ হইয়া দেশে ফিরিতেছেন । ধাহা হউক বৰ্ত্তমানে ফরাসী সরকার প্রত্যক্ষ ভাবে এই অঞ্চলের শাসন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন নাই। য়ুননের সীমান্ত-প্রদেশে নুতন কোনও শক্তির অভু্যদয় হষ্টলেই তাহারা এই ভরি লইতে পারেন । চৈনিক বিরুদ্ধ'চারণও বর্তমানে সম্পূর্ণ অসম্ভব । ১৯০৭ সালের ১০ জুন হইতে পুৰ্ব্ব দিগন্তে অধিকার লইয়া ফরাসী সরকার জাপানের সহিত মিতালি করিয়া অtfসয়ঃছেন । ইহার বলে ফরাসী ও জাপ সরকার এশিয়ায় তাহাঁদের স্বাধিকার অক্ষুণ্ণ রাথিবীর জন্ত এবং নিজেদের রাজত্ব রক্ষণ করিতে গিয়া তৎসরিকটবৰ্ত্তী চীন রাজ্যের কোন কোন অংশেও শাস্তি ও শৃঙ্খলা স্থাপনের জন্ত পরম্পর পরস্পরকে সাহায্য করিবেন বলিয়া প্রতিশ্রত আছেন । ফরাসী-অধুাবিত এই প্রদেশে ইংরেজ আক্রমণও বোধ হয় সহসা সম্ভবপর নহে । তবুও য়ুননের উত্তর-সীম’স্তে তিববতীয় বাহিনী অগ্রসর হইয়াছে এবং উত্তর বর্ষার মধ্য দিয়া ইংরেজগণ য়ুননের অন্ত এক অংশে অনধিকারপ্রবেশ করি তছেন । তৃতীয় কোনও শক্তির অভু্যদয় না হইলে বা পূৰ্ব্ব দিগন্তে কোন তুমুল সংগ্রাম সংঘটিত না হইলে এখানে ফরাসী প্রভাব সমভাবে অটুট রহিবে । সিদ্ধাস্ত জাপান, রুশিয়া, ইংরেজ ও ফরাসী এই চারিটি বিশাল শক্তি চীনের সীমাস্ত-রেখা লইয়া পরস্পরের সন্মুখীন । জাপান কর্তৃক মঞ্চে রিয়া অধিকৃত হওয়ায় অন্ত:স্ত তিন শক্তি পরস্পরের অধিকৃত অঞ্চলে নিজেদের সমস্ত শক্তি একত্র সঞ্চিত করিয়াছেন । স্বতরাং যে-কোন অঞ্চলে