পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३६-० প্রয়াসী جذ8 عاد মুসলমান নৃপতিদের তাঁহা নাই। অতএব, পুনৰ্ব্বার বলিতে তইতেছে, বর্তমান বৎসরের ভারতশাসন আইনের নানা ধীরা খtaা রাজা পঞ্চম জঞ্জের অনেক কথfর বিপরীত কাজ করা হইতেছে । ব্রিটিশ জাতি ও ব্রিটিশ মস্ত্রীদের যে সমালোচনা করিলাম, তাহ বিন্দুমাত্রও এরূপ কোন অশি হইতে নহে, ধে, তাহার। আপনাদের ভ্রম বুঝিতে পারিয়া ভারতবর্ষ সম্বন্ধে ষ্টায়সঙ্গত ও কল্যাণকর নীতি অবলম্বন করিবেন। তাহার আমাদের সমালোচনা করেন, আমরাও গহীদের কিঞ্চিৎ সমালোচনা করিলাম । .* > * ইংরেজদের ও ভারতীয়দের রাজভক্তি ই-রেজদের রক্ত ভক্তি বা তহুি!র অভাব ভারতীয়দের রাজভক্তি বা তহিfর অভাব তুলনীয় নহে । কারণ, ব্রিটেনের ও ভারতব.র্যর এবং উভয় দেশের লোকদের রাজনৈতিক অবস্থা ও মর্য্যাদা একপর্য্যায়ভুক্ত নহে এবং ইহাও বিবেচনা করিতে হইবে, যে, ইংরেজর। যদি ভারতীয়দিগকে প্রশ্ন করে, “তোমরা কি রাজভক্ত ?” তাহfর উত্তর “ইণ” হইলে প্রশ্ন কর্তারা বলিতে পারে, “তোমরা ভয়ে এন্ধণ কথা বলি.তভূ " তার যদি ভারতীয়ের উত্তর দেয়, “না,” তাহা হইলে প্রশ্নকৰ্ত্তারা বলিতে পারে, “তবে ত এ বৎসরের ভারতশাসন আfইন আরও কড়া করা উচিত ছিল ?” বস্তুতঃ এরূপ কোন নিরর্থক তুলনায় প্রবৃত্ত না হইয়। বলা যাইতে পfরে, যে, ব্রিটেনে এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের যে-সব অংশের লোকেরা স্বশাসক সেই সব দেশে রাজা পঞ্চম জজের জয়ন্তী উৎসবে বাহিরে যেমন দিনে ৪ রাত্রে কোথাও অঁtধ:র ছিল না তেমনি মামযগুলির অস্তরেও রাষ্ট্রনৈতিক নৈরাঙ্গের অন্ধকার ছিল না। ভারতবর্ষের বাহির সম্বন্ধ এরূপ কথা বলিতে পারিলেও অস্তুর সম্বন্ধে ঠিক একথা বলা চলে না । রাজা পঞ্চম জজ দীর্ঘজীবী ও সূখী হউন স্বাধীনত:কামী ভারতীয়েরাও ত:হা চান । তাহারা ইহীও জানেন, আয়ল্যাণ্ডের স্বাধিকারলীতে রাজা যেমন সন্মতি দিয়ছিলেন, ভারতবর্ষের স্বাধিকারলাভ কখনও ঘটিলে তাহীতেও তেমনি সম্মতি দিবেন। কিন্তু রজত-জয়ন্তী এব° উপলক্ষ্যে র্তাহার কবির কথায় সায় দিয়া ইহা না বলিয়া থাকিতে পারেন না, “পর দ্বীপমালা নগরে নগরে, তুমি ধে তিমিরে ভূমি সে তিমিরে ।” হিন্দীসাহিত্য-সম্মেলন এবার হিন্দীসাহিত্য-সম্মেলনের বাধিক অধিবেশন ইন্দেীরে হইয়। গিয়াছে । সভাপতি হইয়াছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তাহীর মাতৃভাষা হিন্দী নহে, গুজরাট । তাহীতে তাহীকে সভাপতি নিৰ্ব্বাচন করায় কোন দোষ হয় নাই । এক জন বাঙালীকেও হিনীসাহিত্য-সম্মেলনের সভাপতি করা হইয়াছিল। অবশু, ভীল হিন্দীর লেখক বলিয়া গুtহার খ্যাতি ছিল । মহাত্মা গান্ধীর সেরূপ কোন থ্যাতি নাই বটে, কিন্তু তিনি হিন্দীকে সমগ্র ভারতবর্ষের অস্তঃপ্রাদেশিক ভাষা এবং স্বরাজলাভের পর ভারতীয় রাষ্ট্রভাষা করিবার জঙ্গ প্রভূত চেষ্টা করিয়াছেন ও করিতেছেন । প্রধানত: তাঁহারই চেষ্টীয় এখন কংগ্রেসে হিন্দী বা উর্দুতে বক্তৃতা করাই হইয়াছে নিয়ম ; কেহ তাহার ব্যতিক্রম করিতে চাহিলে তহিকে কৈফিয়ত দিতে হয় এবং সভাপতির অনুমতি লইয়। অন্ত ভাষায় ( সাধারণতঃ ইংরেজীতে ) বক্তৃতা করিতে হয়। মহাত্মা গান্ধী হিন্দীসাহিত্যিক নহেন, অতএব তাঁহাকে হিনীসাহিত্য-সম্মেলনের সভাপতি করা উচিত নয়, এই তর্ক কেহ কেহ তুলিয়াছিলেন, কিন্তু হিন্দীসাহিত্য-সম্মেলনের উদ্দেশ্য হিন্দীর প্রচারও বটে এবং এই প্রচারে মহাত্মা খুব সাহায্য করিয়াছেন, এই কারণে আপত্তি টেকে নাই । মহাত্মাঙ্গী এই সৰ্ত্তে সভাপতি হইতে রাজী হন, ধে, হিন্দী প্রচার-কার্য্যের সহায়তfকল্পে ষ্ট’হার হাতে এক লক্ষ টাকা দিত হইবে । উদ্যোক্তারা তাহাতে রাজী হইলে তিনি সভাপতিত্ব করেন । র্যাহীদের মাতৃভাষা হিন্দী ভঁহিীদের মধ্যে ধাহীরা এই ভাষা ও সাহিত্য ভালবাসেন—বিশেষতঃ র্য:হীরা হিন্দীর ভারতবিজয় আকাঙ্ক্ষা করেন, তঁহাদের উৎসাহ ও বদন্তিত প্রশংসনীয় ও অনুকরণযোগ্য । এক লক্ষ টাকা দেওয়া সোজা কথা নয় । ইতিপূৰ্ব্বেও হিন্দীভক্তদের অজুরাগের একবার