ਟੋਲੋਹੈ। প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে । মঙ্গলাপ্রসাদ-পুরস্কার নামে একটি ১২০০ টাকfয় পুরস্কার আছে যহি বৎসরের সৰ্ব্বে:ৎকৃষ্ট হিনী পুস্তকের লেখককে দেওয়া হয় । এ-যৎসর জলন্ধরর কস্তামগবিদ্যালয়ের এক জন শিক্ষয়িত্ৰী শিক্ষাসম্বন্ধীয় মনস্তত্ব বিষয়ে একখানি উৎকৃষ্ট হিন্দী পুস্তক লিখিয়া এই পুরস্কার পাইয়াছেন । কয়েক বৎসর হইল, শেঠ ঘনশু:মদাস বিড়লা হিন্দুবিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ত হিন্দী পুস্তক লিখাইবার নিমিত্ত পঞ্চশ হাজার টাকা দন করিয়াছেন । র্তাহার মাতৃভাষা হিনী নহে । বাংলা ভাষার ‘প্রচার” বাঙালীদের মধ্যে নিজেদের ভাষা ও সাহিত্য সম্বন্ধে সমবেত ভাবে বৃহৎ ও অবির,ম চেষ্টা করিবার মত পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, এীতি, সংহতি ও উৎসাহ নাই । প্রবাসী-বঙ্গ সাহিত্যসম্মেলনের গত অধিবেশনের উদ্বোধন করিবার সময় রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছিলেন —“আজি তো দেখতে পাই বাংলা দেশের ছোটোবড়ো থ্যাত অখ্যাত গুপ্ত প্রকাগু নানা কণ্ঠের তুণ থেকে শব্দভেদী রক্তপিপাহ বাণে আকাশ ছেয়ে ফেলল, এই অদ্ভুত আত্মলাঘবকারী মহোৎসাহে বাঙালী আপন সাহিত্যকে খানুখান, করে ফেলতে পারত, পরস্পরকে তারস্বরে দুয়ো দিতে দিতে সাহিত্যের মহাশ্নশানে ভূতের কীৰ্ত্তন করতে আর দেরী লাগত না—কিন্তু সাহিত্য যে-হেতু কোঅপারেটিভ, বাণিজ্য নয়, জয়েন্টষ্টক কোম্পানী নয়, মুনিদপাল কর্পোরেশন নয়, যে-হেতু সে নির্জনচর একলা মানুষের, সেই জন্তে সকল প্রকার আঘাত এড়িয়েও সে বেঁচে গেছে । এই একটা জিনিষ ঈর্ষ্যপরায়ণ বাঙালী স্বাক্ট করতে পেরেছে, কারণ সেটা বহুজনে মিলে করতে হয় নি।” সাহিতাস্থষ্টি অবশ্য মানুষ একলা-একলা করিতে পারে, কিন্তু সাহিত্যসম্বন্ধীয় অনেক কাজ দল না বাধিলে করা যায় না, অনেক টাকা না হইলে করা যায় না—সেই অনেক টাকা কোনও এক জন দাতা দিতে পfরেন বা বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দান হইতে তাহ সংগৃহীত হইতে পারে। হিন্দী প্রচারের জন্ত দক্ষিণ-ভারতে কয়েক বৎসর হইতে প্রভূত চেষ্টা হইতেছে। টাকা উঠিতেছে, শিক্ষক নিযুক্ত হইতেছে এবং অনেক লোক, যtহাদের ম;তুভাযা তামিল বা ఇరిక్ట్రి= 3 বিবিধ প্রসঙ্গ—বাংলা ভাষায় প্রচার ২৮১ তেলুগু, হিনী শিখিতেছেন ও নির্দিষ্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতেছেন। র্যাহীদের মাতৃভাযা বাংলা নহে, তাহাদিগকে বাংলা শিখাইবার জন্ত এক্সপ কোন চেষ্ট হইতেছে না । বরং যাহাঁদের মাতৃভাষা বাংলা এরূপ বিস্তর প্রবাসী বাঙালী ছেলেমেয়ের ব{ংলা শিথিবীর বাধা বাড়িতেছে । আমাদিগকে মধ্যে মধ্যে এরূপ প্রশ্ন শুনিতে হয়, যে, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করিবার চেষ্টা কেন করা হয় না । এই বিষয়টির আলোচনা আমরা করিব না । তাহার কারণ ইহা নহে, যে, আমরা বাংলা ভযা ও সাহিত্যকে অন্ত কোন ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্য অপেক্ষণ নিকৃষ্ট মনে করি । আমরা একটি পাণ্টা প্রশ্ন করিলে, আশা কfর, কেহ অপরাধ লইবেন না । হিনীকে অন্তঃপ্রাদেশিক ভব। ও রাষ্ট্রভাষা করিবার জন্ত অনেক বৎসর ধরিয়া যত টাকা খরচ করা হইয়াছে এবং সম্প্রতি গান্ধীজীকে যে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হইয়াছে, ত;হীর দশমাংশ কেহ বাংলা ভাযার প্রচারের জন্ত স্বয়ং দিতে বা সংগ্ৰহ করিয়া দিতে প্রতিশ্রত হইতে পfরেন কি ? আমরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করিবার প্রয়াসী নহি । আমরা অন্ত দুই রকম চেষ্টা করিতে চাই । ( ১ ) প্রবাসী বাঙালীদের ছেলেমেয়েদের বাংলা শিথিবীর উপায় চিন্তা ও অবলম্বন করিতে ও করাইতে চাই । বঙ্গর বাহিরে ভারতবর্ষে এমন অনেক স্থান আছে, যেখানে বাঙালী ছেলে ময়েদের বাংলা শিথিবীর বিদ্যালয় নাই, তাহ। স্থাপিত ও পরিচালিত হওয়াও সুকঠিন । কিন্তু তাঁহাদের বাংলা শিথিবীর কিছু উপায় হওয়া উচিত। কলিকাতায় প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলনের গত অধিবেশন হওয়ার পর খবরের কাগজে এইরূপ অভিযোগ হইয়াছিল, যে, উড়িষ্যায় বিস্তর বাঙালী কয়েক পুরুধ ধরিয়া বাস করিতেছেন যাহারা বাংলা ভুলিতে বসিয়াছেন বা ভুলিয়া গিয়াছেন, কিন্তু প্রবাসীবঙ্গসাহিত্য-সম্মেলন তাহাদিগকে বাংলা শিখাইবার কোন ব্যবস্থা বা চেষ্টা করেন নাই। আমরা যথাসাধ্য এই অভিযোগের উত্তর দিতে চেষ্টা করিয়াছিলাম । তাঁহারই অনুবৃত্তি-স্বরূপ একটা প্রশ্ন করিতে চাই । শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভtযা ও সাহিত্যের জন্ত কম পরিশ্রম করেন নাই—অন্ততঃ মহাত্মা গান্ধী হিনীর জন্ত যাহা করিয়াছেন
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।