পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ ৰাংলা শিখাইবার প্রণালী SS বউ বলিল—তা বাই বল বাপু, বন্ধু মানুষ তাকে ঠকানো কঁঠালতলায় বাড়াইয়। এই প্রতারণার কাহিনী তোমার ভাল হয় নি। হয়ত কত গলি দেবেন। শুনিয়াও পুলিনের চক্ষু দুইটি ক্রোধে জলিয়া DDB BBBSBB BBBS BB BBBB B BB S BB BS BBBB BB BBB BBB কিন্তু একটু আকেল ত হবে । বলিয়া হো হো করিয়া কোণ ঘষিতে ঘবিতে সে ক্রতপদে সেস্থান ত্যাগ হাসিতে লাগিল । করিল। বাংলা শিখাইবার প্রণালী শ্ৰীঅনাথনাথ বসু মানবশিশু আপনা হইতেই স্বভাবের প্রেরণায় ও তাড়নায় চলিতে শেখে ; এই চলার ক্ষমতা সহজে লাভ করা যায় বলিয়া চলিতে শেখার যে একটা বিশিষ্ট ধারা ও মহত্তর উদেণ্ড আছে, যাহার সাধনায় চলার ভঙ্গী সুন্দর ও সার্থক হয় তাহা আমরা সাধারণতঃ ভুলিয়া যাই । তাই আমরা সকলেই চলি বটে কিন্তু সে চলা মুন্দর হয় না ; তাহাতে কাজ সারা যায় কিন্তু তাহ সঙ্গত, স্ব ও সাবলীল হইতে পারে না। এমনি করিয়া যে বিদ্যার খানিকটুকু সহজেই লাভ করা যায় তাহাকে সম্পূর্ণভাৰে আয়ত্ত করিবার যে একটি সাধন আছে তাহা আমাদের চোখে পড়ে না । সকল শিশুই কিছু পরিমাণ মাতৃভাষা শেখে, কিন্তু সেই মাতৃভাষা সম্পূর্ণরূপে শিশুর আয়ত্তাধীন করিতে হইলে সুষ বিশেষ সাধনার প্রয়োজন তাহ আমাদের দেশের লোকে সাধারণত: ভুলিয়া যায়। ফলে বাংলা ভাষার যেটুকু জ্ঞান আপন হইতেই অনায়াসে আসে সেইটুকু লইয়াই আমরা সন্তুষ্ট থাকি, সে জ্ঞান পূর্ণতর করিবার কোন প্রয়োজন আমরা বোধ করি না । ইহার দুইটি কারণ আছে ; এক আমাদের মাতৃভাষার প্রতি অবজ্ঞা ; দ্বিতীয়, বাঙালীর ছেলে সহজেই বাংলা শেখে, তাহার জন্ত কোন আয়াসের প্রয়োজন থাকিতে পারে না, এই মনোভাব । আমাদের এই মনোভাব সব সময়েই বে প্রকাগুভাবে দেখা দেয় তাহা নহে, কিন্তু ইহার অস্তিত্বের পরিচয় পরোক্ষভাবে নানাক্ষেত্রে দেখিতে পাওয়া যায়। মাতৃভাষার প্রতি আমাদের অবজ্ঞাও নানাভাবে আত্মপ্রকাশ করে, সুতরাং তাহার আলোচনা না করিলেও চলে । ফলে বাঙালীর ছেলে বাংলা শেখে না, কথায় বা রচনায় মাতৃভাষায় আত্মপ্রকাশ করিতে পারে না ; এমন কি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা পরীক্ষায় বাঙালী ছেলে ফেল হয়। এমন একটি দিন ছিল যখন বাংলা ভাষায় অজ্ঞতা প্রকাতে স্পৰ্দ্ধার বিষয়ক্সপে গণ্য হইত। সে দিন সৌভাগ্যক্রমে কাটিয়া যাইতেছে ; কিন্তু এখনও এক-আধ জন বাঙালী দেখা যায় যাহারা ভাল করিয়া বাংলা বলিতে না-পারাকে লজ্জার বিষয় বলিয়া মনে করে না । বিদেশে থাকিতে এরূপ এক জন বাঙালী ছেলের সহিত আমার পরিচয় ঘটিয়াছিল। যাহাই হোক, সাধারণ বাঙালী আজকাল আর প্রকাতে এরূপ মনোভাব দেখায় না ; কিন্তু প্রকাশে না করিলেও কাৰ্য্যতঃ ফল একই বাড়ায় । মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও তাহার সহিত সম্যক পরিচয় সাধনের চেষ্টার অভাব পদে পদেই দেখা যায়। বিশেষ করিয়া প্রবাসী বাঙালী এই দোষে দোষী । এদিকে কিন্তু কলিকাতা-বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সৰ্ব্বোচ্চ পরীক্ষার অন্ততম বিষয়ৰূপে পরিগণিত হইয়াছে ; শুধু তাঁহাই নহে, সম্প্রতি বtংলা ভাষা সেখানে শিক্ষার বাহনরূপেও নিদিষ্ট হইয়াছে। এরূপ ক্ষেত্রে বাংলা শিখাইবার প্রণালী