পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nච්ණ\H N98R বা মনোবিজ্ঞানের (psychology) আরম্ভ ও প্রয়োজনীয়তা । মানবচিত্ত স্বল্পভাবে বিশ্লেষণ করিয়া যে-যে বস্তু পাওয়া ধার সেগুলির সহিত মানবচিত্ত-বহির্ভূত জাগতিক যাহা-কিছু আছে তাহাজের সম্পর্ক ও ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়ার উপর ধৰ্ম্মকে প্রতিষ্ঠিত করাই সিদ্ধার্থের সাধন-প্রণালীর প্রধান বিশেষত্ব এবং তাহার নূতন সাধন ও আদর্শ এই মানবপ্রকৃতির বিশ্লেষণের উপরই স্থাপিত । এই মুলস্থত্রে উপস্থিত হইয়া সিদ্ধার্থ দেখিলেন যে মাহবের “আত্মনৃ” ( Self ) নানা প্রকার চিত্তবৃত্তির ক্রীড়াস্থল—কোনটি তাহাকে উচ্চতর অবস্থায় লইয়া যায়, অর্থাৎ প্রকৃত সুখ বা আনন্দদায়ক হয়, কোনটি বা তাহাকে নিম্নগামী করে, অর্থাৎ তুঃখ অনিয়ন করে । সুতরাং প্রথমেই এই চিত্তবৃত্তিগুলিকে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা প্রয়োজন হইয়া পড়িল । মনোবিশ্লেষণের ফলে কতকগুলিকে “য়ুপ্রবৃত্তি” এবং অন্তগুলিকে “কুগ্রবৃত্তি” এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়া তিনি দেখিলেন যে যেমন কুপ্রবৃত্তিগুলির দমন ও উচ্ছেদসাধন প্রয়োজন, তেমনই স্বপ্রবৃত্তিগুলির পূর্ণ উৎকর্ষ প্রয়োজন । সাধনে ভাবাত্মক ও অভাবাত্মক—positive got negative—or vigoś gla sitco I Thou shalt not—”ইহা করিবে না, উহা অন্তায়” এই ভাবের বাক্যগুলি এক শ্রেণীর সাধন-সহায়, ইহীদের অভাবাত্মক বলা যায় । সকল ধৰ্ম্মেই অভাষায়ুক সাধনের ব্যবস্থা আছে, কেবল কোন কোন ধৰ্ম্মে ইহার মাত্রা কিছু অধিক । কিন্তু ভাবাত্মক বা positive সাধনের প্রধান উদ্দেশ্য মানবচরিত্রে যাহা-কিছু স্ব ও হনরি আছে তাহীর পূর্ণবিকাশ বা উৎকর্ষ । বিশ্লেষণের সাহায্যে শাক্যসিংহ এই সুপ্রবৃত্তিগুলিকে দশ ভাগে বিভক্ত করিয়া তাহীদের চরম উৎকর্ষ সাধনকে “পারমিতা, এবং তদনুযায়ী সাধনমার্গকে “দশ পারমিতা” নামে প্রচার করিলেন । যে দশ ভাগে স্বপ্রবৃত্তিগুলিকে ভাগ করা হইল তাঁহা এই – 够 দান, শীল, নিষ্ক্রমণ, প্রজ্ঞা, বীৰ্য্য, ক্ষম, সত্য, অধিষ্ঠান, মৈন্ত্রী ও উপেক্ষ । এই স্থলে বৌদ্ধশাস্ত্রের "জাতকার্শ্ববর্ণনা” গ্রন্থের প্রারম্ভিক বিবরণে “দূরনিদান” অধ্যায়ে স্বমেধপণ্ডিত্ত নামে বুদ্ধপূৰ্ব্ব এক জন বোধিসত্বের "দশপারমিতাতত্ব” লাভের বিবরণ উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না, কেন-না ইহাতে বেশ বুঝিতে পারা যার বে শাক্যসিংহের এই মনোবিশ্লেষণ গভীর আত্মদৃষ্টি বা আত্মানুভূতির উপর প্রতিষ্ঠিত। ঐ বর্ণনা এইভাবে পাওয়া যায় ৪— “ স্বমেবপণ্ডিত ] ‘নিশ্চয়ই আমি বুদ্ধ হইৰ' এই প্রকার কৃতসঙ্কল্প হইয়া বুদ্ধগণের করণীয় ধৰ্ম্ম জ্ঞাতার্থে, ‘বুদ্ধগণের করণীয় ধৰ্ম্ম কোথায়, উদ্ধে না অধোতে, কোন দিগ্‌বিদিকে " ইত্যাদি সকল ধৰ্ম্মধাতু বিচার করিতে করিতে, পুৰ্ব্ববোধিসত্বগণ দ্বারা গৃহীত ও সাধিত “পারমিত সকল লাভ করিলেন ।” [ সকল পারমিতা লাভের পর }••• অনস্তর তিনি চিন্তা করিলেন, "এই লোকে বোধিসত্বগণ দ্বারা পালনীয় বুদ্ধত্বলাভের সহায়কারী, বুদ্ধগণের করণীয় ধৰ্ম্ম এই কয়েকটিই মাত্র, এই দশপারমিতা ভিন্ন আর অন্ত কিছুই নাই ; এই দশপারমিত উদ্ধ আকাশেও নাই, নিম্নে পৃথিবী বা দশ দিকের মধ্যেও নাই, আমারই হৃদয়মাংসেতে ( হৃদয়ে ) এইগুলি প্রতিষ্ঠিত ” এইরূপে পরিমিতাগুলি হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত দেখিয়া, সমস্তগুলি দৃঢ়ভাবে (স্পষ্টভাবে) ধারণা করিয়া...” ইত্যাদি । ইহা হইতেই স্পষ্ট বুঝা যায় যে এখানে আত্মবিশ্লেষণের সাহায্যে মানবহৃদয়ের প্রবৃত্তিগুলি পরীক্ষা করিয়া পূর্ণতলাভের পথ নির্দিষ্ট হুইয়াছে । উপদেশদানকালে কেবল যে এই দশটি বিষয়ে উৎকর্ষ বী পূর্ণতা লাভ করিবার উপদেশ দিয়া বুদ্ধদেৰ ক্ষান্ত হইতেন তাহা নয় ; মনে হয় তিনি প্রত্যেকটির বিশদ ব্যাখ্যা ও দৃষ্টাস্তের সাহায্যে তাহার শ্রোভাদের মনে এই পারমিতাগুলির বিশেষত্ব ও মহিমা মুদ্রিত করিয়া দিতে চেষ্টা করিতেন এবং নানাভাবে তাঁহাদের বুঝাইয় দিতেন যে পূর্ণতা লাভ করিতে হইলে হৃদয়ের প্রত্যেক সু-প্রবৃত্তির পৃথক সাধন ও উৎকর্ষ প্রয়োজন, তাহ না হইলে সমগ্র মানবপ্রেকৃতি সৰ্ব্বাঙ্গীন পূর্ণতা লাভ করিতে পারে না । এখন এই দশটি পারমিতার অর্থ ও উদ্দেশ্য বিচার কর} যাইতে পারে। শ্ৰীবুদ্ধ-প্রদর্শিত উৎকর্ষসাধনপ্রণালীর প্রথম रछ८द्र "लtन” I छ।izनम्न पञर्ष लाॉ*; पञtभtcभन्न cम८*ब्र नमांडन ধৰ্ম্ম । ত্যাগ অভ্যাস না করিলে ধৰ্ম্মলtখন অসম্ভব । কিন্তু, এ ত্যাগ কি প্রকারের হওয়া উচিত ? "যেমন অধোমুণী