পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vම්,88 মত শাস্ত ও স্থিতধী পুরুষ বোধ হয় অধ্যায়-চর্চারত ঋষি वाउँौऊ श्रुनिब्रांम्न श्रांब्र ८कडे cनशे । উড়ো জাহাজ ছাড়া আকাশপথ জয় করবার আর এক উপায় হচ্ছে—আজকালকার বেলুনে এঞ্জিন দেওয়া সংস্করণ জেপেলিন । ইহার আবিষ্কৰ্ত্ত গ্রাভ, ফল্‌ জেপেলিন (গ্রাভের অর্থ কৌন্ট,)। ইনি ১৮৯৭ খ্ৰীষ্টাব্দে মোট সিগারের মত আকৃতি দিয়ে তলায় ও সামনে প্রোপেলর ও এঞ্জিন দিয়ে এক বৃহদাকার বিমানপোত তৈরি করেন । ১৯০৮ খ্ৰীষ্টাব্দে ইহার আধুনিক মুক্তি রচিত হয়। প্রথমে লোকে এই বুড়ো সৈন্যকে পাগল সাবস্ত করেছিল। র্তার মৃত্যুর পর এই যন্ত্রের অনেক উন্নতি হয় । গত মহাযুদ্ধের সময় টেল-লে মেশিন এইরূপ জেপেলিনগুলা ইংলণ্ডের উপর বোমা নিক্ষেপ করে ও আরও অনেক অতিমানুষিক কাজ করে । ইহার কতকটা পরিচয় "হেলস এঞ্জেলস নামক চলচ্চিত্রে পাওয়া যায়। একেই যথার্থ উড়ো জাহাজ বলা যেতে পারে । জেপেলিনের উপরের অংশ আলুমিনিয়ম ধাতুতে নিৰ্ম্মিত ও কয়েকটি বড় বড় গ্যাস-ব্যাগে বিভক্ত। জাৰ্ম্মান সেনা-বিভাগের 6 38 নামক জেপেলিনুখানি ইংরেজরা যুদ্ধের সময় দখল ক'রে তার কলকৌশল সব বুঝে নেয় ও ছু-খান রিজিড, বিমানপোত তৈরি করে। তাদের নাম It is ও : 84। জাৰ্ম্মেনীর গ্রাভ, জেপেলিন L. 4 ter ( ডক্টর একৃনের-চালিত ) একুশ দিনে একুশ হাজার মাইল ভ্রমণ ক’রে পৃথিবী পর্যটন করেছে। যাত্রার w৫ প্রাচা । >NS28ーa. পথে এই উড়ো জাহাজখানি মাত্র তিন জায়গায় থেমেছিল— লোস র্যাংগেলেস, নিউ ইয়র্ক, ও টোকিও । আবার টোকিও থেকে জাৰ্ম্মেনীতে যাবার সাড়ে সাত হাজার মাইল পথ অতিক্রম করেছিল পুরা এক-শ ঘণ্টায় একবারও না থেমে । এই উড়ো জাহাজখানি এখন প্রায় আড়াই বছর যাবৎ নিয়মিত ভাবে জাৰ্ম্মেনী থেকে দক্ষিণ-আমেরিকায় •বুয়েনস আয়াসে ডাক ও আরোহী নিয়ে না থেমে অবলীলাক্রমে পাঁচ-ছয় হাজার মাইল যাতায়াত করছে । ইহা এখন অতি সামান্ত ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে । আমেরিকা ও ইংলণ্ড ইহাকে অনুকরণ ও অতিক্রম করতে গিয়ে জাৰ্ম্মান ওস্তাদদের কাছে হার মেনেছে ও প্রত্যেক যন্ত্রটি ভেঙেছে । কার্যকরী করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে অবশেষে সে হার মানতে বাধ্য হয়েছে । জাৰ্ম্মেনী অার একখানি L. Z. 129 তৈরি করছে এবং শীঘ্রই সেটি সাধারণের কাজে লাগবে । এই জেপেলিন থেকে গ্লাইডারের ( যার নব-পর্য্যাম জাৰ্ম্মেনীতে আবার আরম্ভ হয়েছে ) দ্বারা গ্রামে গ্রামে ডাক ও আরোহী ফেলে দিয়ে আসল উড়ো জাহাজখানি একবারও না থামিয়ে চলে যাবার নুতন ব্যবস্থা হচ্ছে এবং শীঘ্রই ইহা সম্পূর্ণ সফল হবে । অতিকায় জেপেলিনের পাল্লায় জাৰ্ম্মেনী অতিকায় উড়ো প্লেন ও তারই সমুদ্রে নামবার সংস্করণ সীপ্লেন আবিষ্কার করেছে। জাৰ্ম্মেনীর ডোন্যে কোম্পানী নিৰ্ম্মিত D. O. Y, ১৯২৯ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রথম তৈরি হয়। এই সীপ্লেনটি পৃথিবীর মধ্যে অতি অদ্ভুত উড়ো জাহাজ। ইহাতে বারোথানা জোরালে এঞ্জিন আছে পাশাপাশি এবং প্রথম পরীক্ষার সময় ১৬৯ জন আরোহী নিয়ে একটি হ্রদ থেকে মাত্র আটখানি এঞ্জিন চালিয়ে স্বচ্ছন্দে উড়তে পেরেছিল ঘণ্টায় ১২৫ মাইল বেগে । এই উড়ো জাহাজখানি দারুণ তরঙ্গবিক্ষুব্ধ আটলাণ্টিক মহাসাগর পার হয়েছে, মাঝে মাঝে সমুদ্রেও নেমেছে, অথচ একটুও ক্ষতি হয় নি। এতে প্রকাও হুল ও প্রমোদ-পথ (promenade ) আছে, নাচগানের বিরাট বৈঠকখানা আছে, প্রকাও হোটেল আছে ও সভ্য মানুষের মুখস্থবিধার জন্ত যা-কিছু প্রয়োজন সবই আছে। এই উড়ো জাহাজখানি দেখতে ঠিক জেপেলিনের মত। প্রতিদিন সকালে এই উড়ো জাহাজের