পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NඵAL প্রবাসী S७8३ রুমালাদি লুকাইয় ফেলেন, তাহ পকেট বা ট্যাক কাটাদের ধরিবার সাধ্য নাই। অভূত আপনাদের কৃতিত্ব—যে অনায়াসে অবলীলাক্রমে সমস্ত জিনিব আপনারা ট্যাকে গুজিয়া ফেলেন, অথচ বাহির হইতে কিছুই বুঝিবার উপায় নাই । এই ত এখানে এত জন ভদ্রমহিলা উপস্থিতও আছেন—কিন্তু কই, কাহার ট্যাকেরও কাছে ত উচু নাই । এমন কি তীক্ষ্মতম চোখও— এই পর্য্যন্ত বলতেই—বললে বিশ্বাস করবেন না—সে কি হাসি অৰ্দ্ধেক মেয়ে উঠে বেরিয়ে গেল । সভানেত্রী আমার কাছে এসে বলেন কি জানেন -'ছুপ করুন মশায়, আপনার আর বক্তৃতা দেবার দরকার নেই।’ কিন্তু এক্ষেত্রে ত আর ওভাবে কেউ থামাতে পারবে না । অবশু মূদি দিদি না এসে পড়ে, তাড়াতাড়ি বললুম—“আচ্ছা, আচ্ছ, স্বীকার করছি পাঞ্জির কথাটা তোলা আমার ঠিক হয় নি, স্বীকার করছি পাঁজি খুব গ্রাম্য, মেনে নিলুম যে বাংলা দেশের সমুদয় পাজি পুড়িয়ে ফেলা উচিত—আপনাকে আমি কথা দিচ্ছি, আজই সদাশয় গভর্ণমেণ্টের কাছে দরখাস্ত করব খেন এই গ্রাম্য এবং রাজদ্রোহপূর্ণ পীজির পাজ নিযুল করেন—কিন্তু আপনি বস্থান ।” উ:, বাচা গেল । বসেছে । বললুম, “অবঙ্গ পাজিটার কথা তোলবার সামান্ত একটু কারণও ছিল। দিন ক্ষণ মানেন না বোধ হয় । লগ্ন ? অন্ত কিছুর নয়—ভয় পাবেন না—এই ধরুন, পাঠারস্তেত্বও তঃএকটা শুভ মুহূৰ্ত্ত চাই । এই মনে করুন, আপনি বখন এলেন তখন বেজেছিল সাড়ে পাচটা, তখন হয়ত ছিল বৃশ্চিক রাশির শেষ কলা, দশ মিনিট না যেতেই রাশিচক্র ধণ ক’রে ঘুরে গেল—হয়ে গেল ধৰ্ম্মলগ্ন । বৃহস্পতি আবার এখন স্বগৃহেই বাস করছেন—ঐ ধনুরাশিতেই। কি যোগাযোগ দেখুন। একবার মনে মনে শুধু ভাবুন, আকাশ থেকে দেবগুরু আমাদের দিকে চেয়ে রয়েছেন। লল্পের এক-একটা ক’রে দ্রেকাশ কাটছে আর অামাদের শরীর মনের মধ্যে কত কি পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে । এই এখন ত আপনি মুখ গম্ভীর ক’রে বসে আছেন, সত্যি বলছি, এমন হ’তেই পারে যে পনের মিনিট বাদেই হয়ত আপনি—যা, যাকু-যখন আপনি মানেন না—সে কথা বাক । আচ্ছা, আচ্ছা, সংস্কৃত পড়তে হবে, না ? তাতে কি, তাতে কি, সব ঠিক ক’রে দেব, ভয় পাবেন না । ঐ বইখানা একবার দিন ত—বেশ, বেশ, বইখানা কি ? কুমারসম্ভব । মানে কি বলুন ত ? কুমার কি ক’রে সমূ-পূর্বক ভূ ধাতু অল্—অর্থাৎ সম্ভব হ’ল ? ওকি, উঠছেন না কি ? এর মধ্যে ? দেখুন একদিনে মোটে এইটুকু প্রোগ্রেস হ’লে লোকে বলৰে কি ? ঘরে গিয়ে কোনৃমুখে আপনার মাকে বলবেন—ম, আজ সুশীলবাবুর কাছে সংস্কৃত বইয়ের মলাটখানা পড়ে এলুম, হা-হা-হা— আচ্ছ, সংস্কৃত ভাল না-লাগে ত ইংরেজী ? 'না, আজ মাথাটা খুব ধরেছে, আজ আলি—” "সৰ্ব্বনাশ, মাথা ধরেছে, আমারই দোষ । খালি কতকগুলো বকর-বকর ক’রে লোকের মাথা ধরিয়ে দেওয়াই আমার পেশ। । ছেলেবেলা থেকে তাই-ই ক’রে আসছি । আপনার মাথা ধরবে, এ আর আশ্চির্য্য কি ; বরং এই ভেবে অবাক হচ্ছি যে আপনি এখনও ফেণ্ট হয়ে পড়েন নি। আচ্ছা দেখুন, আমি যদি আর একটিও কথা ন কই ? একেবারে ঠোঁটে গালামোহর ক’রে ঐ ডেকচেয়ারটায় বসে থাকি ? তাহলে আপনি আর একটু বসবেন ?—আমার আর কি বলুন, কিছুই নয়, কিন্তু ভেবে দেখুন—দু-দিন বাদে আপনার এগজামিন। সোর্ড অব ডামোক্লিস মাথার ওপর ঝুলছে।” বরাবরই আমি এই কথা বলে আসছি যে, ভগবান, আমায় শুধু সময় দাও । আমি বিশ্ৰী হ’তে পারি, বিকট হ’তে পারি। জানি আমার নাকের ঠিক ডগায় একটা দুৰ্দ্দাস্ত স্বাচিল আছে । কিন্তু সময় যদি পাই তাহ’লে ও অসাধ্যফসাধ্য সব আমি সাধন করে দিতে পারি। মেয়েটি এসেছে যখন, তখন পাঁচটা পয়ত্রিশ—আর এখন হচ্ছে সবে পাচটা পঞ্চাশ–এরই মধ্যে কি ব্যাপার । চোখ দুটি দুষ্ট, দুষ্ট, ক’রে বলে দু-জনেই চুপচাপ বসে থাকলে এগজামিনের বিশেষ সুবিধে হবে কি ?’ বলেই—সত্যি বলছি—হাস্ত ।

  • হেলেছেন"–"প্ত-সিংহ-ধেন-জাগ্ৰত-হুইল' গোছের একটা চীৎকার দিলুম–এ তৃ হেলেছেন —তবে ? ব’লে মেয়েটির দিকে একটু এগোলুম।

রাজপুতানার মাঠে হঠাৎ দেখলেন একদল হরিণ—থা