২৪ િ আবগুক অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাহা গতানুগতিক ভাবে চলিয়া আসিতেছে । গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ সকল প্রকারের রচনাই শিক্ষণীয় ব্যাপার। অথচ বিদ্যালয়ে গল্প লিখিলে শিক্ষক তাহ অন্তীয় মনে করেন, কবিতা লেখাটা ঘরে বাহিরে সর্বত্রই লুকাইয়া করিতে হয়। যেন এগুলি সাহিত্যের অঙ্গ নহে । এইখানে চিঠিলেথার কথাটাও উল্লেখ করা উচিত হইবে চিঠিলেখাটা যে একটা আর্ট, তাহাও যে শিক্ষার বস্তু এটা আমরা ভাবিই না । ফলে আমাদের চিঠিগুলা কাজ সারে বটে কিন্তু সেগুলি অাদরের ও আনন্দের বিষয় হয় না । সাধারণতঃ ছেলেমেয়েরা যক্ষবৎ সকল প্রকার রচনা লেখে, চিঠিও তাহাতে বাদ পড়ে না । রচনার ভাষা সম্বন্ধে একটি কথা মনে পড়িয়া গেল । বাল্যকালে এক শিক্ষক-মহাশয়ের জন্ত রচনা লিখিতে হইলে —সে যে-কোন বিষয়েই হোক না কেন—পরম কারুণিক পরমপিতা পরমেশ্বরের নাম স্মরণ করিয়া আরম্ভ করিতে ు? SNS Bゃ. হইত এবং প্রবন্ধের নানাস্থানে “ওতপ্রোত” “অবলীলাক্রমে” ইত্যাদি কতকগুলি “সাধু” শব্দ ছড়াইয় দিতে হইত। কোন কোন শিক্ষক আবার এরূপ শব্দের তালিকা দিতেন । অনেক সময়ে এই সাধুণদের অযথা ও অস্থানে প্রয়োগের ফলে হাস্তকর ব্যাপারের স্বাক্ট হইত। “কতিপয় পিতাঠাকুর মহাশয়ে”র গল্প হয়ত আপনারা শুনিয়া থাকিবেন। সংক্ষেপে বাংলা শিখাইবার প্রণালী সম্বন্ধে আলোচন৷ করাই এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য । এ-সম্বন্ধে বিস্তৃত আলোচনার স্থান এখানে নহে ; তেরাং এই প্রবন্ধে অনেক কথাই বল৷ হয় নাই । এ-সম্বন্ধে বহু আলোচনা, চিস্তা ও গবেষণার প্রয়োজন রহিয়াছে। যদি দেশের শিক্ষকগণের ও সুধীবর্গের দৃষ্টি এ-বিষরে আকৃষ্ট হয় তাহা হইলেই এই প্রবন্ধের উদেঙ্গ সিদ্ধ হইবে ।*
- প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলনের কলিকাতা অধিবেশনে পঠিত ।
অনিৰ্বাণ ঐনিৰ্ম্মলকুমার রায় বাবু মুখেঞ্জলাল পাণ্ডে মহাশয়ের বত্রিশ বৎসরব্যাপী কৰ্ম্মজীবনে যে-সব বালবৃদ্ধবনিতা তাহার সাহচর্য লাভ করিয়াছে তাহারা সকলেই জানিত যে র্তাহার পৈতৃক ব্যবসায় ছিল যজন-যাজন-অধ্যাপন, তাহার ‘মূলক পশ্চিমে, তাহার পথ্য গোধুমচূর্ণ নিৰ্ম্মিত রুট (তবে বঙ্গদেশে তিনি একবেলা অন্নপথ্য করেন ) এবং এই ভূতের বেগার অর্থাৎ রেলের ষ্টোর-বাবুর চাকরি তাহার পোষাইতেছে না । তিনি যখন “আসানগুলে’ চাকরি লইয়া আসেন তখন রেলের রামরাজত্ব । মাসাস্তে, ত্রিমাসাস্তে, অৰ্দ্ধবৎসরান্তে এবং বৎসরান্তে চোঁদ গও নিকাশ, রাশি রাশি মালের শ্রেণী-বিভাগ ও তালিকাপুস্তক, উঠতে বসিতে রিকুইজিসন, ইকুনোট ইত্যাদির কোন বালাই ছিলনা। পিচঢালা ভাল ভাল রাস্তা, ভারী ভারী ‘মকান’ এ-সব কিছুই ছিল না। কোথায় গেল সেই সব গ্রেস্বি', পিচার্ড, কর্ণেল হাণ্টার ; ইl, যাহারা ছিল ‘অঞ্চ সার" ; কাহারও দুই বোতলের কম হুইস্কিতে দিন চলিত না, হাতে থাকিত হান্টার' আর মুখে ড্যাম ব্লাডি, শুয়ার ; আর আজকাল ? অারে রামঃ ৷ যেসব কৃষ্ণকায় ভারতীয় ছোকরাগণ কলেজি শিক্ষার দৌলতে রেলে ‘অফিসার’ হইয়া ঢুকিতেছে, ‘ফেয়ারলি প্লেসের’ একথানি চিঠি আসিলে বাহীরা কাপড়ে-চোপড়ে নিতান্ত শিশুজনোচিত কাৰ্য্য করিয়া বসে, তাহীদের নীচেও কাজ করিতে হইল। আর নয় ; কোনরূপে পঞ্চায় বৎসরটি পূর্ণ হইলেই তিনি নিজের মুলকে চলিয়া যাইবেন। ক্ৰমবৰ্দ্ধমান পেটপরিধির উপর হস্তাৰলেপন করিয়া তিনি