আশষণঢ় কোন দেবকস্তার সহিত চিরযৌবনের দেশে চলিয়া fक्रॉब्रां८छ्न !” ওশিন বৃথা সন্ধানে নানা স্থানে ঘুরিয়া এক জায়গায় কয়েক জন লোককে পাথর তুলিতে সাহায্য করিতে গিয়া সাধারণ গ্রস্থাগার, সৎসাহিত্য ও গবেষণা ৩৭১ ছিটকাইয়া ঘোড়া হইতে নামিয়া পড়েন। অমনই নায়ামের অশ্ব তীরবেগে কোথায় অদৃষ্ঠ হইয় গেল, ওশিনের বলিষ্ঠ দেহ, অনন্ত যৌবন, ধরদৃষ্টি সকলই অস্তৰ্হিত হইল । ক্ষীণবল হৃতদৃষ্টি বৃদ্ধ ওfশন ধুলায় লুটাইয়া পড়িলেন । সাধারণ গ্রন্থাগার, সৎসাহিত্য ও গবেষণা শ্ৰীশরৎ চন্দ্র রায়, রাচি S বোমান পণ্ডিত সিসিরো বলিয়াছিলেন, শুষ্ঠ গৃহ আত্মাশুষ্ঠ শরীরের অনুরূপ ” without “পুস্তক “A room without soul.” আমাদের অনেকের নিকট ইহা অত্যুক্তি বলিয়া বিবেচিত হইলে°, আমার মনে হয়, অন্ততঃ গ্রন্থাগারশূন্ত শহরকে আত্মাশূন্ত শরীরের সঙ্গে তুলনা করিলে বিন্দুমাত্র অত্যুক্তি হইবে না । মনীষী কাবুলাইল গ্রন্থাগারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলামূল্য বিবেচনা করিতেন। তিনি বলিয়াছেন, “A collection of books is a real university.” <rget, নালন্দা, বিক্রমশিলা প্রভৃতি প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পুথিসংগ্রহ তাহদের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল । জ্ঞানবিতরণ ও শিক্ষাদান হিন্দুশাস্ত্রে বিশেষ পুণ্যকার্য বলিয়া নিদিষ্ট হইয়াছে। বহুপ্রাচীনকাল হইতে ভারতবর্ষে গ্রন্থাগার সমধিক সমাদৃত ও সন্মানিত হইয়া আসিয়াছে । খ্ৰীষ্ট-পূৰ্ব্ব সপ্তম বা অষ্টম শতাব্দী হইতেই হস্তলিখিত পুথি প্রচলনের প্রমাণ পাওয়া যায়। আর এই পুথিলিখন প্রথমে বেদ-বেদাস্ত প্রভূতি ধৰ্ম্মগ্রন্থে সীমাবদ্ধ ছিল ; ও পরে জ্যোতিষ, ন্তায়, ও অন্তান্ত শাস্ত্রাদি, এবং পুরাণ ইতিহাস ও কাব্যাদিতেও প্রসারিত হইয়াছিল। প্রথমে অনেক পুথি দেবমন্দিরে রক্ষিত হইত ও পরে মন্দিরের সংলগ্ন গৃহে দেবেচিত সন্মানে রক্ষিত হইত এবং ঐ গৃহও দেবালয়ের মধ্যে পরিগণিত হইত ; কোন-কোন স্থলে ঐ রূপ গ্রন্থাগারকে “সরস্বতী-ভাণ্ডার” বলা হইত। জৈন ও বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের প্রাদুর্ভাব কালেও বিদ্যার্থী ও পণ্ডিতদের জন্ত books is a body ধৰ্ম্মগ্রন্থ নকল ও সংগ্রহ করা ধৰ্ম্মকাৰ্য্যের মধ্যে পরিগণিত হইত। জিনদের মন্দিরে ও উপাশ্রয়ে, বৌদ্ধদের বিহারে ও সঙ্ৰরিামে, হিন্দুদের মঠ ও মন্দিরে প্রচুর পরিমাণে হস্তলিখিত পুথি রক্ষিত হইত। কোন-কোন রাজপ্রাসাদেও এইরূপ গ্রন্থাগার ছিল। ন’লন্দা, বিক্রমশিলা, উদ গুপুরি ও তক্ষশিলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিশ্রাতনাম গ্রন্থাগারে সুদূর চীন, জাপান প্রভৃতি দেশ হইতে শিক্ষার্থী ও পণ্ডিতেরা আসিয়া অধ্যয়ন করিতেন ও পুথি নকল করিয়া স্বদেশে লইয়। যাইতেন। সম্প্রতি মধ্য-এশিয়ায় ও পুৰ্ব্ব-এশিয়ায় প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে প্রকাশ পাইয়াছে যে ভারতবর্ষ হইতে এশিয়ায় বিভিন্ন দেশের যাতারাতের প্রধান পথগুলির পাশ্বে ভারতের বৌদ্ধধৰ্ম্ম-প্রচারকের মঠ স্থাপন করিয়াছিলেন ও র্তাহীদের আনীত পুথিগুলি ঐ সব দেশের শিক্ষার্থীদের দ্বারা নকল করাইতেন, শিক্ষণ দিতেন ও গ্রন্থাগার স্থাপন করিতেন । এইরূপে র্তাহারা ধৰ্ম্মের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের কৃষ্টিও ভারতের বাহিরে বিস্কার করিতেন। বৌদ্ধ যুগের পরেও হিন্দুরাজগণ গ্রন্থাগার-স্থাপন, সুপণ্ডিত ও প্রতিভাশালী লেথকদিগকে আনুকূল্য ও উৎসাহ প্রদান প্রভৃতিতে বহু অর্থ ব্যয় করিতেন। এ বিষয়ে মধ্যভারতে ধার-নগরীর ভোজরাজী, দক্ষিণাত্যের চালুক্যরাজা, আনহিলবাদপট্টনের বিশালদেব ও রাজমন্দ্রির রাজারাজ, বিজয়নগরের প্রতাপদেব রায়, বঙ্গদেশের পলি-রাজবংশের প্রথম ও দ্বিতীয় গোপাল দেব, এবং উত্তর-ভারতে সম্রাট হর্ষবৰ্দ্ধন, গুপ্ত-রাজবংশের দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত প্রভৃতির নাম বিশেব উল্লেখযোগ্য । বিভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের হিন্দু মঠ-মন্দিরে হস্তলিখিত
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।