পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষাচ সাধারণ গ্রস্থাগার, সৎসাহিত্য ও গবেষণা ●ዓዊ ভ্ৰাম্যমান ( travelling ) গ্রন্থাগারের সাহাধ্যে গ্রামে গ্রামে জ্ঞান-বিস্তার ও সৎ-সাহিত্য প্রচার করা বিশেষ কঠিন হুইবে বলিয়া মনে হয় না । কয়েক বৎসর পুৰ্ব্বে আমি বড়োদা-রাজ্যে ভ্রমণকালে সেখানে এইরূপ ভ্ৰাম্যমান গ্রন্থাগার সন্তোষজনক কাৰ্য্য করিতেছে দেখিয়াছি । 8 গবেষণা সাধারণতঃ দুই প্রকাবের,—গ্রন্থাগারের *[qqit (Library research ) s Coto osconst গ্রন্থাগারে গবেষণাধারী আমরা কোন বিশেষ বিষয় সম্বন্ধে পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী অনুসন্ধানকারীদের সংগৃহীত তথ্য ও সে-সম্বন্ধে অন্তান্ত লেখকদের গ্রন্থ, প্রবন্ধ, বিবরণী, সমালোচনা প্রভৃতি একত্রে করিয়া ও সমাহাত তথ্যগুলি পরস্পরের সঙ্গে তুলনা করিয়া তাহদের বিশ্লেষণ ও শ্রেণীবিভাগ স্বারা কোন বিশেষ সিদ্ধাস্তে উপনীত হইতে পারি এবং হয়ত কোন নুতন তত্ত্বও উদঘাটন করিতে পারি। যেমন, বেদ বেদান্ত পুরাণ প্রভৃতি আলোচনা করিয়া হিন্দু ধৰ্ম্মের আদিম স্বরূপ ও পরবর্তী ক্রমিক পরিবর্তন সম্বন্ধে অনেক গবেষণা হইয়াছে ও হইতেছে এবং পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত, ও অন্তান্ত পুরাতন গ্রন্থ, ঘেমন কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র, বৌদ্ধ জাতক, গ্ৰীকৃ-লেখকদের ও চীন-পরিব্রাজকদিগের সমসাময়িক বিবরণ প্রভৃতি যথাযথ আলোচনা ও বিচার করিয়া পুরাকালের হিন্দুসমাজ শু সভ্যতার ইতিহাস সম্বন্ধে অনেক তথ্য উদঘাটিত হইয়াছে । কিন্তু পুস্তকাগারে গবেষণার অসম্পূর্ণতা পূরণ করিবার স্বল্পও ক্ষেত্রের গবেষণার সাহায্যের প্রয়োজন হয় । যেমন ক্ষেত্রে অনুসন্ধান দ্বারা প্রাচীন মুদ্রণ, প্রস্তরলিপি, তাম্রলিপি প্রভৃতি ঐতিহাসিক উপাদান সংগ্ৰহ করিয়া তন্দ্বারা সমসাময়িক বিবরণ প্রভূতির শূন্তস্থানগুলি যথাসম্ভব পূর্ণ করিতে হয় তেমনি ক্ষেত্রে গবেষণার জন্তও গ্রন্থাগারের সাহায্যের প্রয়োজন হয় ; কারণ পূৰ্ব্ববর্তী অনুসন্ধানকারীরা তত্ত্বানুসন্ধানের কোন পন্থা অবলম্বন করিয়াছেন ও কোন কোন তথ্য সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছেন এবং কোন কোন দফ{য় জ্ঞানের অভাব আছে, এ-সব জানিয়া ক্ষেত্রে গবেষণায় প্রবৃত্ত হইলে সম্যক সুফল প্রাপ্ত হওয়া যায়।

Field research )

গবেষণার সাহায্যেই প্রকৃতির গৃঢ় রহস্ত ভেদ করির অমুসন্ধিৎসু পণ্ডিতেরা জড়বিজ্ঞানের অনেক রহস্তপূর্ণ তথ্য আবিষ্কার করিয়াছেন ও করিতেছেন এবং তাঁহারই বলে তড়িৎ, রেডিও শক্তি প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তি আয়ত্তাধীন করিয়া কল-কারখানা দ্বারা জীবনযাত্রার ও শারীরিক সুখসম্ভোগের এবং রোগ-নিরীকরণের অভূতপূৰ্ব্ব সৌকর্য সাধন করিতেছেন। গবেষণার সাহায্যেই মনোবিজ্ঞানের জটিল নিগুঢ় তত্ত্বগুলি কতক পরিমাণে উদঘাটিত করিয়াছেন ও সেই তত্ত্বের সাহায্যে শিশুর মনস্তত্ব অনুশীলন করিয়া শিক্ষার সৌকর্য সাধন ও বাতুলের চিত্তবিক্ষিপ্তভার ও মগ্ন চৈতন্তের গুপ্ত রহস্ত হদয়ঙ্গম করিয়া তাহাদের রোগ নিরীকরণের পন্থাও উদ্ভাবন করিতেছেন এবং গবেষণার সাহায্যে মানবের দেহের ও মনের অভিব্যক্তির এবং সভ্যতার অভিব্যক্তি সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করিতেছেন । প্রত্নতাত্ত্বিক সাধকের একান্ত ভক্তি ও সেবায় প্রসন্ন হইয়া স্তব্ধ অতীত তাহার কাছে উtহার যুগযুগস্তরের গোপন রহস্ত প্রকাশ না করিয়া পারেন না। এই পৃথিবীতে জীবনের উন্মেষ-যুগ হইতে আধুনিক যুগ পৰ্য্যন্তু ধরিত্রীর স্তরে স্তরে কত জীবনের কত ধারা চিহ্ন রাখিয়া গিয়াছে ঃ আক্রান্ত পরিশ্রমী প্রাগৈতিহাসিক গবেষণা রূপ সাধনা দ্বারা, সেই মেীন ইতিহাস ধীরে ধীরে উদঘটিত করিতে সমর্থ হইতেছেন । ধরিত্রীর ভিন্ন ভিন্ন স্তর উদঘাটন ও পর্যবেক্ষণের দ্বারা কোন ভূস্তরে অর্থাৎ কোন যুগ ও অস্তযুগে কোণ শ্রেণীর প্রত্নত্ৰীব ( ancient life ) ও প্রাগৈতিহাসিক মানব উদ্ভূত হইয়াছিল এবং কোন যুগে ও অস্তযুগে মানবের অস্ত্র-শস্ত্র, পরিচ্ছদ, আবাসঘাট ও অন্তান্ত দ্রব্য-সম্ভারের উপাদান, ও গঠন-প্রণালী ও আকার কিরূপ ছিল তাঁহা যথাসম্ভব নিরূপণ করিয়া মোটামুটি একটি ধারাবাহিক বৃত্তান্ত উদ্ধার করিতেছেন এবং তস্থার ভবিষ্যৎ তত্ত্বস্থপন্ধিৎসুদের কার্য্য সুগম করিয়া দিতেছেন। প্রাগৈতিহাসিক যুগের বাস্তব তত্ব উৎঘাটন করিতে হইলে ক্ষেত্রে গবেষণা ছাড়া দ্বিতীয় উপায় নাই । পৌরাণিক ঋষিরা যোগবলে ত হা পারিতেন কি না জানি না ! কেহ কেহ বলেন হিন্দু ঋষিদের উল্লিখিত মৎস্ক-অবতার, কুৰ্ম্ম-অবতার, বরাহ-অবতার, বামন-অবতার,