পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষাড় অীমণর দেখা লোক こbr> সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর বলিতে বলিতে বৃদ্ধের চক্ষু অশ্রীপুর্ণ হইয়া উঠিল । সত্তর বা তাহারও অধিক বৎসর বয়স্ক বৃদ্ধকে পিতৃশোকে কাতর দেখিয়া আমি বিস্মিত হইলাম । তিনি এমন ভাবে কথাগুলি বলিলেন, বেন কোন নাবালক সহসা পিতৃহীন হইয়া অকুল সাগরে পড়িয়াছেন। বুঝিলাম যে, পিতা বা মাতা জীবিত থাকিলে পুত্রের যতই বয়স হউক না কেন, তাহার বালকত্ব অন্ততঃ পিতা মতিরি কাছে বিদ্যমান থাকে । মহর্ষির কার্য্যকলাপ সম্বন্ধে আলোচনা কালে দ্বিজেন্দ্রবাবু বলিলেন, “এক সময় বাব যে হিন্দু সমাজকে রক্ষা করিয়াছিলেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। যখন খ্ৰীষ্টানী ভাবের বস্তায় হিন্দু সমাজ ভাসিয়া বাইতেছিল, তখন বাবা রামমোহন রায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই খ্ৰীষ্টানী ভাবের একটা বড় ঢেউকে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি না থাকলে আজ বাঙ্গালীর ভদ্র ও শিক্ষিত সমাজে খ্ৰীষ্টানের সংখ্যা অনেক বেশী হ’ত ” কথাটা যে খুবই সত্য, তাহাতে সন্দেহ নাই । 8○ー>> আমার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলে সখীরাম বাবু বলিলেন, “আমার বন্ধু, ‘হিতবাদী’র সহকারী সম্পাদক ।” আমি বলিলাম “আমার আর একটু পরিচয় আছে, আপনাদের বাটীর দৌহিত্র সস্তান এটর্নী অমরেন্দ্রবাবু আমার জ্ঞাতিভ্রাতা । তাহার প্রপিতামহ এবং আমার প্রপিতামহ সহোদর।” এই কথা শুনিবা মাত্র তিনি ঠিক স্বর্ণকুমারী দেবীর কথাই যেন পুনরাবৃত্তি করিয়া বলিলেন, “ও; তবে ত তুমি আমাদের ঘরের ছেলে গো ।” দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর যখন মহৰ্ষির সর্বস্বাস্ত হইবার উপক্রম হইয়াছিল, সেই সময় উল্লেখ করিয়া দ্বিজেন্দ্রবাবু বলিলেন “আমাদের বিধয় সম্পত্তি নাশ অবধারিত জানিয়া বাবা আমাকে একটি ছোট ডেকা কিনিয়া দিয়া ভাল করিয়া হাতের লেখা পাকাইতে বলিয়াছিলেন । তিনি বলিয়াছিলেন, “যদি হাতের লেখাটা ভাল হয়, তাহ হইল কোন সাহেব-হুবকে ধরিয়া একটা কেরাণাগিরি করিয়া দিতে পারিব, হাতের লেখ, ভ} না হইল তাহও জুটিবে না ’ বাবার আদেশে আমি হতে পাকাইতে আরম্ভ করিয়াছিল;ম ।” রাত্রি প্রায় সাঁড়ে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর আটটার সময় আমরা তাহার নিকট হইতে বিদায় গ্রহণ করিলম । ইহার পর দুই-চার বার মাঘোৎসবের সমর আমি তাহাকে দেখিয়াছিলাম, কিন্তু কোন কথা হয় নাই । সেদিন