পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮২ مه SNరి83్చ সখীরাম বাবুর সহিত না গেলে হয় ত তfহার কথাবার্তা শুনিবার সৌভাগ্য কখন হইত না । এই প্রসঙ্গে বাবু রাজনারায়ণ বস্তু মহাশয়ের কথাও বলিব। রাজনারায়ণ বাবু যখন মেদিনীপুর স্কুলের হেডমাষ্টীর ছিলেন, তখন আমার পিতা বোধ হয় দুই বৎসর কাল ঐ স্কুলে পড়িয়াছিলেন । বহুকাল পরে আমার পিতা পেন্সন লইয়া কয়েক মাস দেওঘরে বাস করিয়াছিলেন । রাজনারায়ণ বাবুও দেওঘরে থাকিতেন । আমার পিতা সেই সময় প্রায় প্রত্যহই তাহার নিকট বেড়াইতে যাইতেন । দেওঘর হইতে বাবা ফিরিয়া অtfসয়া আমাদের নিকটে রাজনারায়ণ বাবুর সম্বন্ধে গল্প করিতেন । ইহার কয়েক বৎসর পরে আমি কিছুদিনের জন্ত সেই সময় মধুপুরে আমার এক বন্ধুর নিকটে গিয়াছিলাম। একদিন রাজনারায়ণ বস্তু আমাদের পরামর্শ হইল যে, রাজনারায়ণ বাবুকে দেখিতে যাইব । আমি বাবাকে পত্র দ্বারা আমাদের সঙ্কল্পের কথা জানাইলে তিনি পত্রোত্তরে আমাদিগকে লিখিলেন যে, তিনি আমাদের কথা রাজনারায়ণ বাবুকে লিখিয়াছেন। বাবার পত্রের মধ্যে আমাদের একখানি পরিচয় পত্র ছিল । বাবার পত্র পাইয়া আমরা তৎপর দিনই দেওঘরে গিয়া উপস্থিত হইলাম। আমরা যখন রাজনারায়ণ বাবুর নিকট উপস্থিত হইলাম, তখন বোধ হয় বেলা আড়াইট । তিনি বাহিরের ঘরে ছিলেন না । আমি একজন ভূত্যের দ্বারা র্তাহাকে সংবাদ দিলে তিনি সহস্তে বদনে আসিয়া বলিলেন—“ইন্দ্রকুমারের পত্র পাইয়াছি, তোমাদের মধ্যে ইন্দ্রকুমারের ছেলে কে?" আমি আপন পরিচয় প্রদান করিলে তিনি আমাদের দুই জনকেই সমান স্নেহভরে অভ্যর্থনা করিয়া বসাইলেন এবং বলিলেন, “আমার ছাত্রের ছেলে, আমার নীতি। কেমন তাই নয় কি ?” এই বলিয়াই উচ্চৈঃস্বরে হাসিয়া উঠিলেন। দেখিলাম, তিনি সকল কথাতেই খুব প্রাণ খুলিয়া হাসিয়া উঠতেন । র্তাহার মত প্রাণখোলী উচ্চ হাসি আজকাল বড় দেখিতে পাই না । আমরা তাহার কাছে প্রায় অপরাহ্ল পাঁচটা পর্যন্ত ছিলাম। আসিবার পূৰ্ব্বে তিনি আমাদিগকে জলযোগ করাইয়া বিদায় দিলেন। রাজনারায়ণ বাবু ভূদেব বাবু ও মাইকেল মধুসুদন দত্তের সতীর্থ ছিলেন । মাইকেলকে আমি দেখি নাই, কিন্তু রাজনারায়ণ বাবুর সহিত ভূদেব বাবুর তুলনা করিলে একটা পার্থক্য সৰ্ব্বাগ্রে চোখে পড়িত। ভূদেব বাবু যেমন রাশভারি, অল্পভাষী, গম্ভীর প্রকৃতির লোক ছিলেন, রাজনারায়ণ বাবু সেরূপ ছিলেন না । তিনি সদানন্দ রঙ্গপ্রিয় লোক ছিলেন । আমরা যতক্ষণ র্তাহার নিকট ছিলাম, ততক্ষণের মধ্যে তিনি যে কতবার আমাদিগকে “নীতি” সম্বন্ধ ধরিয়া আমোদ করিলেন, তাহার সংখ্যা নাই। তাহার মূধ্যেই আমরা কতদূর পড়াশুনা করিয়াছি, কি কাজ করি, তাহ জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন। সেকালের আর এক জন মুরসিক অথচ স্বপণ্ডিত লোক ছিলেন বাবু গঙ্গাচরণ সরকার সাহিত্যচাৰ্য্য অক্ষয়চন্দ্র সরকার গঙ্গাচরণ বাবুর এক মাত্র পুত্র। গঙ্গাচরণ বাবুর বাটি চুচুড়ার কদমতলা, আমাদের বাটি হইতে বোধ হয় এক ক্রোশ হইবে। আমার