পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুস্তকগুলির দীর্থ তালিকা করিল। প্রায় পচিশখানি বই। অধিকাংশই ইতিহাসের বই। উপস্তাসের মধ্যে লইল, টলষ্টরের রিসারেকশন। একটি রুটিন করিয়া ফেলিল । আর হেলাফেলা নয় । বস্তুতঃ তাহার অশাস্ত হৃদয়াবেগকে দমন করিবার জন্তই এই জ্ঞানের সাধন । ছুটিতে সে একা, বন্ধুহীন । শিশির চট্টগ্রামে চলিয়া গিয়াছে। জয়স্তের সহিত আর সহজ সৌহার্দ্য নাই ; অধিক ক্ষণ তাহার সহিত কথা কহিলে সে যেন হাপাইয়া উঠে । বাণেশ্বর তাঁহার মাসীর বাড়ি, মৎস্তভক্ষণের লোভে । অজয়কে বাড়িতে বড় দেখা যায় না, তাহার নূতন কয়েক खन यकू इहेब्रां८झ, उॉशांtनद्र नश्ठि नभरष्ठ नेिन ८५ण ७ খেলার গল্প । অৰুণ এই নিঃসঙ্গ জীবনই চাহিতেছিল। অত্যন্ত বেদনাপ্রবণ হইয়া উঠিয়াছে । ভাল না লাগিলেও প্রতিদিন অজয়দের বাড়ি একবার যাইতে হয়। হেমবীবুর মেজাজ অত্যন্ত কক্ষ হইয়া উঠিয়াছে ; বাড়ির সকলে কেমন গম্ভীর, বিষণ্ণ । চঞ্জীও যেন হাসিতে লাফাইতে ভুলিয়া গিয়াছে। সমস্ত বাড়ির আবহাওয়ায় চাপা গুমোট তাব । কযে যে হেমবাবু সারিয়া উঠিবেন, তিনি সারিবেন কিনা, কিছুই বোঝা যায় না । ডাক্তারদের আশ্বাসবাণী আর কেহ বিশ্বাস করে না । তাহার উপর অর্থাভাৰ । অজয়দের বাড়িতে ঢুকিলেই অরুণ যেন শুনিতে পায়, ঘরের কোপে কোণে কাহারা যেন কাণাকণি করিতেছে,— টাকা নাই। ছাদের ফুলের টবে শুষ্ক গাছগুলি দোলাইয়া মলিন পর্দা কাপাইরা বাতাস বহিয়া যায়—টীকা নাই । মামীমার স্থির পাণ্ডুর মুখে, উমার দীর্ঘ কৃষ্ণ নয়নপল্লবছায়ার উদাস ক্লান্ত স্বর বাজে—টাকা নাই। কেহ মুখ ফুটিয়া কিছু বলে না । নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করে না । গত মুর্খার পর হেমবাবুর জন্ত একটি নাস রাখা হইয়াছিল, তাহাকে ছাড়াইরা দেওয়া হইয়াছে, উমা স্কুলে ञांब्र षांब्र नl, *िठांब्र स<षब्रि ७ॉब्र णहेब्रां८छ् ।। ७कर्छ চাকর কমাইরা দেওয়া হইয়াছে। সন্ধ্যায় বাড়িতে প্রবেশ করিলে অরুণ চমকিয় ওঠে, নীচের ঘরগুলি অন্ধকার, তাহার মন প্রৰণসী ১৩৪২ উপরের ঘরগুলির আলোক স্নান, যেন একটা চাপা আৰ্ত্তনাদ গুমরিয়া উঠে—টীকা নাই । অক্ষণের ইচ্ছা করে, তাহার স্কলারশিপের টাকা মমীিমার হাতে দেয় । কিন্তু সত্যই অর্থাভাব কি না, সে বুঝিয়া উঠিতে পারে না । অত্যধিক পাঠ ও নিঃসঙ্গ জীবনে বিষন্নতার ভারে অরুণের মন হয়ত অনুস্থ হইয়া উঠিত, প্রতিদিন নিয়মিত টেনিস খেলিয়া সে বাচিয়া. গেল। বহু ক্ষণ টেনিস খেলিয়া ঘৰ্ম্মাক্ত শ্রাস্ত হইয়া যখন সে বাডি ফিরিত, মনের মধ্যে শাস্তি অনুভব করিত । সন্ধ্যায় প্রায়ই ছাদে বেহালা লইয়া বসিত। স্কলারশিপের টাকা জমাইয়া বেহালাটি কিনিয়াছিল : সঙ্গীতচর্চার জন্ত নয়, অলস ক্ষণে সুর লইয়া আপন মনে পেলা করা । শিবপ্রসাদ বলিয়াছিলেন, এক কন ভাল ফরাসী বেহালা-বাদক শিক্ষকরূপে নিযুক্ত করিতে চান। অরুণ রাজী হয় নাই। নিজের সাধনায় নিজের খুশীমত সে বেহালা শিখিবে । ছুটির মাঝামাঝি অরুণ অত্যন্ত মানসিক শ্রাস্তি অনুভব করিল। বৃথা এ গ্রন্থ পাঠ। সব পড়া-শোনা সে ছাড়িয়া দিল । মাঝে মাঝে কবিতার বই লইয়া পড়িত। ইজিচেয়ারে শুইয়া শরতের আলো-ছায়ার দিকে চাহিয়া অবকাশপূর্ণ দিনগুলি নীলাকাশ-সমুদ্রের আলো-অন্ধকারে মাঝি-হীন তরীর মত আনমনা ভাসাইয়া দিত। তাহার চারি দিকে প্রকৃতি ও মানব-জীবন যেন কোন গভীর বিষাঙ্গে আচ্ছন্ন । এই সময় এক দিন অরুণের এক অপূৰ্ব্ব আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা হইল, তাহার জীবন ওলট-পালট হইয়া গেল । সমস্ত দিবস প্রখর স্বৰ্য্যতাপের পর অপরাত্নে আকাশ অন্ধকার হইয়া আসিল। বড় উঠিল । রুদ্রের তৃতীয় নেত্রের ধৰ্ব্ব-ধক কম্পনের মত দিকে দিকে বিদ্যুৎ চমকাইতে লাগিল । বড় বড় ফোটায় বৃষ্টি নামিল। উন্মুক্ত বাভাস । ঝড়ের শোভা দেখিতে অরুণ ছাদের ছোট ঘরে গিয়া দ্বাড়াইল । বৃষ্টি বেশী ক্ষণ হইল না। পূৰ্ব্বাকাণে কতকগুলি কালে মেঘ জমির রছিল। পশ্চিমাকাশের জলধৌত