পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণষণচ 8OS সাজসজ্জা, সৌখীন পোষাক, নৃত্য ও গীতের জগু চতুর্থ পুরস্কার প্রাপ্ত করিতে চলিয়া যায়। সমস্ত মিলিয়া যে দৃশ্বের স্বষ্টি হয় তাহ দেখিলে মনে হয়, শ্রাস্তি ও অবসাদ এদেশের মানুষের জন্ত নয় । দুঃখ-দুর্ভাগ্য ইহাদেরও জীবন কম নাই, কিন্তু উৎসবের দিনে সে-সমস্তকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করিতে ইহাঙ্গের বাধ হয় না ।* __এই প্রবন্ধে মুদ্রিত চিত্রগুলি লেখক কর্তৃক গৃহীত। __ আটাশ ঘণ্টার জন্য শ্ৰীসন্তোষকুমার মুখোপাধ্যায় তারপাশায় নামিয়া দেখিলাম চারটা বাজিয়াছে। ষ্টীমার তখনও ঘাট ছাড়ে নাই ; মাল বোঝাই হইতেছে । চুঙ্গীট দিয়া অনবরত কালো ধোয় বাহির হইয়া সমস্ত জায়গাটা ধোয়াটে ধোয়াটে হইয়াছে। বোটের দোতালার উপর অসংখ্য লোক দাড়াইয়া যাত্রীদের কাওকারখানা দেখিতেছে । এখানে বোটের উপরেই ষ্টেশন । কোন বছরই ষ্টেশনের জায়গার কোন ঠিক থাকে না । এ-বছর যেখানে ষ্টেশন আছে, ও-বছর হয়ত তার কোন অস্তিত্বই পাওয়া গল না—ভাঙিয়া-চুরিরা যে কোথায় চলিয়া গিয়াছে তাহ নির্ণয় করিবারও জো নাই। কাজেই টিকিটম্বর, গুডস আপিস গুদামঘর সবই বোটের উপর। বোটখানাকে যেখানেই রাখা হয়, সেখানেই ষ্টেশন । - অল্প খানিকটা জায়গা হাটিয়া গিয়া অপেক্ষাকৃত একখানি ছোট ষ্টীমারে উঠতে হইল। প্রথম ষ্টেশন বলিয়া লোকজনের তেমন ভিড় ছিল না । কম্বল বা সতরঞ্চি বিছাইয়া যাত্রীর দিব্যি গড়াগড়ি করিতেছে। লোহার জালের রেলিঙের কাছে অনেক জায়গা খালি পড়িয়াছিল, তাহারই এক জায়গায় ভাল করিয়া বিছানা পাতিলাম । সঙ্গে তোষক, বালিশ, চাদর সবই ছিল, কাজেই বিছানা করিতে কোন বেগ পাইতে হইল না । পিছনেই ইণ্টারক্লাসের কামর, প্যাসেঞ্জীর একটিও নাই। কিন্তু মেয়েদের