পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষাঢ় বিবিধ প্রসঙ্গ—শাম্ভি, স্বাধীনভা ও ন্যায় 88S ব্যবস্থা করিবেন ভারতসচিব । আত্মসম্মানহীন নিস্তেজ ধনলোলুপ পদলিপ্ত, খেতাবপ্রার্থী যে-সব হতভাগ্য ভারতীয় মন্ত্রী হইয়া ঐ সব চাকর্যের উপরওয়ালা হইবে, তাহারা নামে মাত্র উপরওয়ালা হইবে ঃ “অধস্তন” এই সকল চাকর্যের উপর তাহীদের কোন ক্ষমতা থাকিবে না । এই সব চাকর্যেদের স্বাধীনতা বড় কম হইবে না। এমন কি, যে-সব স্থলে যে-রকম অবস্থায় বেসরকারী লোকদের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ করা চলে, এই সকল চাকর্যেদের বিরুদ্ধে সে-সব স্থলে সে-রকম অবস্থায় মোকদ্দমা করিতে হইলে গবন্মেন্টের অনুমতি আবশ্যক হুইবে । অতঃপর ভারতপ্রেবাসী বেসরকারী অন্ত ইংরেজ ও ইউরোপীয়দের কথা । তাহারা নিজেদের দেশে রাষ্ট্রনৈতিক যে স্বাধীনতা ভোগ করে এবং নানা প্রকার কাজ করিয়া অর্থ উপার্জন করে, স্ব-স্ব দেশে তাহা ত বজায় থাকিবেই, অধিকন্তু ভারতবর্ষ স্বাধীন দেশ হইলে ভারতীয়েরা এখানে যত রকম সুবিধা ভোগ করিত তাহা এই বৈদেশিকের ভোগ করিবে—তাহীর বিদেশী বিবেচিত হইবে না । কাৰ্য্যতঃ ভারতীয়েরাই, বিদেশে গেলে যেমন বিদেশী বিবেচিত হয়, স্বদেশেও তেমনই রাষ্ট্রীয় ও আর্থিক ব্যাপারে বিদেশী হওয়ার অনুবিধাটা ভোগ করিবে! ভারতীয়েরা নগণ্য ; তাহারণ স্বাধীনতা নাই পাইল । তাঁহাতে কি আসে যায় ? অম্ভ র্যtহাদের উল্লেখ করিলাম তাহারা মান্তগণ্য । সুতরাং প্রেমাণিত হইল, যে, তাহদের স্বাধীনতা সুদৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপিত হওয়ায় ভারতশাসন বিল স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত করিতেছে । বাকী থাকে স্তায় । এই বিলটির প্রধান প্রধান সব ব্যবস্থা এরূপ দ্যায়সঙ্গত, যে, ইহার মুসাবিদার জন্ত যিনি প্রধানতঃ প্রশংসার দাবি করিতে পারেন, তাহাকে ধৰ্ম্মাবতার বলা উচিত । এক নম্বর ন্তাষ্য ব্যবস্থা ও সৰ্ব্বোত্তম ন্তাধ্য ব্যবস্থা এই, যে, যদিও অন্ত যত সভ্য দেশে ব্যবস্থাপক সভা আছে তথায় সকল ধৰ্ম্মের ও শ্রেণীর লোকদের রাষ্ট্ৰীয় স্বার্থ এক বলিয়া ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের ও শ্রেণীর লোকদের জন্ত আলাদা আলাদা নিৰ্ব্বাচকমণ্ডলীর দ্বার আলাদা আলাদা প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচনের ব্যবস্থা করা হয় নাই, তথাপি ভারতবর্ষেও সকলের রাষ্ট্রীয় স্বার্থ এক হইলেও এখানে আলাদা আলাদা নিৰ্ব্বাচকমণ্ডলীর স্বারা আলাদা আলাদা প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচনের নিয়ম করিয়া ভারতবর্ষে পূর্ণমাত্রায় মহাজাতি গঠনে বাধা জন্মান হইয়াছে এবং মহাজাতি যতটুকু গঠিত হইয়াছিল তাহাকেও খণ্ড খণ্ড করিবার বন্দোবস্ত করা হইয়াছে। উদ্দেশু, যাহাতে ভারতবর্ষ স্বাধীনতালাভের জন্ত সম্মিলিত চেষ্টা করিতে না পারে। ভারতবর্ষ দুটা বড় ভাগে বিভক্ত। যদিও সমগ্র ভারতেরই প্রভু ব্রিটিশ জাতি, তথাপি একটা ভাগকে বলা হয়, ব্রিটিশ ভারত, আর একটাকে বলা হয় ভারতীয় বা দেশী ভারতবর্ষ বা দেশী রাজ্যসকলের সমষ্টি । ভবিষ্যৎ ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভায় এই দুই ভাগেরই প্রতিনিধি থাকিবে । এই প্রতিনিধিরা অবশ্য মনুষ্যজাতীয় হইবেন, এবং মানুবদেরই প্রতিনিধিত্ব করিবেন—গাছ পাথর মাটি জমি মরুভূমি বন জঙ্গল গৃহপালিত পশুপক্ষী বা বন্ত প্রাণিসমূহের নহে। সুতরাং কোন ভূখণ্ডের লোকেরা কত প্রতিনিধি পাইতে পারেন, তাহ লোকসংখ্যা অনুসারে নিৰ্দ্ধারিত হওয়া ন্যায়সঙ্গত । সমগ্র ভারতবর্ষের লোকসংখ্যা ৩৫ কোটির উপর, দেশীরাজ্যগুলির লোকসংখ্যা প্রায় ৮ কোটি । সুতরাং ব্যবস্থাপক সভার মোট প্রতিনিধিসংখ্যার সিকির কমসংখ্যক প্রতিনিধি দেশী রাজ্যগুলি পাইতে পারে । কিন্তু তাহাদিগকে দেওয়া হইয়াছে মোটসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ-সংখ্যক প্রতিনিধি। ইহা ধৰ্ম্মাবতারের দুই নম্বর দ্যাব্য ব্যবস্থা । তিন নম্বর দ্যাধ্য ব্যবস্থা এই, যে, দেশীরাজ্যগুলির লোকেরা তথাকার প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন করিতে পরিবে না, প্রতিনিধি মনোনীত করিবে তথাকরি নরেশর । - চার নম্বর ন্যায্য ব্যবস্থা এই, যে, দেশীরাজ্যগুলির আভ্যন্তরীণ ব্যাপারসমুহে হস্তক্ষেপ করিবার অধিকার ব্রিটিশ-ভারতের প্রতিনিধিদের থাকিবে না, কিন্তু ব্রিটিশভারতের জন্ত আইনাদি প্রণয়ন প্রভূতিতে দেশীরাজ্যের নরেশদের মনোনীত প্রতিনিধিরা তর্কবিতর্ক, ভোটদান ইত্যাদি করিতে পারিবে । পাচ নম্বর ন্যায্য ব্যবস্থা এই, বে, যদিও হিন্দুরা