পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88Ն ১১৪৪২ “বিশ্বভারতী নিউস” কাগজে দেখিলাম, যে, কয়েক মাস পূৰ্ব্বে যে চীন-ভারতীয় কৃষ্টি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহার কল্যাপে শাস্তিনিকেতনে একটি চৈনিক ভবন প্রতিষ্ঠিত হইবে। তাহ প্রস্তুত করিবার জন্ত ও চৈনিক পুস্তক ক্রয় করিবার নিমিত্ত চীনে পঞ্চাশ হাজার টাকার উপর দান সংগৃহীত হইয়াছে বলিয়া চৈনিক অধ্যাপক তান য়ুন শানূ লিখিয়াছেন। অধিকন্তু, চীনের দ্যাশন্তাল গবন্মেন্টের পরীক্ষা-সমিতির সভাপতি ( President of the Examination Yuan ) for stir fö-osie মহাশয়ের উইল অনুসারে দশ হাজার টাকার কিছু বেশী চীন-ভারতীয় কৃষ্টি সমিতি পাইয়াছে। অনেক চৈনিক গ্রন্থ আগে হইতেই বিশ্বভারতী গ্রন্থাগারে ছিল । সম্প্রতি আরও অনেক গ্রন্থ আসিয়াছে । চীন-ভারতীয় মৈত্রীর চীনদেশীয় উৎসাহদাতারা যে এত টাকা দিয়া শাস্তিনিকেতনে চৈনিক ভবন ও চৈনিক গ্রন্থাগার নিৰ্ম্মাণ করাইতেছেন, এবং চৈনিক গ্রন্থও পাঠাইতেছেন, তাহর উদ্দেশ্য বোধ হয় চৈনিক ভাষা, সাহিত্য ও কৃষ্টির অনুশীলন -চৈনিক গ্রন্থাবলীর তাজমহল নিৰ্ম্মাণ সম্ভবত: তাহাদের উদেষ্ঠ নহে । হখের বিষয়, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চীন ও তিববতের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়াছেন ; কিন্তু দুঃখের বিষয়, অন্ত এক ব্যক্তি আগে ঐ দুটি দেশের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়াছিলেন এবং হয়ত ভবিষ্যতেও করিবেন । পুনা চুক্তির সংশোধনের সম্ভাব্যতা গত ৩১শে মার্চ আহমদাবাদের *হরিজন” আশ্রমে (ভূতপূৰ্ব্ব সত্যাগ্ৰহ আশ্রমে ) মহাত্মা গান্ধী “হরিজন”দের নেতা শ্ৰীযুক্ত কৗকাভাইয়ের একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “পুনা চুক্তি আইন-ভুক্ত হইবার পর তবে বলবৎ হইবে অর্থাৎ কাজে লাগান যাইবে, এবং যদি ইহার সব স্বাক্ষরকারীরা একত্র মিলিত হন তবে ইহা সংশোধিত হইতে পারে।” কে র্তাহাদিগকে এক জায়গায় কিসের cछां८व्र यांनिtवन ? महांश्वांछौ ५थन शनि ठाँवांब्र छै°वांन করেন, তাছা হইলেও সকল স্বাক্ষরকারীরা মিলিত হইবেন কি না সঙ্গেহ । •=="#". বঙ্গের গ্রন্থাগারসমূহ গত মে মাসে মাডিড শহরে যে পৃথিবীর লাইব্রেরিয়ানদের অন্তর্জাতিক কংগ্রেগ হইয়া গিয়াছে, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ও লাইব্রেরী-প্রচেষ্টার বঙ্গীয় প্রধান উদ্যোগী কুমার মুনীন্ত্রদেব রায় মহাশয় তাহীতে ভারতীয় প্রতিনিধি হইয়া গিয়াছেন । তিনি এক জন সংবাদদাতাকে লওনে ভারতবর্ষের লাইব্রেরীসমুহের সম্বন্ধে অনেক কথা বলেন । যথা—বঙ্গের গ্রন্থাগারগুলির মধ্যে কলিকাতার ইস্পীরিয়্যাল লাইব্রেরীটি বড়। ইহাতে তিন লক্ষ বহিষ্ট আছে। বাংলা-গবক্সেণ্ট ইহাকে বৎসরে ১৬,••• টাকা দেন । এই গবন্মেণ্ট বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ ও সংস্কৃত , সাহিত্য-পরিষদকেও সাহায্য করেন । এশিয়াটিক সোসাইটিকেও টাকা দেন। কলিকাতায় প্রায় ২৫০টি অন্ত লাইব্রেরী আছে ; তাহার মধ্যে ১৭৩টিতে মোট ৫৫০৯৩৫ খানি বহি আছে । কলিকাতা মিউনিসিপালিটির নিকট হইতে তাহারা বার্ষিক মোট ৪৮৯৬০ টাকা সাহায্য পায়। বঙ্গের মফঃস্বল শহরের উত্তরপাড়া, কোন্নগর, শ্রীরামপুর, চন্দননগর ও বঁাশবেড়িয়া লাইব্রেরীগুলি উল্লেখযোগ্য । বঙ্গের গ্রামসমূহে প্রায় এক হাজার লাইব্রেরী আছে। শিক্ষিত যুবকের চাদ তুলিয়া এগুলি স্থাপন করিয়াছে ও চালাইতেছে । আগে স্থানীয় লোক্যাল বোড, ইউনিয়ন বোড প্রভৃতি আইন অনুসারে লাইব্রেরীর সাহায্য করিতে পারিত না ; কুমার মুনীন্দ্রদেব রায় মহাশয়ের চেষ্টায় আইন সংশোধিত হওয়ায় এখন পারে: কিন্তু হুগলী জেলা ব্যতীত আর কোথাও এই সংশোধনের সুবিধা লওয়া বা দেওয়া হয় নাই। মফঃস্বলের গ্রামগুলির গ্রন্থাগারসমূহের কর্তৃপক্ষের স্থানীয় বোর্ডগুলি হইতে টাকা পাইবার চেষ্টা করা উচিত। কুমার মুনীন্দ্রদেব রায় মহাশয় গ্রামগুলির ষে ১••• লাইব্রেরীর কথা বলিয়াছেন, তাহা কোনূ কোন জেলার কোন কোন গ্রামে অবস্থিত, তাহার বোধ হয় কোন তালিকা নাই। একটি তালিকা প্রস্তুত হওয়া উচিত। তাহা হইলে বুঝা যাইবে, কোন জেলা এ বিষয়ে কত দূর অগ্রসর বা অনগ্রসর । এই তালিকায় গ্রামের ও জেলার নাম, লাইব্রেরীটিতে কত বহি আছে এবং কি কি মাসিক, সাপ্তাহিক ও দৈনিক কাগজ ষায়, তাহার উল্লেখ থাক।