পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার দেখা লোক শ্ৰীযোগেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায় সেকালের শিক্ষণ-বিভাগের শীর্ষস্থানীয়, সৰ্ব্বজন-পরিচিত ভূদেব মুখোপাধ্যায় মহাশয় আমার পিতার শিক্ষাগুরু এবং পরে দীক্ষাগুরুও হইয়াছিলেন । আমার পিতৃদেবের মুখে শুনিয়াছি যে, ভূদেব মুখোপাধ্যায় স্বৰ্গীয় ভূদেব বাবু হুগলীতে একটি নৰ্ম্মাল স্কুল স্থাপন করিতে আসিয়াছেন এবং যে-সকল ছাত্র নৰ্ম্মলি স্কুলে অধ্যয়ন করিবে, তাহারা মাসিক চারি-পাচ টাক! করিয়া বৃত্তি পাইবে, এই সংবাদ পাইয়া আমার পিতা ঐ স্কুলে ভৰ্ত্তি হইবার জন্ত ভূদেব বাবুর নিকট গমন করিলে ভূদেব বাৰু বলেন যে, কয়েক দিন পরে একটা পরীক্ষার দ্বারা ছাত্র নিৰ্ব্বাচন করা হইবে । আমার পিতা সেই পরীক্ষার উত্তীর্ণ হইয়া প্রথম স্থান অধিকার করাতে ভূদেব বাবু তাহাকে নৰ্ম্মাল স্কুলে ছাত্ররূপে গ্রহণ করেন । নবপ্রতিষ্ঠিত নৰ্ম্মাল স্কুলের প্রথম রেজিষ্টারি বা হাজিরা বহিতে বাবার নাম লিখিবার সময় ভূদেব বাবু বলিরাছিলেন, “ইন্দ্রকুমার, তোমার নামে এই স্কুলের ‘বউনি' হইল, যদি স্কুলের উন্নতি হয়, তাহা হইলে আমিও তোমার উন্নতির জন্ত যথাসাধ্য চেষ্টা করিব।” ভূদেব বাবুর সহিত আমাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠতার ইহাই স্বত্রপাত । সে আজ আশী বৎসরেরও অধিক কালের কথা, কিন্তু সেই সময় হইতে এখনও পর্য্যস্ত আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা অক্ষুন্নই আছে। আমার পিতা ভূদেব বাবুর পত্নীকে মাতৃ সম্বোধন করিতেন, সেই মহীয়সী মহিলাও আমার জননীকে পুত্রধধু বলিয়াই মনে করিতেন। তিনি অনেক সময় আমার মাকে চুচুড়ার বাটতে লইয়া গিয়া দশ-পনর দিন—এমন কি এক মাস দেড় মাসও রাখিয়া দিতেন । আমার মাতামহী মাকে আনিবার জন্ত লোক প্রেরণ করিলে “আমার ছেলের বেীকে আমি যদি না পাঠাই, বেয়ানের কিছু জোর আছে কি ?” এই বলিয়া সেই লোককে ফিরাইয়া দিতেন । আমিও বাল্যকালে বহুবার আমার জননীর সহিত চুচুড়ায় গিয়া রাত্রি যাপন করিয়াছি, কিন্তু ভূদেব বাবুর পত্নীকে আমার মনে নাই, কারণ র্তাহার স্বৰ্গারোহণের সময় আমার বয়স দুই বৎসর বা আড়াই বৎসর মাত্র । সুতরাং ভূদেব বাবুর পত্নীকে আমি না দেখিলেও ভূদেব বাবুকে বাল্যকাল হইতে বহু বার দেখিয়াছি। বাটতে সামান্ত ক্রিয়াকৰ্ম্ম হইলেও “ফরাসডাঙ্গার বোমাকে” ( আমার खननौष्क) गहेब बांश्वांब्र छछ डिनि cणांक श्रृंठिहेrउन । দেব বাবু আমাদিগকে পৌত্র সম্বন্ধ ধরিয়া নানা প্রকার আমোদ করিতেন, কিন্তু তাহাকে দেখিলে আমার বড় ভঞ্জ হইত। সেই সাহেবের মত উজ্জ্বল গৌরবর্ণ, পাকা গোফ এবং উজ্জ্বল চক্ষু, গম্ভীর প্রকৃতি বৃদ্ধের নিকটে