শ্রণবণ পুত্রেষ্টি 8ግሞ কয়টা চেলা কুড়াইয়া লইয়া তিনি পেয়ারী-গাছের উপর নিক্ষেপ করিতে আরম্ভ করিলেন । আপনার মনেই বলিলেন, পেয়ারারই বুনেদ মারব আজি । কিন্তু নিরস্ত হইতে হইল, পিছনের পোৱাল-গাদার আড়াল হইতে কে কঁদিয়া উঠিল । ফিরিয়া শব্দ লক্ষ্য করিয়া অগ্রসর হইয়া দেখিলেন দুইটি পোৱাল-গাদার মধ্যবৰ্ত্তী গলির মত স্থানটির মধ্যে বৎসর-চারেকের একটি সুন্দর শিশু ভয়ে কঁদিতেছে । মেজকর্তীকে দেখিয়া বৰ্দ্ধিতত্তর ভয়ে তাহার কাল্লা বন্ধ হইয়া গেল। মেজকর্তা ছেলেটির দিকে একদৃষ্টে চাহিয়াছিলেন— অতি সুন্দর ছেলেটি ! অকস্মাৎ তিনি একত্তি লুব্ধ আগ্রহে বেন ষ্ঠে মারিয়া শিশুকে বুকে তুলিয়া লইয়া বার-বার চুমা থাইয়া পরমদরে কহিলেন—ভয় কি, তোমার ভয় কি ? পর মুহুর্তেই কিন্তু চকিত হইয়া উঠিলেন, চারি দিক চাহিয়া দেখিয়া ছেলেটিকে একরূপ ফেলিয়া দিয়া অতি দ্রুতপদে লেন পলfইয়া আসিলেন । বৈঠকখানীয় কেহ ছিল না, নির্জন ধরে আধ আলো-ছায়ার মধ্যে দাড়াইয়া তিনি ছাপাইতেছিলেন। চোখের দৃষ্টি কেমন অস্বাভাবিক রূপে প্রথর হইয়া উঠিয়ছিল। ছ’কার মাথায় কন্ধেটা হইতে তখনও ক্ষীণ রেখায় আঁকিয়া-বাকিয় ধোয় উঠতেছিল । মেজকৰ্ত্ত ধীরে ধীরে হু কাটাকে তুলিয়া লইয়া তক্তাপোষের উপর বসিয়া পড়িলেন । হু কাটা তিনি টানিলেন না, নীরবে নত দৃষ্টিতে শুধু ছকটি ধরিয়াই বসিয়া রহিলেন। বাহিরে জুতার শব্দ হইল, কিন্তু সে শব্দ তাহার কানে গেল না । বে আসিল সে বড়কর্তার পুত্র-মেঞ্চকৰ্ত্তীর ভ্রাতুষ্পত্র মণি ৷ মণি ডাকিল—কাকা । মেজকর্তী অদ্ভুত দৃষ্টিতে মণির মুখের দিকে চাহিয়া সাদরে অভ্যর্থনা করিয়া কহিলেন—আক্ষন আমুন আসুন। ভাল ছিলেন ? নেন নেন তামাক খান । বলিয়া হু"কাটা মণির দিকে বাড়াইল্লা ধরিলেন । মণি অপ্রস্তুত হইয়া কল্প পদ পিছাইয়া গিয়া অপেক্ষাকৃত উচ্চকণ্ঠে কহিল— আমি মণি । একটা কথা— কথা তাহার আর শেষ হইল না, মেজকর্তা হু কাটা সেইখানেই নামাইয়া দিয়া ক্রতপদে বৈঠকখানা ছাড়িয়া পলাইয়া গেলেন। মণি বিরক্ত হইয়া বলিল—সাধে লোকে বলে ক্ষ্যাপা গণেশ ! ર বিশ-পচিশ বৎসর পূৰ্ব্বে যখন মেজকৰ্ত্তার নবীন বয়স, उँछुखाप्नद्र उिन उब्रक उथन ७कांब्रवउँ झिण । cन আমলে মেজকর্তা কিন্তু এমন ছিলেন না, লোকে তখন র্তাহার নাম দিয়াছিল বাবু গণেশ । তখন নিত্য সন্ধ্যায় মেজকৰ্ত্তীর আডিডার গান-বাজনার মজলিস বসিত । মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত সেতারী আলি নেওয়াজ থা নিয়মিত মাসে একবার করিয়া মেজকৰ্ত্তার ওখানে আসিতেন । মেজকৰ্ত্তী খণ-সাহেবের নিকট সেতার শিখিতেন । আচারেব্যবহারে, কথায়-বাৰ্ত্তীয়, আদব-কায়দায় মেজকৰ্ত্ত উচুদরের লোক ছিলেন। খরচ-খরচায় তিনি তখন মুক্তহস্ত । বন্ধু-বান্ধব লইয়া প্রতিভোজনের বিরাম ছিল না। বড় ভাই দেখিতেন জমিদারী, ছোট ভাই দেখিতেন মামলামোকদ্দমা, মেজকৰ্ত্তার উপরে ছিল জেতে চেমা, পুকুর বাগান তদারকের ভার । গ্রামের প্রাস্তে চাৰ্য-বাড়িতে মেজকৰ্ত্তীর মজলিস বসিত। নিস্তব্ধ রাত্রে বিপুল হাস্তধ্বনিতে স্বযুপ্ত গ্রামবাসী চকিত হইয়া উঠিয়া বসিত কিন্তু পরক্ষণেই আবার নিশ্চিস্ত হইয়া শয়ন করিত—বুঝিতে পারিত মেজকর্তা হাসিতেছেন । is এমনি করিয়া দশ-বার বৎসর কাটিয়া গেল, তখন মেজকৰ্ত্তীর বয়স ত্রিশ, মেজগিল্পী পচিশ অতিক্রম করিয়াছেন। সেদিন সকালে স্নান-আহ্নিক সারিয়া মেজকর্তা ছোট ভাই কাৰ্ত্তিকের মেজখোকাকে কোলে লইয়া জল থাইতেছিলেন । বাড়ির পাচটি ছেলের মধ্যে এই শিশুটিই নিঃসন্তান মেজকৰ্ত্তীর বড় প্রিয় । নিজে থাইতে থাইতে খোকার মুখে একটু করিয়া তুলিয়া দিতেছিলেন । মেজগিল্পী সেদিন বিন ভূমিকায় বলিলেন—দেখ, আমি বদ্যিনাথে যাব । তোমাকেও যেতে হবে । মেজকর্তা ভাইপোকে লইয়া মাতিয়tfছলেন, অন্তমনস্ক ভাবেই প্রশ্ন করিলেন—কেন ? —ধর্ণ দোব বাবার কাছে । মেজকৰ্ত্ত এবার যেন সজাগ হইয়া উঠিলেন। মেজগিল্পীর কণ্ঠবিলম্বিত মাস্থলী ও কবচগুলির দিকে চাহিয়া বলিলেন— অনেক ত করলে আর কেন ?
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।