পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণৰণ জণপণনে কয়েক দিন 8>ጫ ষায় যে আমাদের মধ্যেও স্বজনপ্রীতি ও ভারতবর্ষের সেই অতি প্রাচীন অতিথি-মৰ্য্যাদাজ্ঞান আজও অক্ষুণ্ণ আছে । এবার যা বলছিলাম তাই বলি । আমরা বসবার পরে কুমারী শিমিজুই জননীর নির্দেশমত প্রথমে আমার বাবাকে, তার পর আমার স্বামীকে, তার পর ক্রমে আমাকে, শ্ৰীমতী মজুমদারকে ও আমার মেয়েকে খাবারের পাত্র ধীরে ধীরে দিতে লাগলেন। গৃহকত্রী ইংরেজী জানেন না, তাই শ্ৰীমতী মজুমদার আমাদের বুঝিয়ে দিলেন যে, পাত্রে যে সুন্দর ছাচে-তোলা ছোট ছোট মিষ্টান্ন রয়েছে, সেইগুলি আমাদের খেতে দিয়ে ক্রমতী শিমিজু আমাদের শুভযাত্রা জ্ঞাপন করছেন। সাদা, নীল, গোলাপী নানা রঙের চিনির তৈয়ারী সুন্দর সুন্দর খেলনার মত জিনিষ পাত্রে রয়েছে দেখলাম—তার কোনটি শুভযাত্রা, কোনওটি স্বাস্থ্য, কোনটি মুখসমৃদ্ধি কামনার চিহ্ন । গৃহস্বামিনী আমাদের জন্ত বিশেষ ক'রে সেগুলি আনিয়েছেন জানালেন । তার পরে আবার সেই সবুজ রঙের চা এল এবং তার পরে “আকাগুহান” ব’লে এক রকম লাল চালের পোলাও সুন্দর কাগজের বাক্সে ক’রে আমাদের সামনে রাখা হ’ল—সেটা নাকি বিশেষ সম্মানহঁ অতিথিদের ওঁরা দিয়ে থাকেন। আমরা তো কিছুই খেতে পারলাম না—তবে শ্ৰীমতী মজুমদার বললেন যে তারা এত ক’রে আয়োজন করেছেন, না গ্রহণ করলে দুঃখিত হবেন, তাই আমি সেই সব খাদ্যসামগ্ৰী কবির “খেয়ে ধার নিয়ে যায়, আর যায় চেয়ে” কথাটির সত্যতা সর্বপ্রমাণ ক’রে, বেথেছে"ঙ্গে ৰয়ে বয়ে ছোটেলে নিয়ে এলাম । ইতিমধ্যে ঐযুক্ত শিমিজু কৰ্ম্মস্থান থেকে ফিরে অতিথিসৎকারে যোগদান করেছিলেন । সকলে মিলে ফটকের বাহিরে কতকটা পথ আমাদের সঙ্গে এলেন, এবং বার-বার জানালেন যে আমরা এবং বিশেষ ক'রে আমার পিতা যাওয়াতে র্তারা যে কত আনন্দিত হয়েছেন তা ভাষা জানেন না ব'লে সম্যকরূপে জানাতে পারলেন না এই ক্ষোভ রয়ে গেল। বিদায়ের পূৰ্ব্বে আমার মেয়ে তাদের ছবি তুলতে চাওয়াতে, তারা মা ও মেয়ে তখনই হাসিমুখে সন্মত হলেন । জাপানের দুইটি জিনিষ আমাদের মুগ্ধ করেছে—তার সৌজন্ত এবং সৌন্দৰ্য্যজ্ঞান। জাপানীদের সৌন্দৰ্য্যজ্ঞান وهانس سمدواوين বলতে কিন্তু রাস্তাঘরবাড়ির সৌন্দর্য্য ঠিক বোঝায় না— কেন না জাপানের রাস্তাঘাট, বাড়ির গঠন ইত্যাদি যে খুব সৌন্দর্য্যজ্ঞানের পরিচারক তা নয় ; বরং সে-সব দেখলে অনেক সময় বিপরীত ধারণাই হয়ে থাকে। কবিরা যে বলে থাকেন নারীই জগতের সৌন্দর্য্যের আধার, জাপান সেই কথাটির সম্মান বজায় রেখেছে । জাপানী মেয়েদের উজ্জ্বল হাসিমুখ, তাদের নয়নমুগ্ধকর পোষাক, তাদের নম্রতা তাদের নারীসুলভ বিনয় জাপানকে যে সৌন্দৰ্য্য দান করেছে জাপানের আর কোনও জিনিষই তা পারে নি । জাপানী মেয়েরা সুন্দর ভঙ্গীতে ট্রাড়ায়, সুন্দর ভঙ্গীতে কাজ করে— হঙ্গর ভাবে কথা বলে—ইংরেজীতে ষাকে বলে গ্রেস, জাপানী মেয়েরা সে জিনিষটা এমন ভাবে আয়ত্ত করেছে যে নাক মুখ চোখের সৌন্দৰ্য্য যার যেমনই থাক, গ্রেস তাদের সকলেরই সমান আছে । জাপানী সৌজন্ত আমাদের অনেকের চোখে হয়ত একটু অতিরিক্ত ঠেকলেও আমার নিজের ভারী সুন্দর লেগেছে । জাপানী বি-চাকরের কাছে কোন জিনিষ চাইলে তারা জিনিষটি নিয়ে যে কথাটি ব’লে কাছে এসে দাড়ায়, তার মানে হ’ল “আপনি যদি অনুগ্রহ করেন।” ট্যাক্সি, কি বাস, কি ট্রাম থেকে যাত্রীরা নামলেই হয় চালক, নয় কনডাক্টার সকলকে বলতে থাকে “ধন্যবাদ, আপনাদের অশেষ অনুগ্রহ ।” রাস্তায় ঘাটে ওদের পরম্পরের কাছে বিদায় নেওয়া বেশ সময়সাপেক্ষ । বিদায়কালে জামুতে হাত দিয়ে নত হয়ে এক জন অপরকে প্রথমে অভিবাদন করে, অন্ত জন তখনই তেমনি ভাবে প্রত্যভিবাদন করে, আবার প্রথম ব্যক্তি তখনই সেই অভিবাদনের উত্তর দেয়, এবং দ্বিতীয় জনও আবার তার উত্তর না দিয়ে থাকতে পারে না—এমনি ক’রে কে যে প্রথমে থামবে তা ঠিক করতে না পেরে ওদের বিদায়ের পালা আর শীঘ্ৰ শেষ হ’তে চায় না । আমার মেয়ে কেবলই বলত “ওদের ভদ্রতা দেখে প্রাণ ছাপাচ্ছে মা, কত সময়ই লেগে যাচ্ছে একটা কাজ wate; They are slave to their politeness” winto নিজের কিন্তু মনে হয় ভাল মনিবের দাস হওয়াও ভাল । টোকিও থেকে আমরা ইয়োকোহামায় এসে বোট १ब्रणांम । ॐमउँौ मधूननांब्र चठो ब्रांख चांमाप्नब्र