পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

erוןc=2s তাহার নীচে নুতন কাপড় বিছাইয়া রাখে। ঐ গাছের ফল পাড়িলে উহ সংগ্ৰহ করিয়া বন্ধ্যা রমণীগণ তাহা খায়, তাহদের বিশ্বাস তাহা হইলে তাহাদের বন্ধ্য-দোষ দুর হইবে। এই হরীতকী গাছের সম্বন্ধে একটি গল্প প্রচলিত রহিয়াছে । গল্পটি এই যে, মুসলমানেরা যখন কারণ অধিকার করিল তখন সৈয়দ সাহেব রাজপণ্ডিতকে পুস্তকালয়ে এককোণে লুকায়িত অবস্থায় দেখিতে পাইলেন । সৈয়দ সাহেব ও পণ্ডিতের মধ্যে তর্কযুদ্ধ আরম্ভ হইল । পণ্ডিতের নাম ছিল গঙ্গা । পণ্ডিত-মহাশয় সৈয়দ-সাহেবের হাতের জপমালা দেখাইয়া বলিলেন মালার গুটিগুলির কি কোন গুণ আছে ? সৈয়দ-সাহেব বলিলেন—হা । ইহার সামাঙ্গ একটু অংশ সেবন করিলে সে পুরুষই হউক কি স্ত্রীলোকই হউক তাহাকে সন্তান প্রসব করিতে গোলাকার স্তস্ত পণ্ডিত-মহাশয় সত্যমিথ্যা পরীক্ষার জন্ত উহার একটি সামান্ত অংশ সেবন করিলেন, যথাসময়ে তাহার হইবে । সৈয়দ কুতুবউদ্দীনের সমাধি একটি পুত্র জন্মিল। পুত্র জন্মিবার পরই তাহার মৃত্যু হইল । পিতা ও পুত্র মৃত্যুর পরে সৈয়দ-সাহেবের কবরের পাশে হরীতকী গাছ হইয়া জন্মিলেন। একটি গাছ মরিয়া গিয়াছে, আর একটি এখনও বাচিয়া আছে। যে গাছের ফল খাইলে পুরুষদেরও সস্তান প্রসব করিবার ভয় ছিল, সে গাছটি মরিয়া গিয়াছে। সৈয়দ কুতবউদ্দীনের সমাধির পাশে আবদুল জহর শহীদ নামে এক জন মুসলমানের সমাধি রহিয়:ছে । থtঞ্জী জfরক সাহেবের সমাধির উত্তর-পশ্চিম দিকে মিঠু শাহশরীদ শহীদের সমাধি । মিঠ শাহ ১৭০৮ খ্ৰীষ্টাব্দে পরলোকগমন করেন । এই সমাধি-মন্দিরের গম্বুজটি ভাঙিয়া পড়িয়াছে। গল্প আছে যে, যখন সমাধি-মন্দিরটির নিম্মাণকাৰ্য্য শেব হইয়। আসিয়াছে এমন সময়ে সমাধিগর্ভ হইতে ফকীর-সাহেবের বাণী শোনা গেল—যেন তিনি বলিতেছেন আকাশ ভিন্ন অন্ত কোনরূপ আচ্ছাদনে আমার প্রয়োজন নাই, অমনি সঙ্গে সঙ্গে গম্বুজটি ভাণ্ডিয়া পড়িল। এখানেই মাণিকপুরের হিসামউল হকের সমাধি রহিয়াছে। এখন যেখানে কবরের পর কবরের সারি চলিয়াছে, একদিন সেখানে . ছিল জনতাপূর্ণ বিস্তৃত শহর । আজ সমাধির পর সমাধি দেখিতে দেখিতে মনে হইল—এই ত মানুষের জীবন, এই ত মানুষের দম্ভ ও অহঙ্কার । বর্তমান কারণ-শহরের মাঝখানে মাত মালুকদাম বা চন্দ্রমলুক শাহের বাসভবন । এই মহাপুরুষ ১৬৮২ খ্ৰীষ্টাব্দে পরলোকগমন করেন । সম্রাট