পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণৰণ বাংলার লবণ-শিল্প ৫২১ “But in working out the principle, the Company went too far, and gave an undue advantage to the British manufacturer. For they includcd the expenses of securing and protecting revenues in the “cost price” and added to the selling price of the Bengal salt. The British manufacturer obtained the full advantage of this blunder, and the sale of British salt went up by leaps and bounds.” (India in the Victorian Age, p. 145.) এতদিন পর্য্যস্ত ইহা কোম্পানীর একচেটিয়া ব্যবসায় হইলেও বাঙালী নিজের ঘরে লবণ প্রস্তুত করিয়া আসিতেছিল ; কিন্তু এইবার তাহা বজায় রাখা অসম্ভব হইয়া দাড়াইল । ধ্বংসের পথে আসিয়া এই শিল্পের এবং এবং শিল্পীশ্ৰী ব্যক্তিগণের এরূপ দুৰ্গতি হইল ষে ১৮৫৩ খ্ৰীষ্টাব্দে কোম্পানী বজদেশে দেশীয় লোকের দ্বার লবণ প্রস্তুত করা আইনের সাহায্যে বদ্ধ করিলেন । পুৰ্ব্বোক্ত কার্যোর জন্ত বিলাতে হাউস-অব-কমল কতকটা দায়ী হইলেও র্তাহারা এতটা পেষণের ব্যবস্থা করেন নাই। তাহারা বিলাতী লবণ ও বঙ্গদেশজাত লবণ উভয়কেই সমানভাবে বাজারে রাখিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু পুৰ্ব্বেই বলিয়াছি অতদূর হইতে র্তাহীদের নির্দেশ কথনই কার্য্যে পরিণত झझेड नी ! কোম্পানীর এই অযথা ও নির্দয় কার্য্যে তদানীন্তন বড়লাট লর্ড ডালহৌসী লিথিয়াছেন— “The Government. in my opinion, should be far less ashamed of confessing that it has committed a blunder than of showing relnctance to remedy an injustice lest it should at the same time be convicted of having previously blnndered.” তাহার মত অস্থযায়ী ভারতীয় লবণকে বিলাতী লবণের সহিত ভালভাবে প্রতিযোগিতা করিবার সুযোগ দিবার छछ ८कॉर्फ़-चक्-ख्रिब्रछेब्रट्न’ ७काँe cब्रकांरब्रण झ्द्र । क्रूि চতুর ইংরেজ বণিক ও লবণ-প্রস্তুতকারকগণ একজোট হইয়া এক বিরাট আন্দোলন স্বরু করিয়া দিল। তাহার সমগ্র ভারতবর্ষকে তাহাদের প্রস্তুত লবণ জোগাইবার প্রার্থনা চাহিয়া বসিল এবং তাছাদের আমদানী লবণের উপর কোম্পানীর আমদানী-গুৰু পৰ্য্যন্তও তুলিয়া দিবার জন্ত কোট-অৰ-ডিরেক্টরসে এক আবেদন করিয়া দিল । বুদ্ধিমান সফার ভারতবন্ধু এই ৰশিক-সম্প্রদায় অমুকম্পার ՖՊա:Տ স্বরে বলিয়া উঠিল, “আমাদের সুন্দর পরিষ্কার লবণ ভারতবাসীকে ব্যবহার করিতে না দিলে উহাদের প্রতি অবিচার করা হইবে, অতএব যে বর একবার প্রদান করা হইয়াছে তাহ উঠাইয়া লওয়া ভাল হইবে না ।” দেশীয় লবণের উপর অযথা দর চাপাইয় রাখিতে বিলাতের বণিকগণ যেমন উঠিয়া-পড়িয়া লাগিয়াছিলেন, আমাদের বাংলা দেশেও তেমনই আবার ইহার বিরুদ্ধে এক আন্দোলনের স্বষ্টি হইয়াছিল। কিন্তু আমাদের দেশ তখন সম্পূর্ণ পরাধীন, তাহার উপর মুসলমান ও ব্রিটিশ শাসনে তাহার কণ্ঠস্বর এতই ক্ষীণ হইয়া আসিয়াছিল যে তাছাদের সেই চীৎকার বিলাতে কৰ্ত্তাদের কানে পৌছাইলেও কোন কাজ হয় নাই । সকলেরই আবেদন অগ্রাহ করিয়া লবণ-কর রহিয়া গেল। বিলাতী লবণ এই কর দিয়াও সুলভ মুল্যে বাজারে বিক্রীত হইয়া এদেশজাত লবণকে একেবারে কোণঠাসা করিয়া দিল । স্বৰ্গীয় রাধাকান্ত দেব ও অন্তান্ত দেশহিতৈষিগণ ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশুন হইতে এই অন্তায় শুষ্ক তুলিয়া দিবার জন্ত এক আবেদন করেন । “... But as salt is the necessary of life, the duty on salt should be entirely taken off as soon as possible.”* অতএব দেখা যাইতেছে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে কোম্পানীর অনুচিত লবণ-গুল্ক-দ্বারা সারা ভারতবর্ষের সহিত বদদেশের অতি প্রাচীন কালের অমূল্য সম্পদ লবণ-শিল্প প্রায় এক শত বৎসরের জন্ত বিদায় গ্রহণ করিল। বিলাতী চা, বস্ত্র, রেশম, পশম, কলকভ প্রভৃতির সহিত বিলাতের লবণও ক্রমে ক্রমে ভারতের সমগ্র বাজার গ্রাস করিয়া লইল । নিম্নলিখিত তালিকা হইতে তাহা বুঝা ষায় । +

  • Common's First Report, 1853.

+ India in the Victorian Age, p. 145.