বৈশাখ কারণ-মাণিকপুর \9:S গঙ্গীর তীর হইতে জয়চাঁদের দুর্গের দুষ্ঠ জন্ত এখনও কারার প্রসিদ্ধি আছে। কারার বাজারটি ৰেশ বড়–অধিবাসীর সংখ্যা মুসলমানই বেশী । একটি ডাকঘর দেখিলাম—শুনিলাম কারাতে স্কুল নাই, স্কুল দয়ানগরে অাছে । আমরা কারা ছাড়িয়া তিন মাইল দূরে শীতলীদেবীর মন্দির দেখিতে চলিলাম। পথের দুই দিকে লম্বা লম্বা ঘাস, বাড়ির ধ্বংসাবশেষ— আর গঙ্গার তীরে বন-জঙ্গলে মাঠ কুবরের পর কবর। শীতলা-মন্দিরের অদূরে পথের কিনারায় গাড়ী দাড়ান মাত্রই পাওরা আসিয়া ভিড় জমাইল । এমন জাগ্রত দেবতা আর নাই । মহাবীরের মন্দিরটি এখানে বেশ সুন্দর । মন্দিরটির প্রসিদ্ধি আছে, মনে হইল এখানে অনেক লোক আসিয়া থাকে নতুবা এতগুলি পাণ্ডার জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ কিরূপে হয় ? মুল মন্দিরের গায়ে আর একটি মুক্তি ছিল। আমরা এখানে একটি বিষ্ণুমূৰ্ত্তির ছবি দিলাম । পাণ্ডাদিগকে নিরাশ করিয়া আমরা সিরাখু গ্রামে হনুমানদাসের আশ্রমে আসিলাম । সেদিন সিরাথুর বাজার ছিল । বাজারে লোক জমিয়াছিল। তরিতরকারী খুব সস্তা । হনুমানদাস বাবাজীর আশ্রমটি রাস্তার উপর অতি স্বার। র্তাহার আমরুত (পেয়ারা) বাগানের গাছগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফল ফলিয়াছিল। ছবি দেখিবার আমার যেমন উৎসাহ জন্মিয়ছিল তেমনি পাকা পাকা পেয়ারাগুলি দেখিয়া আমাদের বাবাজীর আশ্রমের উপর একটা মায়া জন্মিয় গেল । আমরা আশ্রমের বারীন্দয় যাইবামাত্র বাবাজী পরম আগ্রহের সহিত বসিবার ব্যবস্থা করিয়া দিলেন । আমরা হস্তমুখ প্রক্ষালন করিয়া আরামে উপবেশন মালিক আহসানের সমধি—চুর্ণকাম কয় দেওয়া'লর নিকট করিয়া ছবির কথা বলিলাম। এসময় ক্ষিতীশবাবু যেকাজটি করিলেন তাহা আপনার অনুমোদন করিবেন কিনা জানি না । তিনি বরানা-সংলগ্ন পেয়ীরা গাছটি হইতে একটা পাকা পেয়ার মুখে ফেলিয়া দিয়া পরমানন্দে বলিলেন— ‘বাবাজীর আমিরুত বড় মিষ্টি ’ বাবাজী বলিলেন—“বেশ ত আপনাদের যত ইচ্ছা আমরুত খাইবেন । তিনি আমনি
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।