পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وت ج 6 প্রবাসী ১N©Gই, তিনি বলিলেন—তা ত বটেই। কিন্তু আমি ত কিছুই জানি না । থানিক কি ভাবিয়া বলিলেন—সে না-হয় চিঠি লিখে সংগ্রহ করলেই হবে । কেমন রাজি ত ? রাক্তি না হইয়া উপায় কি ? এই ভাঙা জীর্ণ স্যাতসেঁতে ঘরে বসিয়া ও-স্বরের বড়কণ্ঠেখিত কলরব যে স্পষ্টই শুনিতেছি । © 彎 穆 দিন-সাতেক পরে আবার তিনি অসিলেন । আসিয়াই আমার জীর্ণ তক্তাপোষের উপর বসিয়া হাসিমুখে বলিলেন— এই নিন চিঠি, আশা করি এইবার লিখতে সুরু করবেন। পত্রপানি দীর্ঘ বটে । এত দীর্ঘ পত্র পড়িবার ধৈর্য্য এক তথ্যানুসন্ধানী লেখক ছড়ি আর কাহারও থাকিতে পারে না । কিন্তু বর্ণনাগুলি কি অদ্ভুত । এই যে রাত্রিদিন অভাবগ্রস্ত সংসারের জন্ত মুপে রক্ত তুলিয়া খাটিয়া মরিতেছি, এ শ্রমের মৰ্য্যাদাবোধ আজিও আমাদের কেন ষে জম্মিল না ! অথচ তিনি একদিন সংসারের কি একটা তুচ্ছতম কাজে লাগিয়া সকলকে চমৎকৃত ও ধন্ত করিয়াছেন তাহার বিস্তৃত বিবরণে পত্রের আটখানি পৃষ্ঠা ভৱিয় গিয়াছে । কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার, সপ্তকাও রামায়ণের মত জীবনী লিথিবীর উপকরণ এতগুলি পৃষ্ঠার মধ্যেও খুজিয়া:পাইলাম না । প্রথমতঃ, তিনি জন্মিয়াছেন এক ধনীর গৃহে । জন্মোৎসবের অভু্যক্তিপূর্ণ বিবরণ ত আছেই, কিন্তু ধনীর সৌধ বর্ণনা, গৃহবাসিনীদের অলঙ্কারের আনুমানিক মুল্য, আসবাব, মোটর, কৰ্ত্তাদের বাবুৱানী ইত্যাদি বর্ণনাবাহুলো জন্মোৎসবও চাপ পড়িয়াছে । এক বৎসরের শিশু যেদিন অধি-আধ ভাষে মা’ বলিয়া ডাকিল সেদিন এই শিশুর মধ্যে অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় পাইয়া কে বা কাহারা মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করিয়াছিলেন সে-সকল বিবরণও যথেষ্ট । সেই প্রতিভার ক্রমবিকাশে শিশু বালক হইয়াছে, পাঠশালায় পড়িয়াছে, তথা হইতে স্কুলে এবং সেখানেও স্থায়ী ভাবে বাস করিবার লক্ষণ না দেখাইয়া মাতামহের সুবিস্তীর্ণ জমিদারীর তত্ত্বাবধানে মনোনিবেশ করিয়াছে । এই জমিদারীপরিচালনার সময়ে তিনি বিলের ধারে বন্দুক ধরিয়া কয়েকটি চকাচকি নাকি শিকার করিয়াছিলেন, নৌকায় করিয়া “ৰাচ’-খেলা, সাতার দিয়া পদ্মফুল তুলিয়া আনা, কাপড়ের हांकुनिtष्ठ नूछे या cळ्ण मांझ शब्र), श्रtर्षौब्र बांना रहेtष्ठ ডিম সংগ্রহ, চু-কপাট খেলা, জামগাছ হইতে পড়িয়া গিয়া भांशी झगः:टन हेऊाiनि रुरु झ:गाँहजिक कांछ७ डिनि করিয়াছেন। বুদ্ধি তার অসাধারণ । দাদামহাশয় সেষ্ট বুদ্ধির তারিফ করিয়া আপন ছেলেদের বঞ্চিত করিয়া বীরগঞ্জের মহলটাই এই গুণবান দৌহিত্রকে দান করিয়া গিয়াছেন । সুতরাং তিনি জমিদার। এত বড় ষে জমিদার —তিনিও একদিন নিজের হাতে র*াধিয়া জনকয়েক দুঃস্থকে ভোজন করাইয়াছিলেন । এক দিন এক ভিখারী: কাতর কণ্ঠে ভিক্ষণ চাহিতেছিল, বাড়ির সকলে কাজে ব্যস্ত থাকায় সে-প্রার্থনা শুনিতে পায় নাই ; কর্তা তখন উপরে দিবানিদ্রীর আয়োজনে পালঙ্কে দেহ বিছাইয়াছেন, ছুটিয়া নীচে নামিয়া স্বহস্তে ভিক্ষার চাল দিয়াছিলেন : छेडाॉधि-हेडrांनेि । দম বন্ধ করিয়া এই কৌতুহলপুর্ণ কাহিনী পড়িতেছিলাম। পাঠশেষে দীর্ঘনিঃশ্বাস একটু জোরেই পড়িল । মুরলীবাবু (আমার ধনী প্রতিবেশী ) ঈষৎ চমকিত হইয়া বলিলেন—নিঃশ্বাস ফেললেন যে আমন ক’রে ? বলিলাম—ৰ্তার জীবনে বৈচিত্র্য আছে। কিছু লেখাও যেতে পারে, নাই বা হ’ল রায়ামণ মহাভারতের মত অতটা বড় । তিনি মাথা নাড়িলেন—উহু,—ওটা চাই । পয়ার ছন্ন, ৰমার কমলে-কম এক হাজার পাতা ৷ পরে উচ্চহাস্তে বলিলেন—আরে, তাতে আর ভাবন: কি ? দিব্যি উপমা দিয়ে সাজিয়ে-গুছিয়ে লেখা যায় না ? বলিলাম—-ছদটা যে পয়ার— মুরলীবাবু তেমনই হাসিয়া বলিলেন—আপনারই সুবিধে । এক বনের বর্ণনাতেই ত বিশ পাতা ভরে যাবে, ধরুন না, কত রকমের গাছ, কত রকমের জানায়ার— বলিলাম—শুধু গাছ আর জানোয়ার দিয়ে পাতা ভরালে ত চলবে না, আসল মানুষটিকেও দেখানে চাই । উনি ধা পাঠিয়েছেন—ত অল্প। চিঠিতে অত খুঁটিনাটি লেখাওঁ চলে না। একৰার মুখোমুখী দেখা হ’লে— মুরলী বাবু উৎফুল্প হইয়া বলিলেন—বেশ, ভাল কথা । আজই আমি চিঠি লিখে দিচ্ছি, আপনি সেখানে চলে