পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GOŃ, প্রবাসী ১৯e৪২ মানভূম জেলায় দৈবযোগে কয়েক খান প্রাগৈতিহাসিক যুগের তাম্রনিৰ্ম্মিত অস্ত্রও পাওয়া গিয়াছে । অৰ্দ্ধশতাব্দী আগে এই জেলার বিস্তুয়াড়ি গ্রামের সাওতাল মাৰি একখানা তাম্রের কুঠার-ফলক জঙ্গলের মধ্যে দেখিতে পাইয় পোখুরিয়ার তৎকালীন খ্ৰীষ্টান পাদরী ক্যাম্পবেল সাহেবকে জানায়। ঐ অদ্ভুক্ত বস্তুকে ভৌতিক দ্রব্য বিবেচনা করিয়া গ্রামস্থ বা নিকটস্থ কেন্থ উহার নিকটে যাইতে সাহস করে নাই ; তখন ডাক্তার ক্যাম্পবেল তাহার মিশনের একটি খ্ৰীষ্টান যুবককে পাঠাইয়া সেটি সংগ্রহ করেন। উহ কি বস্ত তাহা নির্ণয় করিতে না পারিয়া মামভূমের তখনকার खिfछे हेछिनैौबांद्र चर्शेब्र ब्रांब्र-वाशझूद्र नगरशां°ाण মুখোপাধ্যায়কে দেখান ; তিনি অনুমান করেন যে, উহ দেবীপ্রতিমার কলগা ( halo ) ; পরে ক্রমে ক্রমে ঐক্ষপ ছোট-বড় ২৭ খানা তাম্র-কুঠার-ফলক আশপাশ হইতে ক্যাম্পবেল সাহেবের হস্তগত হয় ; কিন্তু তখনও ঐগুলি कि छिनिष ठांश ळेिक दूक्tिउ श्रां८ब्रन नह । খ্ৰীষ্টাব্দে রণচী জেলায় আমি তৎপূৰ্ব্বে ৰে কয়েকখান তাম্র কুঠার ফলক পাইয়াছিলাম তাহার বিবরণ ঐ সনের বিহার-উড়িষ্যা রিসাচ সোসাইটির পত্রিকায় লিখি । তাছা পাঠ করিয়া, ক্যাম্পবেল সাহেব স্তর এডওয়ার্ড গেটকে এবং আমাকে তাহার প্রাপ্ত ভাস্ত্রের ঐ জিনিষের কথা বলেন ; এবং সেগুলির বিবরণ শুনিয়া, তাম্র-যুগের অস্ত্রভিন্ন আর কিছু হইতে পারে না, আমরা এইরূপ বলায় তিনি উহার কয়েকখানা পাটনার যাদুঘরে দান করেন, ও স্তর এডওয়ার্ড গেটকে একখান এবং আমাকে একথানা উপহার দেন। বিহার-উড়িষ্যা রিসাচ সোসাইটির পত্রিকার দ্বিতীয় খণ্ডে ডাক্তার ক্যাম্পবেল ঐগুলির প্রাপ্তির বিবরণ প্রকাশ করেন। দ্বিতীয়তঃ, জাতি-তত্বের কথা । প্রাগৈতিহাসিক কালের মামুষের কথা ছাড়িয়া দিলেও, ঐতিহাসিক যুগে ধারাবাহিক ভাৰে এজেলায় কোন কোন জাতি আসিয়াছিল তাহার ইতিহাস সবিশেষ এখনও অজ্ঞাত । এ-সম্বন্ধেও এপৰ্য্যন্ত যে কিছু সামান্ত তামুসন্ধাম হইয়াছে তাহার জন্তও আমরা প্রধানতঃ বিদেশীয় পণ্ডিতদের নিকট ঋণী। नृठचवि७ *सिcछब्रां अन्नमांन करब्रन ८व शैकिठेि थशांन 3 సె> & জাতি ( race ) পর-পর ভারতে বসবাস করে । সৰ্ব্বপ্রথমে সম্ভবতঃ বর্তমান আওীমানবাসীদের স্তায় একটি কালে, বেঁটে মৃগয়াজীবী জাতি ভারতে বাস করিত । সে জাতি বহুকাল পূৰ্ব্বে বিলুপ্ত হইলেও দক্ষিণ-ভারতের আধুনিক कफांब्र, खैब्रल ८थङ्कठि छांडिब्र मtथा उांशयमब्र ब्रख किडू মিশ্রিত আছে, এইরূপ অনুমিত হয়। তার পর আসে বর্তমান সাওতাল, খাড়িয়া, ভূমিজ, মুণ্ড, শবর, জুরাঙ্গ, বীরহোড়, কোড়োয়, কোড়কু, গদব প্রভৃতি জাতির পূৰ্ব্বপুরুষেরা। ভারতের উত্তর-পশ্চিম হইতে দক্ষিণপশ্চিমে সুদূর অষ্ট্রেলিয়া পৰ্য্যস্ত এই "কোল” জাতির ভাষার চিহ্ন পাওয়া যায় । সে-জন্ত ভাষা-হিসাবে আজকাল ইহাদিগকে “অষ্ট্রীকৃ” জাতি বলা হয় । ইহাদের একটি শাখার নাম “শবর”, এবং পুরাণ প্রভৃতিতে “শবর”, “পুলিন্দ” প্রভৃতি যে-সব নাম দেখা যায় তাহা হইতে অনুমান হয় ষে ভারতের সমস্ত "অষ্ট্রীকৃ” বা “মুণ্ডা”-ভাষী জাতিদের সম্বন্ধেই ঐ “শবয়” নাম প্রয়োগ করা হইত। রামায়ণ প্রভৃতি গ্রন্থে যে “বানর,” “নিষাদ” প্রভৃতির উল্লেখ আছে, সে নামগুলিও সম্ভবতঃ এই 'দ্রাবিড়-পূৰ্ব্ব জাতিদের কোন-কোন শাখা-সম্বন্ধে প্রযুক্ত হইত। ইহাদের পরে ভূমধ্যসাগরমাতৃক-দেশের মেডিটারেনিয়ান জাতির একাধিক শাখা উত্তর-পশ্চিম গিরিবত্ম দিয়া ভারতে প্রবেশ করে । সম্ভবতঃ ঋগ বেদ, পুরাণ, রামায়ণ, ও মহাভারত প্রভূতিতে বর্ণিত প্রাচীন “অনুর” বা “দানব” এবং “রাক্ষস” প্রভৃতি এই জাতির শাখা। আধুনিক দক্ষিণাত্যের দ্রাবিড়-ভাষা-ভাষী তামিল, তেলুগু প্রভৃতি জাতিগুলি এই জাতিভুক্ত । ইহাদের আরও অনেক পরে মধ্য-এশিয়ার অত্যুচ্চ পাৰ্ব্বত্য অধিতাকা হইতে পামার-গিরিকত্ব হইয়া “আল্লাইন” জাতির এক বা একাধিক শাখা তুরিতে প্রবেশ করে। ইহার ককেসীয়” শ্রেণীর গোষ্ঠী-বিশেষ । বর্তমান বাঙালী, গুজরাট, মারহাট, কুৰ্গা প্রভৃতি এই আল্পাইন জাতির মিশ্র-বংশধর বলিয়া অনুমিত হয়। তার পর সম্ভবতঃ উত্তর-পশ্চিম গিরিবক্স হইয়া ককেসিক আৰ্য্যজাতি ভারতে প্রবেশ করে, এবং অপর প্রান্তে ভারতের উত্তর-পূর্ব পথে, মঙ্গোলিয়ান জাতির