পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনায়ন ষ্ট্ৰমণীন্দ্রলাল বসু ( ১৭ ) সোনার স্বপ্ন-প্রাগাদ হইতে অন্ধকার পথে বাহির হইয়া অঙ্কণ যেমন দিশাহার হইয়া গেল, তেমনই শীত-সন্ধ্যায় ধুম-কুঙ্কটিকার মত বিষাদের আবরণ তাহার অন্তর আবৃত করিল ; সে অনুভব করিল, শৈশবের অপরূপ স্বৰ্গরাজ্য হইতে দুইটি দেববালা তাহাকে বাহির করিয়া দিল যৌবনের অজানা ভীতিসঙ্কুল পথে। গভীর রাতে যখন সে বাড়ি ফিরিল, প্রাসাদ, উস্তান, চারি দিকের জীবনস্রোত গুঢ় ब्रध्न्नमब्र खैौडिधन मtन श्ण । खइवांब्र शूटर्स अब्रनां८७ নিজের মুখ দেখিয়া সে চমকিয়া উঠিল। শৈশবের সরল সৌকুমাৰ্য্য নাই, তাহাঁর অস্তুরবাসী কবি-যুবকেরও পরিচয় এ মুখে নাই ; গণ্ডের পাণ্ডুরতায়, চিবুকের শীর্ণভায়, চক্ষের কৃষ্ণছায়ায় এ কোন অজানা মানুষের মুৰ্বি । আবার ফাঙ্কন মাস আসিল। পলাশবৃক্ষ রক্তপুপভারে আনত । গাছের শাখায় নবপত্রদলের মধ্যে পধিীর নীড় বাধিতেছে। পুপৰনে মৌমাছিদলের গুঞ্জরণের বিরাম নাই । বৃক্ষের কাণ্ডে প্রতি বৎসর চক্ৰচিহ্নে যেমন বৃক্ষের জীবনেতিহাস লিখিয়া যায় তেমনই প্রতি বসন্তঋতু অরুণের জীবনপটে পুরাতন চিত্তের উপর নব বর্ণের স্বপ্ন-ছবি অঙ্কিত করে। এ বসন্তের বাতাস অরুণের অস্তরের বিষাদকুঙ্কটিকা উড়াইয়া দিভে পারিল না । দেহে মনে করুণ বিহবলতা। অরুণ উদাসী, সুদূরের পিয়ালী। তাহার কিছু ভাল লাগে না। নিয়মিতভাবে সে কলেজে যায়, নোট লেখে, পড়া মুখস্থ করে, বন্ধুদিগের সহিত গল্প করে, সকল কাজ যেন কলের পুতুলের মত कब्रिग्नां तांब्र ? उञांनन्ग ८कांथांe नांदे ॥ ७झे छजख मिनब्रांबिब्र कलtब्रां८लब्र धtश्वा एछांहाँब्र ठोखि८षब्र थांब्रl cयन गङ्गों खक इहेब्रां यांब्र ; ७हांयक्ष निर्शब्रिशैब्र छांग्र ८कॉन जांननमब्र প্রাণশক্তি তাহার দেহে-মনে শৃঙ্খলাবদ্ধ ; একটা মূক বেদনা বক্ষের পঞ্জয় ঠেলিয় ওঠে গু মনে হয় পারিপার্থিক জীবনস্রোতের সহিত তাহার যোগ নাই, সে একাকী, সে বিচ্ছিন্ন । কয়েকটি বন্ধু ছাড়া, সে ক্লাসের অন্ত ছাত্রদিগের সহিত কথা বলে না । কেহ বল, সে দাস্তিক ; কেহ বলে, এ তাহার কবিয়ানা । একদিন শিশির তাছাকে বলিল—অরুণ, তুমি বড় সেলুফু-কনসাঁস হয়ে উঠছ। অরুণ গম্ভীরভাবে উত্তর দিল—ঠিক বলেছ, আমার সেলফকে জনবার চেষ্টা করছি । বস্তুতঃ এতদিন তাহার জীবনধারা জগতের বিরাট প্রাণস্রোতের সছিত মিলিত হইয়া অজানা অননো অনির্দিষ্ট লক্ষ্যে প্রবাহিত হইয়া আসিয়াছে, এখন সে এই জীবনস্রোতকে নিয়ন্ত্রিত কfরতে চায়, দুই স্রোতের বিপরীত টানে আবর্তের স্বষ্টি হইয়াছে। অজয় একদিন বলিল—কি হয়েছে তোর ? টেনিস খেলতে আসিল না কেন ? সব সময়ই মহাচিস্তিত, যেন পৃথিবীর সব সমস্ত সমাধানের ভরি তোর ওপর । অরুণ মৃদু হাসিয়া বলিল—ভাই দুপুরে রোজ বড় মাথা ধরে, তাই বিকেলে খুব লম্ব বেড়িয়ে আসি। টেনিস খেলতে আর ভাল লাগে না । অজয় বিরক্ত হইয়া বলিল—এ সব বেশী কবিতা-পড়ার ফল। অরুণের শারীরিক অবস্থা দেখিয়া অরুণের ঠাকুম উদ্বিগ্ন হইলেন। বংশের এই কুলপ্রদীপের জন্ত র্তাহার মন সৰ্ব্বদাই শঙ্কান্বিত । তিনি শিবপ্রসাদকে ডাকিয়া বলিলেন—ওরে, অরুণের নিশ্চয় একটা ভারী অম্লখ করবে। কিছু খেতে চায় না, কেমন রোগ হয়ে যাচ্ছে, চোখে কালি পড়েছে, বাগানে চুপ করে বলে থাকে, মুখ ফুটে কিছু বলে না । ডাক্তার আসিয়া সকল প্রকার পরীক্ষা করিলেন। বলিলেন-অম্লখ কিছু নয়, বড় বেশী পড়ে, অত পড়াশোনা কমাতে হবে, চেঞ্জে যাওয়া দরকার। চেঞ্জে পাঠিয়ে দিন, তা না হ'লে নারভাস ব্রেকডাউন হ'তে পারে।