পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| | | শ্রাবণ মধ্যাপক খ্ৰীযুক্ত রেবতীমোহন লাহিড়ী, শ্ৰীযুক্ত নীতীশচন্দ্র বাণী প্রভৃতি কতিপয় কৰ্ম্মী বিদ্যাসাগর বাণীভবনের তৎকালীন অধ্যক্ষ &যুক্ত খামমোহিনী দেবীর নেতৃত্বে ১৯৩৪ সনের জানুয়ারী মঞ্চস কলিকাতা ৯ নং নারিকেলবাগান লেনে “বাণীপীঠ" নামে একটি নারীশিক্ষ-প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা করেন এবং নিকটবৰ্ত্তী একটি বাড়িতে একটি ক্ষুদ্র ছাত্রীনিবাদেরও পত্তন করা হয়। শিক্ষার্থিনীগণের অবস্থার প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখিয়া বিদ্যালয়ের বেতন ও ছাত্রীসবাসের ব্যয়ের হার যথাসম্ভব স্বলঙ করা হয় এবং বিদ্যালয় স্থাপনের এখম অবস্থা হইতেই কয়েকটি অনাথ মেয়েকে বিনা ব্যয় ছাত্রীলিবাস ও বিদ্যালয়ে গ্রহণ করা হয় । বিদ্যালয়স্থtপনের স্বচনী হষ্টঙ্গেই কয়েঞ্চ জন অভিজ্ঞ অধ্যাপক বিনা বেতনে অধ্যাপনার ভার }হণ করেন । দেশে এখন উপযুক্ত শিক্ষয়িত্রীয় যথেষ্ট অভাব এবং শিক্ষিত! aারগণের উপার্জনের পথ সেইদিকেই সমধিক প্রশস্ত । সেই জঙ্গ এই নব প্রতিষ্ঠানে প্রধানতঃ উপযুক্ত শিক্ষয়িত্রী প্রস্তুত করিবারই বিশেষ ব্যবস্থ করা হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে শিল্পশিক্ষারও আয়োজন করা হয় ; প্রথমতঃ মাত্র দুইটি ছাত্রী লইয়া এই বিদ্যালয়ের কায্য আরম্ভ হয় । কিন্তু ছাএর সংখা দিল-দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এপ্রিল মাসে ৮১, বিদ্যাসাগর স্ট্রীটে একটি ফ্রিউল গৃহে বিদ্যালয় ও ছাত্রীনিবাস স্থানান্তরিত করা হয় । পরে ইহাতেও স্থানসকুলান না হওয়াতে উক্ত বাড়ির সংলগ্ন ৬ নং বাদুড়বাগান লেনে দুইটি বাড়ি ভাড় লওয়া হয় এবং তথায় শিল্পবিভাগ এবং প্রাথমিক শ্রেণী ইত্যাদি স্থানান্তরিত করা হয় । শত বৎসর এই বিদ্যালয় হইতে ত্রিশটি ছাত্রীকে বিভিন্ন ট্রেনিং বিদ্যালয়ে প্রবেশিক পরীক্ষা দেওয়ায় জন্ত প্রেরণ করা হইয়াছিল । গ্ৰহাদের সকলেই উক্ত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হইয় ট্রেলিং বিদ্যালয়সমুহে উচ্চতম স্থল অধিকার করিয়kছ । সাধারণ শিক্ষা দেওয়ার সঙ্গ সঙ্গে উপযুক্ত শিক্ষকমণ্ডলীয় নেতৃত্বে ছাত্ৰাদিগকে নালাবিধ হাতের কাজ, ফাষ্ট-এড ও হোম-নাসিং প্রভূতি শিক্ষা দেওয়ায় ব্যবস্থা কয় হইয়াছে ; শিল্প, ফাষ্ট-এছ ও হোমনাসি.ও অনেক ছাত্রী দক্ষতা লাভ করিয়া পদক ও প্রশংসাপত্ৰাদি প্রাপ্ত হইয়াছে । বৰ্ত্তমান বৎসয়ে সাধারণতঃ অধিকবয়স্ক মহিলীগণকে গল্প সময়ের মধ্যে ম্যাটুক পাস করাইবার জন্ত বিভিন্ন কোচিং ক্লাস ধোলা হইয়াছে , অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ের মধ্যে উন্নত গুল্প প্রণালীতে শিক্ষাদানের নিমিত্ত এই বৎসরে শিশুশ্রেণীসমূহও খোলা হুইয়াছে ! এই অল্প সময়ের মধ্যে “বাণীপীঠের” ক্রমিক উন্নতি তখী মেয়েদের শিক্ষার জন্ত আকুল আগ্রহ দেখিয়া ইহার কল্পিগণ দেশে ব্যাপকভাবে স্ত্রশিক্ষাবিস্তারের জন্ত শ্ৰীযুক্ত অনুরূপ দেবীর পরিচালনায় গত ১•শে জানুয়ঃরী এক সভায় "নারী শিক্ষা-পরিষদ” নামে একটি সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত সভায় পরিষদের ভবিষ্যৎ কাৰ্য্য-সুচির পরিকল্পনা করা হয়। পরে একটি কার্যনিৰ্ব্বাহক সমিতি গঠিত ইষ্টলে পরিষদের উদ্বেষ্ঠ ও নিয়মাবলী প্রভূতি প্রণয়ন করা হয় । এরূপ প্রতিষ্ঠান দেশে যত অধিক হয় ততই দেশের পক্ষে মঙ্গল | ধণি করি দেশৰাসার সহায়ত লাভে দিন-দিল এই প্রতিষ্ঠানটি উন্নতির পথে অগ্রসর হইal দেশের তথা মাতুজাতির একটি বিশেষ অভাব EEBBB BBB BBS DBBS BB BBBBB BBB BBB বিবর জানিতে ইচ্ছা করেন এবং প্রতিষ্ঠানটিকে সাহায্য কয়িতে ইচ্ছা করেন তাহার। বাণীপীঠের অর্গানাইজিং সেক্রেটারী শ্ৰীযুক্ত রেবতীমোহন লাহিড়ীকে চিঠি লিখিতে ও সাহায্য পাঠাইতে পারেন । বিবিধ প্রসঙ্গ-শিক্ষায় ও গবেষণায় বাঙালী (SS “বঙ্গীয় মহাকোষ” ইংরেজীতে ( এবং অন্ত প্রধান প্রধান পাশ্চাত্য ভাষায় ) সৰ্ব্ববিদ্যা-বিষয়ক এন্সাইক্লোপীডিয়া নামক বড় ও ছোট অনেক কোষ আছে । আমরা তাহার কোন-কোনটি ব্যবহার করিয়া দেখিয়াছি, সকলের চেয়ে বড় যে এন্সাইক্লোপীডিয়া ব্রিটানিক তাহীতে এমন কোন কোন ঞ্জিনিষ পাওয়া যায় না যাহ। ক্ষুদ্রতর কোষে পাওয়া যায় । বস্তুতঃ কোন একখানি কোষকে যত বড়ই করা ধাকু না কেন তাহাকে সকল জ্ঞানের অাঁধার করা অসম্ভব । এক সঙ্কলকসমষ্টি যাহা যtহা জানা অবিগুক বা অনবগুক মনে করেন, অন্ত এক সঙ্কলকসমষ্টি তাহ তত আবশুক বা অনাবস্তক মনে না-করিতে পfরেন । এই জন্ত কোন ভাষার সাহায্যে নানাবিধ জ্ঞান লাভ করিতে হইলে যেমন একই বিধ:স্ত্র বহু গ্রন্থের প্রয়োজন, তেমনই একffধক সৰ্ব্ববিদ্যাবিষয়ক কোষেরও অবিশুক । এই কারণে, আমরা “বিশ্বকোষ” থাকিতেও “বঙ্গীয় মহাকোষ” আবঙ্গাক মনে করি। ইহা অধ্যাপক খ্ৰীযুক্ত অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের প্রধান সম্পাদকতায় বহুসংখ্যক বিদ্বান ব্যক্তিত্ব সহযোগিতায় যত্বের সহিত সঙ্কলিত ও প্রকাশিত হইতেছে । আমরা এপর্য্যস্ত ইহার চারি সংখ্যা পাইয়াছি । তাঁহাতে সৰ্ব্বসমেত ১৬• পৃষ্ঠা আছে । চতুর্থ সংখ্যাটি অষ্ঠাষ্ঠ সংখ্যার মত উৎকৃষ্ট কাগজে উত্তম চিত্র সহ সুমুদ্রিত। ভারতীয়দের ও বাঙালীদের যাহা জানিতে কৌতুহল হয় এবং বাহ৷ জানা আবিষ্ঠক এমন অনেক জিনিষ ইংরেজী এনসাইক্লোপীডিয়সমূহে পাওয়া যায় না । এরূপ অনেক বিঘয় বঙ্গীয় মহাকোযে পাওয়া যাইবে । তম্ভিগ্ন এন্সাইক্লোপীডিয়া মাত্রেই যাহা পাওয়া যায়, ত:হাও পাওয়া যাইবে । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকার শিক্ষা ও পরীক্ষণ বাংলায় করiহবেন । সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা অন্ত বহু বিযয় কোয-গ্রন্থ হইতে জানিতে পারিয়া সংস্কৃতির পথে অগ্রসর হইতে পারিবে । শিক্ষায় ও গবেষণায় বাঙালা কয়েক বৎসর বাঙালী ছাত্রের কোন কোন সরকারী কাৰ্য্যবিভাগে নিয়াগের জন্ত সমগ্রভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক কোন কোন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না-হওয়ায় বা উত্তীর্ণ হইয়:ও নিম্নস্থানীয় হওয়ায় এইরূপ একটা ধারণা কাহারও কাহারও হয়, যে, বাঙালী ছেলেদের মস্তিষ্কের অবনতি হইয়াছে । মামীদের সেরূপ ধারণা হয় নাই । যে তথ্যের উপর ঐন্ধপ ধারণা প্রতিষ্ঠিত, তাহার অন্ত অনেক কারণ থাকিতে পারে, এবং ইহাও অবস্ত ঠিক, যে, বাঙালী ছাত্রেরা অনেকে জ্ঞানলাভের জন্ত পরিশ্রম কম করে । কিন্তু বাঙালী ছেলেদের বুদ্ধি কমিয়া গিয়াছে, ইহা সত্য নহে।