পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র তরিতরকারী বাছা ও কুটার পর ঐগুলির একটা বড় অংশ পড়িয়া থাকে এবং উহার সমস্তই গোশলীয় দেওয়া হয়— উহা গরুর পরম উপাদেয় খাদ্য । সার ব্যবহার গেশালার নিকটেই পাকা চৌবাচ্চ আছে। উহাতে গো-মুত্র এবং গেtশালার মেঝে-ধোঁয়া জল আসিয়া জমে । গোবর গোশালার নিকটেই একটি বড় গৰ্ত্তে জমানো হয়, এবং আবশ্যকমত পচাইয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় । গো-মূত্রাদির দ্বারা যখন চৌবাচ্চ পূর্ণ হইয় উঠে তখন উহা তুলিয়া গোবরের সহিত মিশাইয়া দেওয়া হয়, অথবা ক্ষেত্রে ছড়াইয়া দেওয়া হয় । গো-মূত্র বিশেষ উপকারী সার, এবং গরুর জন্ত ধাস-উৎপাদনে সদ্যসদ্যই ব্যবহার করা যায়। থাদি প্রতিষ্ঠান গেীশালার মোটামুটি বিবরণ উপরে দেওয়া গেল । পাদিকে কেন্দ্র করিয়াই প্রেতিষ্ঠানের কৰ্ম্মশক্তি প্রধানতঃ নিযুক্ত । আনুষঙ্গিক কাজ হিসাবে গোশালার প্রতিষ্ঠা হইলেও উহা বর্তমানে একটি আদর্শ গেশালায় পরিণত হইয়াছে ৷ উষা গ্রামের পাদরী উইলিয়ম গেtশালা দেখিয়া তাহার “উষাগ্রাম” নামক zifisofo fifthton “I was proudly shown the dairy where the animals are treated with ইহা খদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাত ত্যাগী, অনন্তসাধারণ কৰ্ম্মযোগী শ্ৰীমান সতীশচন্দ্র দাসগুপ্ত ও র্তাহার উপযুক্ত সহধৰ্ম্মিণী শ্ৰীমতী হেমপ্রভার অদম্য উৎসাহ ও কৰ্ম্মশক্তির নিদর্শন-স্বরূপ । আদর্শ গেtশালার সঙ্গে কৃষিকাৰ্য্য একান্ত আবশ্রাক— যে-কোন উদ্যমশীল যুবক, এক অথবা কয়েক জনে মিলিয়া কলিকাতার সন্নিকটে দশ-পনর বিঘা জমি লইয়া উহাতে চাষ-আবাদ ও গো-পালন একসঙ্গে করিতে পারেন এবং নিজেদের উপজীবিকা অর্জন করিতে পারেন । প্রতিষ্ঠান-গোশাল তাহারই পরীক্ষামূলক নিদর্শন ; উদ্যোগী কষ্টিগণ এখানে আসিয়া হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিয়া কৰ্ম্মক্ষেত্রে নামিতে পারেন। বাংলার গরুর অবস্থা দেখিয়া আমার মন স্তব্ধ হইয়। human care.” অক্সসমস্যা ও গো-পালন چ0د وک\ যায় । বর্তমানে আমি বঙ্গীয় রিলিফ কমিটির তালোড়াকেন্দ্রের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে বসিয়া এই প্রবন্ধ লেখাইতেছি । আমার সম্মুখে বিস্তৃত মাঠের উপর গঙ্কগুলি চরিয়া বেড়াইতেছে—এই গরুগুলির চেহারা দেখিতেছি আর আমার অস্তুর কাদিয়া উঠিতেছে । দেখিলেই মনে হয় কোন পুষ্টিকর খাদ্য ইহারা পায় না। চরিয়া বেড়াইয়া ঘাস খাইতে যে শক্তি ইহাদের ব্যয় হয়, সেই শক্তিটুকু পরিপূরণের উপযুক্ত থোৱাক ইহারা পায় না আর প্রকৃতপ্রস্তাবে ইহারা ঘাস খায় বলিলেও অত্যুক্তি হয় । ঘাস এত ক্ষুদ্র ও রসহীন যে তাহা আহরণ করিতে দাত ক্ষয় হইয় তাহার খাদ্যসংগ্রহশক্তি কমাইরা দেয় । ইহার কারণ কি ? একমাত্র কারণ আমাদের আলস্য । সত্য বটে, অনেক ক্ষেত্রে কৃষকের গরুকে খাদ্য দিবার যথেষ্ট চেষ্টা করে । কিন্তু ঠিকমত করে না ; তাহারা এত অলস, এবং এই আলস্ট্রের পিছনে তাহীদের অজ্ঞানত এত অধিক যে চেষ্টা ঠিক পথে চলে না । বাল্যকালে দেখিয়াছি গ্রামে গ্রামে প্রায়ই গৃহস্থের গরুর জন্ত সম্বৎসরের বিচালীর গাদা দিয়া রাথিত । এখন পাড়াগায়ে তল্পতল্প করিয়া দেখি বিচালীর গাদা রাখা আছে বটে, তবে তাহ পালিত গরুগুলির পক্ষে খুবই কম। ঘরে ঘরে টেকি ছিল— গৃহস্থের ধান ভনিত । কাজেই খুদ কুঁড়া প্রভৃতি তাঁতের ফেন জলের সহিত মিশাইয়া গরুকে দেওয়া হইত। উহা গরুর একটি পুষ্টিকর থাদ্য । বৰ্ত্তমানে এই খাদ্য গরু কোথায় পাইবে— ধান-কলগুলির কল্যাণে সমস্ত টেকি উঠিয়া যাইতেছে। গৃহস্থের বাড়ির থাস্তের যে-অংশ ফেলিক্স দেওয়া হইত ( যেমন আনীজ-তরকারীর খোসা, আম-কঁঠালের খোসা ) তাহা গরুর পক্ষে পুষ্টিকর খাদ্য। কিন্তু উহা যত্নসহকারে গরুকে জোগাইবে কে ? আজকাল গৃহস্থবাড়ির গৃহলক্ষ্মীরা গো-সেবা অর্থাৎ গোয়াল পরিষ্কার করা হইতে গরুর জাব প্রস্তুত করা ইত্যাদি কাৰ্য্য করিতে নারাজ, ফলে গৃহস্থ-বাড়িতে গোপালন ও তাহার পরিচর্য্যার ভার চাকর-বকিরদের উপর গুস্ত হইতেছে । অধিকাংশ বাড়িতেই গৰু নাই। ফলে পাড়াগায়ে দুগ্ধ না কিনিলে মিলে না, এবং কিনিতে হইলেও বেশী৮