পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২২ একটা কার্য্যে “হিতবাদী” আপিসে বিস্তাবিনোদ মহাশয়ের কাছে আসিয়াছিলেন । আমি পূৰ্ব্বে যখন র্তাহাকে দেখিয়াছিলাম, তখন র্তাহার গোফ ছিল, কিন্তু সেদিন তিবাদী আপিসে দেখিলাম গুম্ফহীন মুণ্ডিত মস্তক । বিস্তাবিনোদ মহাশয় তাহাকে মাথার চুল ও গোফ ফেলিবার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে মজুমদার মহাশয় বলিলেন, “বঙ্গীয়সাহিত্য-সম্মেলনে অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি হইয়। ঝকমারি করিয়াছিলাম, তাই প্রায়শ্চিত্ত করিয়াছি।” যশোহরের ঐ সম্মেলনের কয়েক দিন পূৰ্ব্বে পাচকড়ি বাবু “নায়কে” শিক্ষিত মহিলাদিগের সম্বন্ধে কি একটা অশিষ্ট ইঙ্গিত করিয়াছিলেন, সেই জন্য যশোহরের এক শ্রেণীর যুবক পাঁচকড়ি বাবুর প্রতি থড্রগহস্ত হইয়া, তিনি সম্মেলনে উপস্থিত হইলে তাহাকে অপমান করিবার সঙ্কল্প করিয়ছিলেন । তাহাদিগকে শাস্ত করিতে মজুমদার মহাশয়কে বিশেষ বেগ পাইতে হইয়াছিল । সেই জন্ত তিনি বলিয়াছিলেন, “সভাপতি হইয়া বাকমারি করিয়াছিলাম ।” উপরে চুঁচুড়ার যে প্রাদেশিক সম্মেলনের উল্লেখ করিয়াছি, তাহারও কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে চুচুড়ায় আর একবার প্রাদেশিক সম্মেলন হুইয়াছিল । সেই সম্মেলনে বহরমপুরের রায় বৈকুণ্ঠনাথ সেন বাহাদুর সভাপতি হইয়াছিলেন । সেই সভাতে আমি ফরিদপুরের বাবু অম্বিকাচরণ মজুমদার মহাশয়কেও দেখিয়ffছলীম ! ইহুদিগকে আমি সভস্থলে দেখিয়াছি এবং তঁtহাদের বক্তৃতাও শুনিয়াছি, ঠাহীদের সম্বন্ধে আর কিছুই আমি ব্যক্তিগত ভাবে জানি না । র্তাহারাও “আমার দেখা লোক” । তাই এই প্রবন্ধে ইtহীদের নামোল্লেখ করিলাম । আমার পিতা যখন বৰ্দ্ধমান নৰ্ম্মাল স্কুলের হেড মাষ্টার ছিলেন, তখন শুমসায়রের বড় ঘাটের উপরেই যে দ্বিতল বাটা আছে, সেইটাতে আমাদের বাসা ছিল । আমি তখন বালক মাত্র, অামার বয়স তখন সাতআট বৎসর। একদিন দেখিলাম যে, বাটতে রন্ধনের ও জলখাবারের কিছু বিশেষ ব্যবস্থা হইতেছে মাতাঠাকুরাণীকে কারণ জিজ্ঞাসা করিয়া শুনিলাম আমাদের বাড়িওয়ালা বাবু জগবন্ধু ঘোষ সপরিবারে আমাদের আতিথ্য গ্রহণ করিবেন । কে প্রবাসী ১৩৪২ তিনি, জিজ্ঞাসা করাতে মা বলিলেন, তিনি হাকিম । আমরা তাহার বাড়িতেই বাস করিতেছি । সে হাকিম অর্থে মুলেফ, জঞ্জ, কি ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট, তাহ दूक्षि नहि ।। १tब्र बांबांद्र निकछे ७निम्नांछ्णिांभ cग তিনি স্বনামধন্ত হাইকোর্টের উকীল স্তর রাসবিহারী ঘোষের পিতা । তিনি যখন সপরিবারে বদ্ধমান জেলায় তাহাঁদের গ্রাম তোড়কোনায় যাইতেন, তখন বৰ্দ্ধমানে নামিয়া আমাদের বাটীত “প্রসাদ পাইয়া” অর্থাৎ আহারাদি করিয়া যাইতেন। বর্তমান শহর হইতে তোড়কোন অনেক দুর, সেই জন্ত তিনি বৰ্দ্ধমানে ‘ব্রেক জার্নি’ করিতেন। দুইবার কি তিনযার আমাদের বাসাতে আতিথ্য গ্রহণ করিতে দেখিয়াছি বলিয়া মনে পড়ে। সম্ভবতঃ হাইকোর্টের সুদীর্ঘ অবকাশের সময়ই তিনি দেশে যাইতেন। স্বদেশী যুগের গার এক জন খ্যাতনামা ব্যক্তি ব্ৰহ্মবান্ধব উপাধ্যায় মহাশয়ের সহিত আমার নানা কারণে ঘনিষ্ঠত হইয়াছিল । উপাধ্যায় মহাশয়ের সহিত আমার প্রথম পরিচয় হয়-- বোলপুরে শাস্তিনিকেতনে ত্রিশ কি বত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে । যখন রবীন্দ্র বাবু শান্তিনিকেতনে আট-দশটি বালককে লইয়া “ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম” নামক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, তখন আমার জ্যেষ্ঠ পুত্র ধীরেন্দ্রকুমারকে সেই বিদ্যালয়ে পাঠাইয়৷ দিয়াছিলাম। সেই সময় আমি দুই তিনবার বোলপুরে গিয়া শান্তিনিকেতনে আট-দশ দিন করিয়া বাস করিয়া আসিয়াছি । উপাধ্যায় মহাশয় সেই সময় ব্রহ্মচৰ্য্যtশ্রমে শিক্ষকতা করিতেন । শুনিয়াছি তিনি অবৈতনিক শিক্ষক ছিলেন । উপাধ্যায় মহাশয় রোমান কাথলিক সম্প্রদায়ভুক্ত খ্ৰীষ্টান ছিলেন । কিন্তু গৈরিক বস্ত্র বহিৰ্ব্বাস পরিধান করিতেন, নিরামিষ আহার করিতেন । শাস্তিনিকেতনের অদূরে শালবনে একটি তৃণাচ্ছাদিত কুটীরে তিনি বাস করিতেন, স্বহস্তে রন্ধন করিতেন। তখন আমি জানিতাম না যে, আমার সতীর্থ চন্দননগরের বর্তমান নতের ও পণ্ডিচেরীর ব্যবস্থাপকসভার সদস্ত শ্ৰীযুক্ত সাধুচরণ মুখোপাধ্যায় উপাধ্যায় মহাশয়ের ভগিনীপতি । উপাধ্যায় মহাশয়ই একদিন আমাকে কথায় কথায় বলিলেন যে, তাহার খুড়তুত ভগিনীর সহিত সাধু বাবুর বিবাহ হইয়াছে। সাধুবাবুর খণ্ডরের সহিত আমার